ভুলুয়া নদীতে অবৈধ মাছের ঘের, বেয়াল জাল এবং েলোদ জালের কারণে গত ৮ দিনের টানা বৃষ্টির পানি আটকে লক্ষ্মীপুরের রামগতি ও কমলনগর উপজেলার ৪টি ইউনিয়নের প্রায় ৩০ হাজার লোক পানি বন্দী হয়ে পড়েছে। ডুবে গেছে মাছের ঘের,পুকুর জলাশয়, তলিয়ে গেছে কয়েক হাজার হেক্টর রোপা আমনসহ বিভিন্ন ফসলি জমি। স্থানীয় কিছু প্রভাবশালীরা ভুলুয়া নদীতে বাঁধ দিয়েওে বেয়াল জাল দিয়ে পানি আটকিয়ে মাছ ধরার কারনে এমন জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের। এতে করে মানবেতর জীবন-যাপন করছে তারা।
স্থানীয়রা জানান, রামগতি উপজেলার মেঘনা সংলগ্ন ভুলুয়া নদীতে বিভিন্ন স্থানে ৯টি বাঁধ দিয়ে মাছ ধরছে স্থানীয় প্রভাবশালীরা। এতে করে পানির প্রবাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা। গত ৮দিনের টানা বৃষ্টিতে রামগতি ও কমলনগর উপজেলার চরকাদিরা, চরপোড়াগাছা, চরবাদাম ও চরমটুয়া সহ ৪টি ইউনিয়নের প্রায় ৩০ হাজার লোক পানি বন্দী হয়ে পড়েছে। ডুবেগেছে শতাধিক মাছের ঘের, তলিয়ে গেছে কয়েক হাজার হেক্টর রোপা আমন ও বীজতলা। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ছোট ছোট সাঁকো ও নৌকা দিয়ে চলাচল করছে এসব পানিবন্দী মানুষ। ঘর-বাড়ী ডুবে যাওয়ায় গবাধি পশু নিয়ে বিপাকে তারা। অন্যত্রে রান্না করতে হচ্ছে তাদের। সবচেয়ে ভোগান্তির শিকার স্কুলগামী শিক্ষার্থীরা। গবাদী পশু, পরিবার পরিজন নিয়ে বর্তমানে মানবেতর জীবন যাপন করছে পানিবন্দী ৪ ইউনিয়নের ৩০ হাজার মানুষ।
এদিকে জলাবদ্ধতা নিরসনে ভুলুয়া বাজারে বিক্ষোভ মিছিল করেছে স্থানীয় ভুক্তভোগী শত শত মানুষ। চর বাদাম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাখাওয়াত হোসেন জসিম মিয়া অবৈধ বেয়াল জাল ও লোদ জাল অপসারণের দ্রত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য জেলা প্রশাসন, জেলা মৎস্য অধিদপ্তর এবং কৃষি বিভাগকে এগিয়ে আসার আহবান জানিয়েছেন। তিনি বলেন এ সকল জালের বিরুদ্ধে অতিদ্রুত পদক্ষেপ না নিলে এবার আমন চাষ করা সম্ভব হবে না এবং পাশাপাশি দেশীয় মাছ বিলুপ্ত হবেও বলে তিনি লক্ষ্মীপুরটোয়েন্টিফোর কে জানান।
রামগতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আজগর আলী জানান, অতি শীর্ঘই যৌথ অভিযান চালিয়ে এসব বাঁধ অপসারণ করে জলাবদ্ধতা দুরীকরণের পাশাপাশি জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার হবে। অন্যদিকে অসাধু ও প্রভাবশালীদের মাছ ধরার বাঁধ কেটে দিয়ে জলাবদ্ধতা নিরসন করে ৩০ হাজার পানিবন্দী মানুষের মানবেতর জীবন-যাপন থেকে রক্ষা করবে এমনটাই প্রত্যাশা স্থানীয়দের।
0Share