লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে জোর পূর্বক সয়াবিন কাটার অভিযোগে সাত জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। রবিবার (৫ মে) দুপুরে লক্ষ্মীপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে আবদুল খালেক বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
আসামিরা হলেন- উপজেলার চর জাংগালিয়া ইউনিয়নের ১. জাহাঙ্গীর আলম (৩০) ২.তোফায়েল আহামেদ (৬০) ৩. আলমগীর হোসেন(২৫) ৪.মো. হারুনুর রশিদ (৩৫) ৫. শাহে আলম (৪৫) ৬.মিজান (৩২) ৭.ইব্রাহিম (৩৫). বাদীর আইনজীবী আবুল কালাম আজাদ বলেন, মামলাটি তদন্ত করার জন্য উপজেলা সমবায় কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
এজাহার সূত্রে বাদী আবদুল খালেক জানান, মামলার তফসিল ভূমিতে ০১ নং সাক্ষীর মালিক দখলদার থাকিয়া দীর্ঘ বছর যাবত ভূমি ভোগ দখল করিতেছে। বর্তমান বছরে তফসিল ভূমি ১ নং সাক্ষী আমাকে বর্গা চাষ করার জন্য দেয়। আমি বহু টাকা ব্যয়ে তফসিল ভূমিতে সয়াবিন সৃজন করি। ফলন ভালো হয়েছে।যার লোভে আসামিগন তফসিল ভূমি থেকে জোর পূর্বক, অন্যায়ভাবে লোকজনসহ কাচি,রশি নিয়া প্রায় ৪০ মন ফসল কেটে নিয়ে যায়। যার বাজার মূল্য ৬০০০০ ( ষাট হাজার টাকা)। ফসল কেটে নেওয়ার পর আমি আসামীগণকে কারণ জিজ্ঞেস করিলে তারা উত্তেজিত হয়ে আমাকে এলোপাতাড়ি ভাবে কিল,ঘুষি,লাথি মেরে মাটিতে পেলে দেয়। এবং ০১ নং আসামী আমার পকেট থেকে ৪০০০০ ( চল্লিশ হাজার টাকা) নিয়ে যায়। আমার শোর চিৎকারে ঘটনাস্থলে সাক্ষীগণ উপস্থিত হলে আসামীরা প্রকাশে আমাকে প্রাণ নাশের হুমকি দিয়ে চলে যায়। এ ঘটনার পেক্ষিতে আমি স্থানীয়ভাবে আপোষ মিমাংসা করিতে গেলে আসামীরা আপোষ করতে রাজি না হয়ে আরও বেশি উত্তেজিত হয়। পরে আমি থানায় মামলা করতে গেলে আসামীদের দ্বারায় প্রভাবিত হয়ে থানা মামলা গ্রহন করে নাই । যার কারণে সঠিক সময়ে উক্ত আদালতে মামলা করতে বিলম্ব হয় । এবং এদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করি।
অভিযোগ অস্বীকার করে জাহাঙ্গীর বলেন, অভিযোগকারী মিথ্যে, বানোয়াট অভিযোগ করেছে। এ তফসিল ভূমি নিয়ে দীর্ঘদিন পারিবারিক ঝামেলা চলছে। বাদীর সাথে এ ভূমি নিয়ে আমার কোন সম্পর্ক নেই। এ ভূমি ওয়ারিশী সম্পত্তি। মুলত এ তফসিল ভূমির মালিক দাবীদার ০১ নং সাক্ষী আমার সম্পর্কে মামা হয়। এ ভূমি নিয়ে থানায় অনেক বার বৈঠক হয়েছিল। বৈঠকের কোন সিদ্ধান্ত তারা মান্য করেনি।
0Share