লক্ষ্মীপুরে রসুল আমিন (৫৫) নামে এক ব্যক্তিকে হত্যা মামলার প্রধান আসামি স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা নিজাম উদ্দিন শান্তকে বহিস্কার করা হয়েছে। এদিকে হত্যার ঘটনায় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা শান্তর সহযোগী মানিক হোসেন কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
শনিবার (৩ অক্টোবর) সন্ধ্যায় সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি এম আলাউদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক বাবুল আনসারীর স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বহিস্কারের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সদর উপজেলার চরশাহী ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম-আহবায়ক নিজাম উদ্দিন শান্তকে সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে দল থেকে বহিস্কার করা হল। স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা শান্ত চলতি বছর ২৩ জুলাই রাতে বাড়িতে ঢুকে মো. হাসান নামে এক ব্যবসায়ীকে গুলি ও কুপিয়ে হত্যা চেষ্টা মামলার আসামি। গত ২৭ সেপ্টেম্বর ওই মামলা তিনি জামিন নিয়ে কারাগার থেকে বের হয়।
এর আগে গত ১ অক্টোবর স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা শান্তসহ দুইজনের নাম উল্লেখ ও অচেনা ৭ জনকে আসামি করে মৃত রসুল আমিনের স্ত্রী ফাতেমা বেগম রুবি বাদী হয়ে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। শান্ত লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চরশাহী ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম-আহবায়ক ছিলেন। উল্লেখিত অপর আসামি উপজেলার রহিমপুর গ্রামের বিশ্ব মেস্ত্রীর ছেলে। মৃত রসুল আমিন চরশাহী ইউনিয়নের সৈয়দপুর গ্রামের বাসিন্দা ও পেশায় কৃষক ছিলেন। তবে ৫ বছর ধরে তিনি অসুস্থ থাকায় কাজ থেকে অবসর নেন।
এজাহার সূত্র জানায়, ৩০ সেপ্টেম্বর বিকেলে মোবাইলে কল আসলে কথা বলতে বলতে রসুল আমিন ঘর থেকে বের হয়ে যান। সন্ধ্যায় বেগমগঞ্জের ছয়ানী ইউনিয়নের পশ্চিম ভবানী জীবনপুর গ্রামে রসুল আমিনকে মারধর করা হচ্ছে বলে পরিবারের লোকজন খবর পায়। স্বামীর খোঁজে ফাতেমা বেগম তার ছেলেমেয়েকে নিয়ে সিএনজিযোগে ঘটনাস্থলে যায়। কিন্তু কোথাও খুঁজে পাচ্ছিল না। একপর্যায়ে তারা লোকজনের কাছ থেকে শুনতে পায় পশ্চিম ভবানী জীবনপুর গ্রামের কচুয়া বিলে রসুল আমিনকে মারধর করে ফেলে রাখা হয়েছে। ঘটনাস্থল গিয়ে তারা রসুল আমিনের মরদেহ দেখতে পায়। খবর পেয়ে বেগমগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। স্বামী হত্যার অভিযোগে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা শন্ত ও দিপুর নাম উল্লেখসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে ফাতেমা বেগম বেগমগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলার বাদী ফাতেমা বেগম রুবি জানান, তার স্বামীকে সিএনজিযোগে তুলে নিয়ে হত্যা করা হয়েছে। কিন্তু কি কারণে হত্যা করা হয়েছে তা তিনি জানেন না। তিনি হত্যাকারীদের বিচার চেয়েছেন।
বেগমগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ হারুনুর রশিদ বলেন, হত্যার ঘটনায় আসামি শান্তর সহযোগী মানিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশী অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
0Share