বিবিসি বাংলার সৌজন্যে: ফেসবুক পোস্ট নিয়ে ভোলার বোরহানউদ্দিনে পুলিশের সঙ্গে গ্রামবাসীর সংঘর্ষে চারজন নিহত হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। আহত হয়েছেন গ্রামবাসী ও পুলিশ সদস্যসহ অর্ধশত মানুষ।
পুলিশ বলছে, ফেসবুকে মহানবী (স:) কে নিয়ে কটুক্তি করে একটি পোস্ট নিয়ে বোরহানউদ্দিনে গত তিনদিন ধরে বিক্ষোভ চলছে।
বিষয়টি নিয়ে পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা গ্রামবাসীর সঙ্গে কয়েক দফায় আলোচনা চালিয়ে আসছেন।
রোববার সকালে এরকম এক বৈঠকের সময় পুলিশের সঙ্গে গ্রামবাসীর সংঘর্ষ বেধে গেলে, এক পর্যায়ে পুলিশ গুলি চালায়।
বোরহানউদ্দিন থানার সাবইন্সপেক্টর মোহাম্মদ জাফর ইকবাল বিবিসিকে মোট চারজন মানুষ নিহত হবার খবর নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানিয়েছেন, বোরহানউদ্দিন বাজারে এ সংঘর্ষের ঘটনায় ১০জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন, যাদের একজনের অবস্থা গুরুতর।
হাজার হাজার মানুষের সমাবেশ
সাবইন্সপেক্টর মোহাম্মদ জাফর ইকবাল জানান, রবিবার সকাল দশটা হতে ঈদগাহ ময়দানে হাজার হাজার মানুষের বিক্ষোভ চলছিল।
গতকাল হতে বিভিন্ন ইসলামী সংস্থা এই সমাবেশের পক্ষে মাইকে প্রচারণা চালায়।
ঈদগাহ মাঠের কাছেই একটি মাদ্রাসার কক্ষে পুলিশের এডিশনাল ডিআইজি সহ অন্যান্য কর্মকর্তারা বৈঠক করছিলেন।
জাফর ইকবাল জানান, একজন পুলিশ সদস্য টয়লেটে যাওয়ার জন্য নীচে নামলে তার দিকে স্যান্ডেল ছুড়ে মারে বিক্ষোভকারীরা এবং ‘ধর ধর’ বলে ছুটে আসে। এরপরই সংঘর্ষ বেধে যায়।
তিনি জানান, সেখানে তখন মাত্র তিরিশ জন পুলিশ সদস্য ছিল।
এই সংঘর্ষে ১৯জন গ্রামবাসী আহত হবার খবর পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন মিঃ ইকবাল।
মিঃ ইকবাল আরো জানিয়েছেন, বোরহানউদ্দিন বাজারে এখনো উত্তেজনা বিরাজ করছে।
পরিস্থিতি শান্ত করার জন্য সেখানে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এখন বৈঠক করছেন।
পুলিশ জানিয়েছে, যার ফেসবুক পোস্ট থেকে এ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তাকে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে।
তবে স্থানীয় সাংবাদিক আদেল হোসেন তপু জানান, ওই যুবক থানায় গিয়ে এক অভিযোগে বলে যে, তার আইডি হ্যাক করে তার নামে অন্য কেউ এসব তথ্য ছড়িয়েছে।
এ বিষয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি করতে গেলে ওই যুবককে পুলিশ হেফাজতে নেয় বলেও জানান মি. তপু।
স্থানীয় সংবাদদাতারা জানিয়েছেন, তাওহীদি জনতা নামে একটি সংগঠন শুক্রবার বিক্ষোভের ডাক দিয়েছিল।
এরপর থেকেই সেখানে বিক্ষোভ চলছে।
0Share