বাংলাদেশ পুলিশের উপ-পুলিশ মহাপরিদর্শক (ডিআইজ) পদে পদোন্নতি পেয়েছেন আমেনা বেগম। রোববার (২৭ ডিসেম্বর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের উপসচিব আলতাফ হোসেন স্বাক্ষরিত এক আদেশে এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়। এর আগে শনিবার (২৬ ডিসেম্বর) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পুলিশের সুপিরিয়র সিলেকশন বোর্ডের সুপারিশ অনুযায়ী এ পদোন্নতি অনুমোদন দেন। একই আদেশে মোট ১১ জন কর্মকর্তাকে ডিআইজি হিসেবে পদোন্নতি দেওয়া হয়।
বর্তমানে তিনি চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার পদে নিযুক্ত আছেন।
আমেনা বেগম লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জ গ্রামের চর মনসা গ্রামের মোজাম্মেল হকের মেয়ে।
লক্ষ্মীপুর জেলার ইতিহাস গ্রন্থ লক্ষ্মীপুর ডায়েরি সূত্রে জানা যায়, আমেনা বেগম চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন শেষে ১৯৯৯ সালে ১৮তম বিসিএসের মাধ্যমে সহকারী পুলিশ সুপার পদে বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিসে যোগদান করেন।
২০ বছর চাকরি জীবনে কাজ করেছেন দেশের বিভিন্ন জায়গায়। পুলিশ সুপার পদে দায়িত্ব পালন করেছেন রাঙামাটি ও নরসিংদী জেলায়। সিএমপির উপ-কমিশনার (উত্তর) হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন তিনি। কর্মজীবনে দক্ষতার পরিচয় দিয়ে ২০১৫ সালে পেয়েছেন পুলিশের সর্বোচ্চ পদক ‘বাংলাদেশ পুলিশ মেডেল (বিপিএম)-সেবা’। একই বছর কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ পেয়েছেন ‘আইজি গুড সার্ভিস মেডেল’।
দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশের মাটিতেও তুলে ধরেন বাংলাদেশকে। ২০০৯ সালে নির্বাচিত হন ইন্টারন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন অব ওমেন পুলিশ’র এশিয়া রিজিয়ন কো-অর্ডিনেটর। দুই মেয়াদে ২০১৫ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন ওই দায়িত্বে। আন্তর্জাতিক নারী পুলিশের বার্ষিক সম্মেলন এশিয়ান ওমেন পুলিশ কনফারেন্সে কো-অর্ডিনেটরের দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৮ সালে দুই বছরের জন্য নির্বাচিত হয়েছেন বাংলাদেশ পুলিশ ওমেন নেটওয়ার্কের সভাপতি। পূর্ব তিমুরে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে কাজ করেছেন আমেনা বেগম। তাঁর স্বামী একজন ব্যবসায়ী। তাঁদের একজন কন্যা সন্তান রয়েছে।
0Share