বাবা-মাকে বেঁধে ও মারধর করে মেয়েকে (২০) গনধর্ষণ করেছিল একদল যুবক। গত রবিবার দিবাগত গভীর রাতে উপজেলার চর আলগী ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের চর নেয়ামত এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছিল।
দেড় বছর আগে চর হাসানহোসেন এলাকায় এক প্রতিবন্ধীর সাথে মেয়ের বিয়ে হয়। গত তিন মাস ধরে মেয়েটি তার বাবার বাড়িতে মা-বাবার সাথে বসবাস করে আসছে। ঘটনার দিন দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে চারজন যুবক ঘরে ডুকে সবাইকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে রাখে। এসময় মা-বাবাকে মারধর করে বেধেঁ রাখে। এক পর্যায়ে মেয়েকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে গুরুতর আহত অবস্থায় রেখে পালিয়ে যায় যুবকরা।
বর্বরোচিত ঘটনার শিকার হওয়া সেই মেয়েটিকে ও তার পরিবারকে দেখতে তার বাড়িতে যান রামগতি উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. আব্দুল মোমিন। এসময় সাথে ছিলেন, রামগতি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. সোলাইমান ও উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো. রাহিদ হোসেন।
রামগতি উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. আব্দুল মোমিন বলেন, বর্বরোচিত যে ঘটনা ঘটেছে, আমরা তা ঘৃণা করি, এতে আমরা লজ্জিত। ধর্ষন যেই করুন না কেন, কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। দোষীদের আইনের আওতায় এনে তদন্তের মাধ্যমে যদি তারা দোষী হয়, বিচার বিভাগ তাদের ধর্ষণের জন্য অবশ্যই সর্বোচ্চ শাস্তি দেবে। সবাইকে এবিষয়ে আরো সচেতন হতে হবে, ধর্ষন একটি কলঙ্কিত অধ্যায়, একে সকলের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় প্রতিহত করতে হবে।
0Share