দীর্ঘ ১৯ বছর পর লক্ষ্মীপুর সদর থানা ও পৌর আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। বুধবার (১১ মে) সম্মেলনের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। সম্মেলনে অতিথি হিসেবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পাঁচজন কেন্দ্রীয় নেতা উপস্থিত থাকবেন। এতে মধ্যে রয়েছে যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ এমপি, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন এমপি,কৃষিও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক সাবেক এমপি ফরিদুন্নাহার লাইলী, যুব ও ক্রীড়া বিষযক সম্পাদক সাবেক এমপি হারুনুর রশিদ, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী ও লক্ষ্মীপুর সদর-৩ আসনের এমপি একেএম শাহজাহান কামাল উপস্থিত থাকবেন। এর আগে সম্মেলন হয়েছিল ২০০৩ সালের অক্টোবর মাসে।
সকাল ১০ টায় জেলা শহরের উত্তর স্টেশন সংলগ্ন আহম্মদীয়া বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ এমপি।
দলীয় সূত্র জানায়, সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম ফারুক পিংকু। এতে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখবেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন।
সম্মেলনকে সফল করার জন্য ইতি মধ্যে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। সম্মেলনকে ঘিরে লক্ষ্মীপুর জেলাশহর আগত অতিথিদের স্বাগত জানাতে তোরণ ও পেষ্টুনে ছেঁয়ে গেছে। চতুর্দিকে সাজ সাজ রব বিরাজ করছে। তৃণমূল পর্যায়ে নেতাকর্মীদের মঝে উৎসাহ উদ্দীপনা বিরাজ করছে। পৌরসভা ও সদর থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্ধিতাকারী প্রার্থীগণ সম্মেলনকে সামনে রেখে কাউন্সিলরদের সাথে সার্বক্ষণিক কুশল বিনিময় করছেন ও ভোট প্রার্থনা করছেন।
সর্বশেষ সম্মেলনে ইসমাইল হোসেন চৌধুরীকে সভাপতি ও মনিরুল করিমকে সাধারণ সম্পাদক করে পৌর আওয়ামীলীগের কমিটি গঠিত হয়। পরবর্তীতে ২০১৮সালে সাধারণ সম্পাদক মনিরুল করিমের মৃত্যুর পর ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক দিয়ে পৌর আওয়ামীলীগের কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে আসছে।
১২টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত লক্ষ্মীপুর সদর থানা । একই ভাবে ২০০৩ সালের অক্টোবর মাসে এ্যাডভোকেট নুরউদ্দিন চৌধুরী নয়নকে সভাপতি ও আবুল কাশেমকে সাধারণ সম্পাদক করে সদর থানা আওয়ামী লীগের কমিটি গঠিত হয়। ২০১৫সালের ৩ মার্চ সম্মেলনের মাধ্যমে এ্যাডভোকেট নুরউদ্দিন চৌধুরী নয়নকে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেয়ায় ২০১৫ সালের এপ্রিল মাসে কর্মী সম্মেলনের মাধ্যমে বিজন বিহারী ঘোষকে সভাপতি ও আবুল কাশেমকে পূনরায় সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব প্রদান করা হয়। ২০১৯সালে আওয়ামী লীগ নেতা মোহাম্মদ হূমায়ুন কবির পাটোয়ারীকে আহ্বায়ক করে ৬৫ সদস্য বিশিষ্ট সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি গঠন করা হয়। ২০১৯সালের পর থেকে সদর থানা আওয়ামী লীগের সরাসরি সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে কেউ ছিলেন না।
দীর্ঘদিন নেতৃত্ব শূন্য থাকায় নেতা নির্বাচনের জন্য এই সম্মেলনকে ঘিরে বিভিন্ন ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উজ্জীবীত। প্রার্থীদের মধ্যে আলাপ আলোচনা করে একক প্রার্থী নির্বাচনে সমঝোতায় না আসলে সদর থানা আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব নির্বাচনে ৪৫২জন কাউন্সিলর এবং পৌর আওয়ামীলীগের নেতৃত্ব নির্বাচনে ৩৭১জন কাউন্সিলর গোপন ব্যালটে ভোট প্রদানের মাধ্যেমে পরবর্তী সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করবেন। সদর থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি পদে ৪জন ও সাধারণ সম্পাদক পদে ৭জন এবং পৌর আওয়ামীলীগে সভাপতি পদে ৭জন ও সাধারণ সম্পাদক পদে ১০জন প্রার্থী প্রতিদ্ধন্ধিতা করছেন।
328Share