মোঃ রাসেল হোসাইন:: নোয়াখালী ভাষাভাষী অঞ্চল বা বৃহত্তর নোয়াখালী তথা ফেনী, নোয়াখালী ও লক্ষীপুর এর লক্ষ লক্ষ মানুষের প্রানের দাবী নোয়াখালী বিভাগ। বিভাগের এই দাবী অাজ বা গত কয়েকবছরের দাবী নয়। এটা নোয়াখালীবাসীর দীর্ঘদিনের দাবী। তৎকালীন মুশফিক কমিটি নোয়াখালীকে বিভাগ করার জন্য সর্বপ্রথম দাবী জানায়। তারপর থেকেই শুরু হয় নোয়াখালীকে বিভাগ করার অান্দোলন। নোয়াখালীবাসী দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্নভাবে প্রানের এ দাবীটি জানিয়ে অাসছে, সেটা অনলাইনে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে, গনমাধ্যমে, এমনকি রাজপথে। লক্ষ লক্ষ মানুষ শুধু নোয়াখালীর রাজপথেই নয় ঢাকাসহ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে নোয়াখালীকে বিভাগের দাবীতে রাজপথে নেমেছে নোয়াখালীবাসী।
অথচ অাশ্চার্য হওয়ার বিষয় হল সরকার বা নোয়াখালীর প্রশাসনিক ক্ষমতাসীন লোকেদের কেউই কখনো নোয়াখালীর প্রানের এই দাবী নিয়ে তেমন কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়নি। অথচ বাংলাদেশের জন্মলগ্ন থেকেই এদেশের সরকার, প্রশাসন নিয়ন্ত্রণ করছে নোয়াখালীর সন্তানেরাই। অাগের কথা বাদই দিলাম বর্তমান সরকারদলীয় দলের সাধারন সম্পাদক ও সরকারের মন্ত্রীসভার অন্যতম ক্ষমতাধর যোগাযোগ মন্ত্রী, সংসদের স্পীকার, সেনাপ্রধান, ঢাকার মেয়র, প্রধানমন্ত্রীর সহকারীসহ সরকারের উচ্চপদস্থ বিভিন্ন পর্যায়ে নোয়াখালীর লোক।
যার কারনে বাংলাদেশের অন্যান্য জেলার লোকেরা বলে “দেশ এখন নোয়াখালী সমিতি “। প্রশাসনে এত নোয়াখাইল্লার ছড়াছড়িতেও নোয়াখালী বিভাগের ব্যাপারটির অগ্রগতি হয়নি অাজও। অামরা নোয়াখালীর সাধারন জনতা হিসেবে এতদিন ধরে বিভাগের দাবী জানিয়ে অাসছি, অথচ অাপনাদের একটি কথায় নোয়াখালী বিভাগের দাবী অারো ত্বরান্বিত হতে পারত।
অাপনারা একটু চেষ্টা করলেই নোয়াখালী বিভাগ হতে পারে। অামরা যদি একটু পাশ্ববর্তী জেলা কুমিল্লার দিকে তাকাই তাহলে দেখা যাবে তাদের প্রশাসনে থাকা এক পরিকল্পনা মন্ত্রী একাই কুমিল্লা বিভাগের জন্য লড়ে গেছেন। এবং অাজ তারা সবুজ সংকেতও পেয়েও গেছেন। এখন পর্যন্ত বলা যায় বিভাগ হবেও, শুধু অানুষ্ঠানিক ঘোষনার দেরী। অথচ প্রশাসনে অাপনাদের মত এত নোয়াখাইল্লা থাকার পরও নোয়াখালী বিভাগ প্রশ্নে সরকার অাপোষ করে। লজ্জাজনক হলেও এখন নোয়াখালীবাসী এটা বলতে বাধ্য অাপনাদের মত নোয়াখালীর এই বিশেষ ব্যাক্তিদের ব্যার্থতা। দেশকে নোয়াখালী সমিতি বলে অার লাভ কি ? নোয়াখালীর শত বছরের প্রানের দাবীটিই যদি তারা পুরন না করত
(মতামতটি লেখকের নিজস্ব)
0Share