একজন পল্লী চিকিৎসকের জানাজায় উপস্থিত হয়ে কেঁদেছে এলাকাবাসী। শুক্রবার (১ জানুয়ারী) সকাল ১০ টায় লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলার দক্ষিণ-পূর্ব মার্টিন গ্রামের আলী আহম্মদ জামে মসজিদ প্রাঙ্গনে এ হৃদয় বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়। জানাজা শেষে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
এর আগে বৃহস্পতিবার (৩১ ডিসেম্বর) দুপুরে তিনি ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন (ইন্না— রাজিউন)।। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৫ বছর।
স্থানীয়রা জানান, প্রায় ৪০ বছর আগে তোরাবগঞ্জ ও এর আশপাশের কয়েক হাজার মানুষের জন্য যখন কোন চিকিৎসক ছিল না, তখন তিনিই ছিলেন গরীব মানুষের একমাত্র ভরসা। এলাকায় তিনিই সর্ব প্রথম আধুনিক চিকিৎসা সেবা শুরু করেন। তিনি লম্বা হোসেন ডাক্তার নামে জনপ্রিয় ছিলেন। হাজার হাজার মানুষের সেবায় তিনি ছিলেন নিবেদিত। এর পর তার হাত ধরে আরেক জন পল্লী চিকিৎসকের আর্বিভাব হয়।
চর লরেঞ্চ গ্রামের মো: আলা উদ্দিন জানান, মজার বিষয় হচেছ, তার পরে যিনি পল্লী চিকিৎসক হিসেবে আসেন তার নামও হোসেন আহম্মদ। ২ জনের বাড়িই একই গ্রামে পাশাপাশি। তখন ওই দুজনকে চেনার জন্য মানুষ প্রায় ভুল করতো। এক সময় ২ জন পৃথক নামে পরিচিত লাভ করেন, লম্বা হোসেন ডাক্তার এবং বেটে হোসেন ডাক্তার। আজ লম্বা হোসেন ডাক্তার আর নেই।
উত্তর চর লরেঞ্চ গ্রামের আনিস আহমেদ হোসেন ডাক্তারের চিকিৎসার স্মৃতি বলতে গিয়ে কেঁদে দিয়েছেন। তিনি বলেন, তাদের মতো মানবিক মানুষ পাওয়া সহজ না।
জানাজায় স্থানীয় গ্রামবাসীসহ দূরদূরান্তের বহু মানুষ অংশ গ্রহন করেন। জানাজায় উপস্থিত ছিলেন, কমলনগর উপজেলা আওয়ামলীলীগের সভাপতি একেএম নুরুল আমিন মাস্টার, বিএনপির সদস্য সচিব নুরুল হুদা চৌধুরী, ইউপি চেয়ারম্যান ইউছুফ আলী, আহসান উল্লাহ হিরন, লরেঞ্চ ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি বকুলের রহমান, সাবেক যুবলীগ সভাপতি ও ইউপি সদস্য ইসমাঈল হোসেন প্রমূখসহ নানা শ্রেনী পেশার মানুষ।
মৃত্যুকালে তিনি ২ ছেলে এবং ৩ মেয়ে রেখে গেছেন। বড় ছেলে নুরুল আমিন মঞ্জু ঢাকার চন্দ্রিমা ও প্রিয়াঙ্গন মার্কেটের ব্যবসায়ী।
0Share