নিহতের মা রোকেয়া বেগম অভিযোগ করে বলেন, ফেরদৌসের স্বামী বিদেশে থাকেন। ও শ্বশুরবাড়িতে থাকত। স্বামীর অনুপস্থিতিতে ননদরা ও শাশুড়ি তাকে প্রায় মারধর করত। এ নিয়ে কয়েকবার সালিস-বৈঠকও হয়েছে। শনিবার দুপুরে তার ওপর নির্যাতন করা হয়। নির্যাতনে তার মেয়ের মৃত্যু হয়েছে। পরে ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যার নাটক সাজানোর চেষ্টা করে।
তবে নিহতের শ্বশুর আবদুল মান্নান জানান, পারিবারিক কলহের জের ধরে তাঁর পুত্রবধূ দুপুরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. আনোয়ার হোসেন বলেন, হাসপাতালে আনার আগেই ওই গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনের মাধ্যমে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। লক্ষ্মীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, এ ব্যাপারে এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
0Share