লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলায় সম্প্রতি বেড়েছে চোরের উপদ্রব। কোনোভাবেই চোরদের দৌরাত্ম থামানো যাচ্ছে না। মসজিদের মালামাল, অটোরিকশা, শ্যালোমেশিন, মোটরসাইকেল, স্বর্ণালংকার কোনোকিছুই ছাড়ছে না চোরের দল। এ বিষয়ে একাধিক অভিযোগ করা হলেও কোনোভাবেই চোরের উপদ্রব থামাতে পারেনি প্রশাসন এমন অভিযোগ এলাকাবাসীর।
গত ১৭ ডিসেম্বর রাতে কেরোয়া ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের সানা উল্যার ঘরে দুর্ধর্ষ চুরির ঘটনা ঘটে। এতে ঘরে থানা নগদ ৫০ হাজার টাকাসহ স্বর্ণালঙ্কার চুরি করে সংঘবদ্ধ চোরের দল। একই রাতে রাখালিয়া এলাকার চালতাতলি জামে মসজিদের জানালার গ্রিল ভেঙ্গে ব্যটারি ও মাইকের মেশিনসহ বিভিন্ন মালামাল চুরি হয়।
১৫ ডিসেম্বর সোনাপুর ইউনিয়নের রাখালিয়া বাজার পাশে একটি অটোরিকশা চুরি ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ করা হয়েছে। তবে, এই পর্যন্ত চুরির মালামাল উদ্ধার কিংবা কোনো চোরকেও আটক করতে পারেনি পুলিশ।
৫ ডিসেম্বর শহরের গাজী মার্কেটের সামনে থেকে এক ব্যবসায়ীর মোটরসাইকেল চুরির ঘটনা ঘটেছে। গত মাসে উপজেলার চরপাতা গ্রামের মোস্তফা মিয়ার খামার থেকে দু’টি গরু চুরির ঘটনা ঘটে। চলতি মাসে পৌর শহরের ৬নং ওয়ার্ড থেকে ফিরোজ নামের এক ব্যক্তির অটোরিকশা চুরি হয়ে যায়।
স্থানীয়দের অভিযোগ, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তদারকি ও টহলের অভাবে এমন চুরির ঘটনা ঘটছে। এতে সাধারণ মানুষ মূল্যবান সম্পদ ও আয়ের উৎস হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছে। এই সংঘবদ্ধ চোরের কাছ থেকে রক্ষা পেতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা।
নাম না প্রকাশে ভুক্তভোগী শহরের এক দোকান মালিক বলেন, চুরির পর পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। এরপর আর খোঁজ রাখে না। সাধারণ মানুষ হিসেবে আর কী করার আছে আমাদের? নিজেরা চুরি যাওয়া মালের সন্ধান করে এক সময় থেমে যেতে হয়।
এ ব্যাপারে রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানান, গত এক সপ্তাহের চুরির কোন ঘটনা পুলিশে কেউ অভিযোগ জানায় নি। তবে আমাদের কাছে যে কয়টা অভিযোগ এসেছে সেসব বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
240Share