নিজস্ব প্রতিনিধি: লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে তিনদিনের(৮-১০ ডিসেম্বর) অতি বৃষ্টিতে উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় ৬০ ভাগ ইরি-বোরো বীজতলা পানিতে তলিয়ে গেছে। এতে করে উপজেলাব্যাপী চলতি ইরি বোরো মৌসুমে ৮ হাজার ৩শত হেক্টর কৃষি জমিতে ফসল উৎপাদনের লক্ষমাত্রা অর্জিত না হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এতে করে বিভিন্ন এলাকায় বীজতলা তৈরিকারী ৫ হাজার কৃষকের মাথায় হাত পড়েছে। আজ বুধবার উপজেলার আলীপুর,পশ্চিম শোশালিয়া, করপাড়া, আইয়েনগর, মাঝিরগাঁও, লামচর, পানপাড়া, ফতেহপুর, নোয়াগাঁও, ভাটরা ,ভোলাকোট, দেবনগর, দরবেশপুর সহ বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা গেছে কৃষকের ইরি-বোরো বীজতলা বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গেছে। অনেক কৃষককে পাম্প মেশিন দিয়ে পানি সেচ দিতে দেখা গেছে। কিন্তু এতেও শেষ রক্ষা হবে বলে মনে হয় না।
খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে উপজেলার সর্বত্র প্রায় ৬০ ভাগ বীজ তলাই পানির নিচে ডুবে গেছে। উপজেলার শোশালিয়া গ্রামের কৃষক মফিজ উল্যা, করপাড়া গ্রামের কৃষক নুরু মিয়া, লামচরের কৃষক আলী হোসেন জানান, তারা যথাক্রমে ১৭ কেজি ও ২২ কেজি এবং ২৭কেজি ধানের বীজতলা তৈরি করেছেন। ডিসেম্বরের ৩ দিনের বৃষ্টিতে তাদের বীজতলা সম্পূর্নরুপে পানিতে ডুবে গেছে। কৃষকরা জানান, পানির নিচে ডুবে থাকা বীজতলার বীজ দিয়ে এবার ইরি-বোরো চাষ করা সম্ভব হবে না।
উপজেলার দরবেশপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ মিজানুর রহমান জানান, দরবেশপুর ইউনিয়নে টানা বৃষ্টিতে কৃষকের ৭০/৮০ ভাগ বীজতলা পানিতে ডুবে গেছে। ডুবে যাওয়া ইরি-বোরো বীজ সম্পূর্ন নষ্ট হয়ে গেছে। বিভিন্ন বীজ ভান্ডারে দেখা গেছে অনেক কৃষক বাজার থেকে নতুন ধানের বীজ ক্রয় করে নিয়ে যাচ্ছে।উপজেলা কৃষি সম্পসারন কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) সুলতানা রাজিয়া জানান, মঙ্গলবার ও বুধবার বিভিন্ন ব্লক সুপারভাইজারদের নিয়ে ভিবিন্ন এলাকায় বীজতলা পরিদর্শন করেছি। ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের তালিকা এখনো তৈরি করা সম্ভব হয়নি। ক্ষতিগ্রস্থদের তালিকা তৈরি করা হবে। তিনি আশংকা প্রকাশ করে বলেন, আরও ২/৩ দিন পানির নিচে ডুবে থাকলে বীজের ক্ষতি হবে। আর যেখানে পানি শুকিয়ে গেছে সেখানে ছাই ও ছত্রাক নাশক ঔষধ ব্যবহারের জন্য কৃষকদের নির্দেশনা প্রদান করেন।
0Share