রায়পুর প্রতিনিধি: মা ইলিশ রক্ষা ও ইলিশের উৎপাদন বাড়ানোর লক্ষ্যে মেঘনা নদীতে ২২ দিন সব ধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ করেছে সরকার। এবার লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলায় ৭ হাজার ৩১৩টি তালিকাভুক্ত জেলে পরিবারের বিপরীতে সরকারি পুনর্বাসনের চাল পাবে ৬ হাজার ৩৭টি পরিবার। ফলে মাছ ধরা ছাড়া অন্য পেশার অভিজ্ঞতা না থাকায় ১ হাজার ২৭৬টি পরিবার সরকারি জেললে পূনর্বাসন সুবিধার বাইরে থাকছে। গত বছরও মা ইলিশ ধরা নিষিদ্ধের সময় প্রায় ২ হাজার জেলে সুবিধাবঞ্চিত ছিলেন। ফলে অর্ধাহারে অনাহারে মানবেতর জীবন যাপন করছে বিপুল সংখ্যার দরিদ্র জেলে। জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তার কার্যালয় সুত্রে জানা যায়, রায়পুর উপজেলার জন্য ৬ হাজার ৩২টি জেলে পরিবারের জন্য ১২০.৭৪০ মেট্রিক টন চাল আসে।
প্রতিটি জেলে পরিবারগুলো ২০ কেজি করে এ চাল পাবে। চাঁদপুরের ষাটনল থেকে লক্ষ্মীপুরের
চর আলেকজান্ডার পর্যন্ত ১০০ কিলোমিটার নদী এলাকাকে ইলিশের প্রজনন মৌসুম রক্ষার জন্য মেঘনা নদীতে সব ধরনের জাল ফেলা নিষিদ্ধ করে সরকার। গত ১ অক্টোবর থেকে ২২ অক্টোবর পর্যন্ত টানা ২২ দিন মেঘনায় সব ধরনের জাল ফেলা বন্ধ করে দেয় স্থানীয় প্রশাসন। রায়পুর উপজেলার দক্ষিণ চরবংশী, উত্তর চরবংশী, দক্ষিণ চরআবাবিল, উত্তর চরআবাবিল ইউনিয়নসহ উপজেলায় ৭ হাজার ৩১৩টি জেলে পরিবার রয়েছে। এর মধ্যে পুনর্বাসনের জন্য সরকার ২০ কেজি করে চাল ৬ হাজার ৩৭টি জেলে পরিবারের নামে বরাদ্দ করে।
উত্তর চরবংশী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. আবুল হোসেন ও দক্ষিন চরবংশী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু ছালেহ মো: মিন্টু ফরায়েজি বলেন, কোনো চাল বরাদ্দ পাবেন না মেঘনা নদী ঘেষা আমাদের দুই ইউনিয়নের প্রায় দেড় হাজার জেলে। এসব সুবিধাবঞ্চিত জেলেরাও নিষেধাজ্ঞা মেনে মাছ ধরা বন্ধ কেেরছেন। অনেকেই কর্মহীন হয়ে পেটের দায়ে একের পর বিভিন্ন এনজিও ও দাদন ব্যবসায়দের কাছ থেকে উচ্চ সুদে ঋণ নিয়ে সংসার চালাতে বাধ্য হচ্ছেন। কিন্তু কেউ কেউ সরকারি সুবিধা পাবে আর অন্যরা সহায়তার পাবে না বিষয়টি খুব দুঃখজনক। এ জন্য সব জেলেদের নামে চাল বরাদ্দ করার দাবি জানাই।রায়পুর উপজেলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিল্পী রানী রায় বলেন, জেলের তুলনায় চাল বরাদ্দ কম এসেছে। এ কারণে অনেক জেলেকে পুনর্বাসনের আওতায় আনা সম্ভব হয়নি। আগামী সপ্তাহে তালিকা চূড়ান্ত করে চাল বিতরণ করা হবে।
0Share