রামগঞ্জ পৌর শহরে চাঁদা দিয়ে ফুটপাতে হকার বসার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সম্প্রতি রামগঞ্জ কাঁচাবাজার সড়কের পাশে জিয়া শপিং কমপ্লেক্সের দক্ষিণ পাশের বাউন্ডারিসংলগ্ন ফুটপাত থেকে থানা প্রশাসন পথচারীদের চলাচলে বিঘ্নতা ও যানজটের অজুহাতে হকার উচ্ছেদ করে। উচ্ছেদকৃত ছিন্নমূল হকাররা জানান, তারা দীর্ঘদিন ধরে শহরের কাঁচাবাজারসংলগ্ন সড়কের ফুটপাতে বিভিন্ন প্রকার তরকারি বিক্রি করে জীবন চালিয়ে আসছেন। হঠাৎ করে থানা প্রশাসন ফুটপাত থেকে হকার উচ্ছেদ করে দেয়ায় তারা বেকার হয়ে যান। উচ্ছেদের কয়েক দিন পর স্থানীয় কয়েকজন চাঁদাবাজ উচ্ছেদকৃত ফুটপাতে তাদের চাঁদার বিনিময়ে বসতে দিয়েছে।
জানা গেছে, শতাধিক হকারের প্রতিজন অগ্রিম পাঁচ হাজার টাকা ও প্রতিদিন ৬০ টাকা করে চাঁদাবাজদের চাঁদা দিতে হচ্ছে। চাঁদা না দিলে পুলিশ দিয়ে ফুটপাত থেকে তাদের উচ্ছেদ করার হুমকি দেয়। এ বিষয়ে ফুটপাতের হকাররা রামগঞ্জ পৌর মেয়র আবুল খায়ের পাটওয়ারীকে ফুটপাত থেকে হকার উচ্ছেদ করার ঘটনা ও পরবর্তী সময়ে চাঁদা দিয়ে ফুটপাতে বসার কথা অবহিত করলে তিনি বলেন, পৌর শহরের কোনো ফুটপাত ডাক দেয়া হয়নি। পৌর কর্তৃপক্ষ হকার থেকে কোনো চাঁদাও নেয়নি। যারা ফুটপাতের হকার থেকে চাঁদা চাইবে তাদের চাঁদা না দিয়ে প্রতিহত করার ঘোষণা ও প্রশাসনকে জানানোর কথা বলেন।
কয়েকজন হকার জানান, ফুটপাতে চাঁদাবাজি বন্ধে পুলিশের কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেই। বরং চাঁদাবাজরা তাদের পক্ষে পুলিশকে ব্যবহারের কথা বলে হুমকি দেয়। সরেজমিন শহরের প্রধান সড়কের ফুটপাত সোনাইমুড়ি সড়কের পুলিশ বক্সসংলগ্ন ফুটপাত, বাইপাস সড়ক ফুটপাত, ব্রিজ, সোনাপুর চৌরাস্তা, চিতোষী সড়ক ফুটপাতসহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সড়কে হকার বসার নানা চিত্র দেখা গেছে। বিশেষ করে শহরের মধ্যবাজার ও পুলিশ বক্সের সামনে ও বাইপাস সড়কের একাংশে হকারদের অবস্থানের কারণে যান চলাচলে বাধার সৃষ্টি হচ্ছে।
এসব স্থানে চাঁদা দিয়ে হকাররা বেঞ্চ বসিয়ে ও টংঘর উঠিয়ে কাপড়, মৌসুমি ফল, চায়ের স্টল, মাছ-তরকারিসহ নিত্যপ্রয়োজনী খাদ্যদ্রব্য বিক্রি করছে।
143Share