সানা উল্লাহ সানু:জিলাপি পছন্দ করে না এমন লোক খুজে পাওয়া দায়। রমজানের ইফতারিতে তো জিলাপি ছাড়া অনেকের চলেই না। ভোজনরসিকদের খাদ্য মেন্যুতে জিলাপির রয়েছে বিশেষ চাহিদা।
আবার গ্রামঞ্চলে মিষ্টি বলতে তো জিলাপিই সবার জানা। দেশে বাহারি নামের প্যাঁচ জিলাপি, রেশমি জিলাপি, চিকন জিলাপি ও শাহী জিলাপির মতো বিলাসিতার হাজারো জিলাপি থাকলে ও জীবন জীবিকার তাগিদে জিলাপি তৈরি করে এলাকার মানুষের কাছে বিখ্যাত বনে গেছেন লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলার লুধুয়া বজারের মোঃ ইস্রাফিল। তার তৈরি জিলাপির বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এর এক একটির ওজন আধা কেজি। প্রতিটি জিলাপির দাম ৫০ টাকা। এটি তৈরিতে চিনির পরিবতে ব্যবহার করা হচ্ছে খেজুর ও আখের গুড়ের মিশ্রণ ।
কোন ধরনের কৃত্রিম রং বা রাসায়সিক পদার্থ ছাড়াই খুব সহজ ফরমুলায় ফুটপাতে তৈরি এ জিলাপি এক জনের পক্ষে একা খাওয়া সম্ভব না। তবুও সুস্বাদু এ জিলাপি কিনতে অনেক দুর-দুরান্ত থেকেও প্রতিদিন অনেক মানুষ ভীড় করছে।
নদী ভাঙ্গা কবলিত ফলকনের লুধুয়া মধ্য বাজারে বসেই প্রতিদিন প্রায় শতাধিক জিলাপি তৈরি করে বাজারেই বিক্রি করছেন ই¯্রাফিল। স্থানীয় জেলে সম্প্রদায়ের লোকজনই তার প্রধান ক্রেতা। ইদানিং নদী দেখতে আসা লোকজন ও নদী পাড়ে গেলে ইস্রাফিল জিলাপি কিনতে ভুল করছেন না।
ইস্রাফিল জানান, তিনি একাই টানা ২৫ বছরের ও বেশি সময় ধরে তৈরি করছেন এ জিলাপি। তিনি আরো বলেন বংশানুক্রমে ২৫ বছর আগে বাবার হাতেই এ জিলাপি তৈরি করতে শিখেন।
বর্তমানে তিনি জিলাপি বিক্রি করে চালিয়ে যাচ্ছেন ৫ ছেলে ২ মেয়ে নিয়ে ৯ জনের পরিবার। মেঘনার ভাঙ্গনে ইতোমধ্যে তিনি ভিটে মাটি হারিয়েছেন। কিন্তু অন্যদের মতো তার ভয় নেই। কারণ মেঘনা যতই ধেয়ে আসছে তিনি ততই সামনে যাচ্ছেন। সব জায়গায়ই সমান ক্রেতা।
তার প্রত্যাশা উপজেলা প্রশাসন বা কোন হৃদয়বান ব্যক্তি যদি তাকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন তবে এ জিলাপি তিনি পুরো জেলা ছড়িয়ে দিবেন।
0Share