সোনালি ফসল আমনের স্বপ্ন নিয়ে চারা রোপণে ব্যস্ত সময় পার করছেন লক্ষ্মীপুরের রামগতির কৃষকেরা। এবার আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় বীজতলার কোন ক্ষতি হয়নি বলে জানান কৃষক। চলতি মওসুমের বৃষ্টির পানিকে কাজে লাগিয়ে চারা রোপণের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন এ অঞ্চলের কৃষকরা। ফলে জমিতে সেচ দেওয়ার প্রয়োজন হচ্ছে না।
উপজেলা কৃষি অফিস থেকে জানা যায়, একটি পৌরসভা ও ৮টি ইউনিয়নে মোট ২৫টি বøকে আমন ধানের চাষ হবে। এ বছর প্রায় ২৩ হাজার ৭০০ হেক্টর জমিতে আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ১ হাজার ৪৬২ হেক্টর জমিতে বিজতলা করা হয়েছে। ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১ লাখ ১৬ হাজার ৮৮২ মেট্রিক টন।
সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে দেখা যায়, চারদিকের মাঠে ধানের সবুজ চারা রোপণের কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকেরা। আবার কেউ জমি চাষ করছেন, কেউ আইল বাঁধছেন, অনেকে আবার শ্রমিক দিয়ে নিজের জমিতে চারা রোপণ করছেন।
চরলক্ষ্মী গ্রামের জসিম উদ্দিন জানান, পর্যাপ্ত বৃষ্টির পানি ও শ্রমিকের সংকট না থাকায় এবার চারা রোপণ করতে কোন অসুবিধা হচ্ছে না। অল্প কিছু দিনের মধ্যেই চারা রোপণের কাজ শেষ হয়ে যাবে। বিগত বছরের তুলনায় এবার চাষাবাদ ভালো হয়েছে, ফলে ধানের ফলন অনেক ভালো হবে বলে আশা করছি।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সঞ্জয় কুমার সরকার জানান, কৃষি নির্ভর জীবিকায়নের এ এলাকায় মেঘনা নদীর ভাঙ্গন কৃষি ও কৃষকের বিশেষ ক্ষতির কারণ। এখানে নদী ভাঙ্গনের ফলে ছিন্নমূল ভূমিহীনের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই আমরা সব সময়ই কৃষকের পাশে আছি। চলতি অর্থ বছরে সরকারের প্রণোদনা হিসেবে বিনামূল্যে বীজ ও সার উপজেলার ৭০০ জন কৃষক-কৃষাণীর মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে।
0Share