বৃহস্পতিবার (২৮ জানুয়ারি) কুয়েতের একটি অপরাধ আদালত রায়টি দেয়। আদালতের বিচারক আব্দুল্লাহ আল-ওথমান অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আনা মানব পাচারের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় এ রায় দেন। কুয়েতি গণমাধ্যম আল-কাবাস বিষয়টি নিশ্চিত করে।
লক্ষ্মীপুর-২ আসন থেকে নির্বাচিত স্বতন্ত্র সাংসদ কাজী পাপুলকে গত ৬ জুন কুয়েত সিআইডি গ্রেপ্তার করে। এরপর, পাঁচ প্রবাসী বাংলাদেশির অভিযোগের প্রেক্ষিতে তার বিরুদ্ধে মানব ও মুদ্রা পাচারের অভিযোগ গঠন করা হয়। ভুক্তভোগীরা তার বিরুদ্ধে শারীরিক নির্যাতনে অভিযোগও আনেন।
কুয়েত সিআইদিঢ় জিজ্ঞাসাবাদে কাজী পাপুল দেশটির সরকারি কর্মকর্তাদের ঘুষ দেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেন। তার সেই জবানবন্দী কুয়েতের একাধিক গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। ইতোমধ্যেই, দেশটির কর্তৃপক্ষ তার সকল ব্যাংক হিসাব জব্দ করেছে। এসব ঘটনার প্রেক্ষিতে বাংলাদেশে দুর্নীতি দমন কমিশন এবং সিআইডি তার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ তদন্তের কাজ শুরু করে।
এছাড়া, পাপুলের কাছ থেকে ঘুষ গ্রহণের দায়ে কুয়েতের দুই সাংসদ সাদুন হাম্মাদ ও সালাহ খোরশিদকেও বিচারের সম্মুখীন হতে হবে।
এদিকে জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনের সদস্য ও পাপুলের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম জানান, রায়ের ব্যাপারে এখনও তারা কিছু জানেন না। তিনি বলেন, “আমি এখনও জানি না কিছু। কুয়েতে খোঁজ নিচ্ছি। এ বিষয়ে আপনাদের পরে জানাতে পারবো।”
0Share