আগামী জুনের প্রথম দিকে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অহিদুজ্জামানের মেয়াদ শেষ হতে যাচ্ছে। তাঁর পরে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে বলে গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়। তবে ইতোমধ্যে বিভিন্ন গণমাধ্যম খবর বেরিয়েছে যে নানা ক্ষেত্রে বির্তক জন্ম দেয়া ভিসি অহিদুজ্জামান ২য় মেয়াদে ভিসি পদে থাকতে চান। অধ্যাপক ডঃ এম ওয়াহিদুজ্জামান ২০১৫ সাল থেকে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদে নিয়োজিত আছেন। তাঁর আগে আরো ৩ জন উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এরা হলেন, অধ্যাপক এ কে এম সায়েদুল হক চৌধুরী (২০১০-২০১৪), অধ্যাপক সঞ্জয় কুমার অধিকারী, (২০০৮-২০১০) অধ্যাপক আবুল খায়ের (২০০৫-২০০৮)। তাঁরা নোয়াখালীর অধিবাসী ছিলেন না।
ফলে এবার নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫ম উপাচার্য নিয়োগের ক্ষেত্রে নোয়াখালীবাসী বৃহত্তর নোয়াখালী (ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর) জেলার কোন শিক্ষাবিদকে ভিসি(উপাচার্য) পদে দেখতে চায়। সেজন্য নানা ক্ষেত্রে তোড়েজোড়ও শুরু হয়েছে বলে জানা গেছে। যোগ্যতা আছে এমন শিক্ষাবিদদের খোঁজা হচ্ছে বলেও শোনা গেছে।
নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদে যোগ্যতা আছে বৃহত্তম নোয়াখালীর এমন শিক্ষাবিদদের মধ্যে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. মনির উদ্দিন নাম উচ্চারিত হচ্ছে। অধ্যাপক ড. মনির উদ্দিন ১৯৮৬ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগে যোগ দিয়ে ১৯৯৯ সালে তিনি অধ্যাপক হন। বর্তমানে তিনি রসায়ন বিভাগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি টাঙ্গাইলের মাওলানা ভাষানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের রিজেন্ট বোর্ড মেম্বার, এছাড়াও ইউজিসি মনোনীত সাউদার্ন ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ এর সিণ্ডিকেট মেম্বার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তাঁর বাড়ি লক্ষ্মীপুরের উপকূলীয় রামগতি উপজেলায় । প্রগতিশীল আন্দোলনের সাথে সম্পৃক্ত অধ্যাপক ড. মনির উদ্দিন গ্রিসের প্রাচীন বিদ্যাপিঠ এরিস্টটল ইউনিভার্সিটি অব থেসালেনিকি থেকে পিএইচডি লাভ করেন।
জানা যায়, বাংলাদেশের ২৭ তম পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় এবং ৫ম বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করে ২০০৬ সালে। নোয়াখালী জেলা শহর থেকে আট কিলোমিটার দক্ষিণে সোনাপুর উপজেলার সোনাপুর-সুবর্ণচর সড়কের পশ্চিম পাশে একশ এক জায়গা ওপর প্রতিষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়টি বৃহত্তম নোয়াখালী উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। বর্তমানে এ বিশ্ববিদ্যালয়ে ২৫ টি বিভাগ চালু আছে। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ছাত্রী হল সারা বাংলাদেশের বৃহত্তম ছাত্রী হল।
এ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মোহাম্মদ বেলাল হোসেন, নিউমেনিয়া নোবিপ্রবিয়া ও অ্যারেনুরাস স্মিটি নামে দুটি অমেরুদন্ডী প্রাণী আবিষ্কার করেন।
695Share