লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি: লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উঃ জয়পুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেমের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের ও অপপ্রচারের প্রতিবাদে মুক্তিযোদ্ধারা প্রতিবাদ সভা করেছে। সোমবার সকালে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ উঃ জয়পুর ইউনিয়ন কমান্ডের উদ্যোগে ইউনিয়ন পরিষদ মিলনায়তনে এ প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠীত হয়।
ইউনিয়ন কমান্ডার মুক্তিযোদ্ধা সুবেদার খোরশেদ আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠীত প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা কমান্ডের ত্রাণ ও পুনঃর্বাসন সম্পাদক মোঃ আবুল কালাম, মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব সামছুল হুদা,মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মতিন, মুক্তিযোদ্ধা বদু সওদাগর, আব্দুল্লাহ সরকার, মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রব, শহীদ মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হারুনুর রশিদ পাটওয়ারী, ইউপি চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম চৌধুরী প্রমুখ।
এ সময় বক্তারা চেয়ারম্যান ও মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম চৌধুরী, শহীদ মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও ইউপি সদস্য হারুনুর রশিদ পাটওয়ারী, মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও স্থানীয় চৌপল্লী বাজার বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক টিপু সুলতান, ইউপি সদস্য আনোয়ারুজ্জামান পরান,দফাদার আব্দুল্লাহ মিয়ার বিরুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধা নুর মোহাম্মদের দায়েরকৃত মিথ্যা ও কাল্পনিক মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহার ও মিথ্যা প্রচারণা বন্ধের দাবী জানান।
উল্যেখ্য গত ৩১ জানুয়ারী মুক্তিযোদ্ধা নুর মোহাম্মদ ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন স্থানীয় চৌপল্লী বাজারস্থ উত্তর জয়পুর ইউনিয়ন কৃষি অফিসের পরিত্যাক্ত ভবন ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা সংসদের নামে একটি সাইনবোর্ড লাগিয়ে জবর দখল করতে গেলে স্থানীয় বাজারের ব্যবসায়ি ও জনগণ তাকে বাদাদেয়। চেয়ারম্যান আবুল কাশেম চৌধুরী তাকে পরিষদে ডেকে নিয়ে সরকারি সম্পত্তি জবর দখল করতে নিষেধ করলে সে চেয়ারম্যানের উপর অতর্কিত হামলা করে।
এ সময় উপস্থিত লোকজন তাকে ধাওয়া করলে সে পরিষদের শৌচাগারে আশ্রয় নিয়ে দরজা আটকিয়ে দেয়। পরবর্তীতে সে ওই কক্ষের জানালা ভেঙ্গে পার্শ্ববর্তী শিমুল তুলাগাছ বেয়ে নামতে গিয়ে গাছের ধারালো কাটায় হাতে পায়ে ও উরুতে চরা জখম হয়। পরবর্তীতে সে সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে গত ২ জানুয়ারী চন্দ্রগঞ্জ থানায় ইউপি চেয়ারম্যান,পরিষদের সদস্য ও মুক্তিযোদ্ধার সন্তান সহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মারধরের একটি মামলা দায়ের করে এবং বিভিন্ন রকমের অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা জানান, নুর মোহাম্মদ এই এলাকার নাগরিক হলেও তিনি এলাকায় বসবাস না করে ঢাকায় বসবাস করেন। ইউনিয়ন, উপজেলা ও জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাথে সে সম্পৃক্ত নাই।
মুক্তিযোদ্ধারা জানান, নুর মোহাম্মদ মুক্তিযোদ্ধা হলেও একজন খারাপ চরিত্রের লোক সে ইতিপূর্বে তার আপন দুই ভাইয়ের জমি জবর দখল করে নিয়েছে। এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে বর্তমানে ৬টি মামলা বিচারাধীন রয়েছে। অপর দিকে সে বিভিন্ন মুক্তিযোদ্ধার নামে বিভিন্ন দফতরে কাল্পনিক অভিযোগ করে তাদের হয়রানি করে থাকে। এ ব্যাপারে তারা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে। প্রতিবাদ সভায় ইউনিয়নের সর্বস্তরের মুক্তিযোদ্ধারা অংশ নেয়।
0Share