চাঁদা না দেয়ায় লক্ষ্মীপুরের কুশাখালীতে কবির হোসেন নামে এক ব্যবসায়ী ও তার ভাই স্বাস্থ্য কর্মী হাফিজ উল্ল্যাহ সুমনের উপর হামলা চালিয়েছে সন্ত্রাসীরা। এঘটনায় ভুক্তভোগীর বাবা আব্দুস সহিদ বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার লক্ষ্মীপুর আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে মামলার স্বাক্ষী ও ভুক্তভোগী স্বাস্থ্য কর্মী হাফিজ উল্ল্যাহ সুমনের উপর পুনরায় ওই সন্ত্রাসীরা হামলা চালায়। এদিকে এঘটনায় শুক্রবার ভোররাতে ভুক্তভোগীর ভাই কবির হোসেন বাদী হয়ে চন্দ্রগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। হাফিজ উল্ল্যাহ সুমন ওই ইউনিয়নের পুকুরদিয়া কমিউনিটি ক্লিনিকে সিএইচসিপি ও তার বাবা আব্দুস সহিদ পুকুরদিয়া পোষ্ট অফিসের পোষ্ট মাষ্টার হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।
মামলার এজাহার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পোষ্ট মাষ্টার আব্দুস সহিদ স্থানীয় পুকুরদিয়া বাজারে একটি দোকানঘর নির্মাণ করতে গেলে স্থানীয় বাহার, সেলিম, জসিম ও শামছুদ্দিন বাধা দেয়। পরে তারা ওই পোষ্ট মাষ্টারের কাছে এক লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে পোষ্ট মাষ্টারের সাথে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এসময় বাধা দিতে গেলে পোষ্টমাষ্টারের দুই ছেলে স্থানীয় ব্যবসায়ী কবির হোসেন এবং স্বাস্থ্য কর্মী সুমনকে বেদম প্রহার করে তারা। এঘটনায় ভুক্তভোগীর বাবা আব্দুস সহিদ বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার লক্ষ্মীপুর আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। এদিকে দুপুরে ওই স্বাস্থ্য কর্মী তার কর্মস্থল থেকে বাড়ী ফেরার পথে সন্ত্রাসীরা গতিরোধ করে তাকে বেদম প্রহার করে। পরে তার শোর চিৎকার শুনে স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সিএইচসিপি হাফিজ উল্ল্যাহ সুমন জানায়, তাদের জমিতে দোকানঘর নির্মাণ করতে গেলে কয়েকজন সন্ত্রাসী তার বাবার কাছে চাঁদা চায়। পরে এনিয়ে বাকবিতন্ডা সৃষ্টি হলে তিনি ও তার ভাই এগিয়ে আসলে তাদেরকে মারধর করে ওই সন্ত্রাসীরা। এনিয়ে তার বাবা আদালতে মামলা করলে মামলার আসামীরা আরো সংঘবদ্ধ হয়ে তিনি কর্মস্থল থেকে ফেরার পথে তার উপর হামলা চালায়। তিনি এঘটনায় প্রশাসনের কাছে ন্যায় বিচার দাবি করেন।
লক্ষ্মীপুর সদর হাসাপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ আনোয়ার হোসেন জানান, সুমনের মাথা, হাতসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহৃ রয়েছে।
চন্দ্রগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) বেলায়েত হোসেন জানান, স্বাস্থ্য কর্মীর উপর হামলার ঘটনায় ৯ জনকে আসামী করে থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। তদন্ত করে
475Share