লক্ষ্মীপুরের মজুচৌধুরীহাট সংলগ্ন মেঘনা নদী থেকে অপহৃত নারী শিশুসহ ভোলার ১১জন যাত্রীকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (৮ মে) সকালে মেঘনা নদীর সাহেবের চর এলাকা থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়। অপহৃত সবাই একই পরিবারের সদস্য এবং ভোলা সদর উপজেলার চর কাছিয়া ও ধনিয়া এলাকার বাসিন্দা। সাত অপহরণকারীর বিরুদ্ধে নৌ-পুলিশ ফাঁড়িতে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
এরআগে বৃস্পতিবার রাতে ট্রলার যোগে ভোলা যাওয়ার পথে তাদেরকে লক্ষ্মীপুরের মজুচৌধুরীররহাট ঘাটের সাত চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা অপহরণ করে ২০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবী করে। পরে খবর পেয়ে স্থানীয় নৌ-পুলিশ উদ্ধার করে।
পুলিশ ও অপহৃতদের সুত্রে জানা যায়, ভোলার বাসিন্দা রুহুল আমিন সহপরিবারে ঢাকায় বসবাস করে। তার বাবার মৃত্যুর সংবাদে ঢাকা থেকে লক্ষ্মীপুর হয়ে ভোলা যাওয়া উদ্দেশ্যে তারা মজুচৌধুরীররহাট আসে। কিন্ত ঘাটে কোন নৌকা না পেয়ে ভোলায় যোগাযোগ করে ওখান থেকে একটি ট্রলার মজুচৌধুরীররহাট নিয়ে আসে।
পরে ওই ট্রলার যোগে ভোলা যাওয়ার পথে মাঝ নদীতে স্থানীয় সন্ত্রাসীরা তাদের কে আটক করে মারধর করে। এসময় ভোলা থেকে ফোন করে ট্রলার নিয়ে আসার অপরাধে তাদের মুক্তিপণ হিসেবে ২০ হাজার টাকা পরিশোধ করতে চাপ দেয়। ভুক্তভোগীরা মুক্তিপণের ১০ হাজার টাকা বিকাশে মাধ্যমে ১০ হাজার টাকা পরিশোধ করে। বাকী ১০ হাজার টাকা পরিশোধ করতে ব্যর্থ হওয়ায় তাদের সাথে থাকা ছোট শিশু লামিয়া কে হত্যার উদ্দেশ্যে নদীতে নিক্ষেপ করে।
খবর পেয়ে টহলরত নৌ-পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ভুক্তভোগীদের উদ্ধার করে। অপহৃত রুহুল আমিন স্থানীয়দের সহযোগিতায় চার অপহরণকারীকে শনাক্ত করে মোট সাতজনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে।
এ বিষয়ে মজুচৌধুরীররহাট নৌ-পুলিশের ইনচার্জ অচিন্ত কুমার দে জানান, টহলরত অবস্থা খবর পেয়ে অপহৃতদের উদ্ধার করা হয়েছে। অপহরণকারীদের আটক করা সম্ভব হয়নি। ভিকটিমদের অভিযোগ গ্রহন করা হয়েছে। অপহরণকারী ৭জনের মধ্যে তিনজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
0Share