লক্ষ্মীপুরে ঘরে ঢুকে প্রবাসীর স্ত্রী মরিয়ম (৩৩) ও কন্যা সাদিয়া (৮) কে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত করার অভিযোগে জাহিদ নামের এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জমির বিরোধের জের ধরে সে মা-মেয়েকে কোপানোর কথা পুলিশের নিকট স্বীকার করেছে। অন্যদিকে এ ঘটনায় রোববার (৪ অক্টোবর) বিকেলে আহত মরিয়মের বড় ভাই আমির হোসেন বাদী হয়ে জাহিদকে প্রধান আসামি করে একই পরিবারের ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন জাহিদের বাবা আবু তাহের, মা শামছুন্নাহার ও দুই ভাই।
শনিবার (০৩ অক্টোবর) রাতে সদর উপজেলার বশিকপুর ইউনিয়নের বালাইশপুর গ্রামে জাহিদ ঘরে ঢুকে মরিয়ম ও তার মেয়েকে কুপিয়েছে। পরে রাতেই পুলিশ অভিযান চালিয়ে জাহিদকে করে।
রোববার বিকেলে মামলার পর গ্রেফতার দেখিয়ে জাহিদকে আদালতে সোপর্দ করা হয়। এদিকে খবর পেয়ে ঘটনার পরই লক্ষ্মীপুর জেলা পুলিশ সুপার ড. এএইচএম কামরুজ্জামান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এদিকে আহত মা ও মেয়েকে উদ্ধার করে প্রথমে সদর হাসপাতালে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদেরকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। তারা ঢাকার নিউরো সায়েন্সেস হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
থানা পুলিশ জানায়, বালাইশপুর গ্রামের দেওয়ান বাড়ির নবী উল্যা সৌদিতে রয়েছেন। স্কুল পড়ুয়া মেয়ে সাদিয়াকে নিয়ে তার স্ত্রী মরিয়ম বাড়িতে থাকেন। সাদিয়া স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী। ঘটনার সময় ঘরে ঢুকে সন্ত্রাসীরা মা-মেয়েকে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। এতে মায়ের ডান হাতের কবজি ও বাম হাতের চারটি আঙুল বিচ্ছিন্ন ও মাথায় গুরুতর রক্তাক্ত জখম হয়।
একপর্যায়ে তাদের চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন গুরুতর আহত অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসে। এদিকে স্থানীয়দের কাছে আহত মরিয়ম জানিয়েছে প্রতিবেশি জাহিদ তাদেরকে কুপিয়েছে।
এ ব্যাপারে চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জসিম উদ্দিন বলেন, ঘটনার পর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য জাহিদকে আটক করা হয়। জমির বিরোধের জের ধরে সে মা-মেয়েকে কোপানোর কথা স্বীকার করেছে। তাকে মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেওয়ার জন্য আদালতে পাঠানো হয়। তবে তার সঙ্গে আর কেউ সম্পৃক্ত ছিল কিনা এনিয়ে সে মুখ খোলেনি।
0Share