প্রেসবিজ্ঞপ্তি: স্বাধীন বাংলার পতাকা উত্তোলক-মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি সভাপতি ও সাবেক মন্ত্রী জনাব আ স ম আবদুর রব বলেছেন, বিদ্যুৎ আমদানী-কুইক রেন্টাল সহ গ্যাস-বিদ্যুৎ
খাতে সরকার যে সকল চুক্তি সম্পাদন করে যাচ্ছে তাতে জাতীয় স্বার্থ বিসর্জন দিচ্ছে। বিদ্যুৎ খাতে সরকার জনগণের অর্থ লুটপাট নিয়ে ব্যস্ত। উচ্চ দামে বিদ্যুৎ ক্রয় করে হাজার হাজার কোটি টাকার অপচয় পূরণে দফায় দফায় বিদ্যুৎ-গ্যাস সহ জ্বালানীর দাম বৃদ্ধি করছে। বিদ্যুৎ-গ্যাস ও জ্বালানী খাতের দুর্নীতির শ্বেতপত্র প্রকাশ করতে হবে। অবৈধ ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করার জন্য সকল প্রতিষ্ঠানকে যেমন ধ্বংস করে দিচ্ছে তেমনি বিশ্ব রাজনীতিতে একঘরে হয়ে যাচ্ছে।
জনাব রব বলেন, প্রত্যেক দেশের স্বৈরাচারী সরকারই শ্বাসরুদ্ধকর রাজনৈতিক অবস্থাকে স্থিতিশীল বলে আখ্যায়িত করতে চায়। যে কোন সময় শিব উল্টে যাবে। সর্বশেষ সুন্দর বন ধ্বংসের ভয়াবহ বিপর্যয় সৃষ্টিতেও সরকার উদাসীন। এই প্রতিক্রিয়াশীল স্বৈরাচারী-মিথ্যবাদী-নিলর্জ-বেহায়া সরকারের বিরুদ্ধে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। বিকেল ৪টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গ্যাস ও বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধির অপতৎপরতার প্রতিবাদে জেএসডি আয়োজিত মানব বন্ধন কর্মসূচীতে সভাপতির বক্তব্যে জনাব রব এ সকল কথা বলেন।
জেএসডি সাধারন সম্পাদক জনাব আবদুল মালেক রতন বলেন,সর্বোচ্চ ৮০ হাজার থেকে এক লক্ষ টাকা এবং সর্বনিম্ন ৮হাজার টাকা সরকারী কর্মকর্তা কর্মচারীদের বেতন নির্ধারন করে যে বেতন কাঠামো প্রস্তাব করা হয়েছে তা এক দিকে যেমন অমানবিক তেমনি তা সামাজিক ভারসাম্যহীনতা সৃষ্টি করবে। জনাব মালেক রতন সর্বনিম্ন ১৫হাজার টাকা ও সর্বোচ্চ ৬০হাজার টাকা বেতন নির্ধারন করে বেতন কাঠামো চুড়ান্ত করার দাবী জানান।
মানব বন্ধনে আরো বক্তব্য রাখেন জনাব এম এ গোফরান, আতাউল করিম ফারুক, মো: সিরাজ মিয়া, শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, দেলওয়ার হোসেন, জিয়া খোন্দকার, কামাল উদ্দিন পাটওয়ারী, আবদুর রাজ্জাক রাজা, কাজী আবদুস সাত্তার, মোশাররফ হোসেন, জাহাঙ্গীর আলম,এস এম রানা চৌধুরী, শামসুল আলম নিক্সন, রিয়াজুল মোরশেদ টিটু, আবদুল্লা আল নোমান প্রমুখ।
0Share