সংবাদদাতা: সদর উপজেলার আটিয়াতলী গ্রামের জাকির হোসেন নামে এক যুবককে উগান্ডায় পিটিয়ে হত্যা করার অভিযোগ পাওয়া গছে দালাল শরীফ হোসেন ও তার ভাই দেলোয়ার হোসেনের
বিরুদ্ধে।
এদিকে, ছেলের মৃত্যুর সংবাদ শুনে বৃদ্ধা মা সামছুন নাহার বারবার জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছেন। এলাকায় ও পরিবারের মধ্যে চলছে শোকের মাতম। দালাল শরীফ হোসেন ও অন্যদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও বিচার দাবি করেছেন বড় ভাই সামছুদ্দিন।
শামছুউদ্দিন জানান, জমি-জমা বিক্রি করে ও সুদের ওপর ৪ লাখ টাকা নিয়ে গত ১৩ নভেম্বর ছোট ভাই জাকির হোসেনকে আদম ব্যাপারী (দালাল) শরীফ হোসেনের মাধ্যমে দক্ষিণ অফ্রিকায় পাঠানো হয়। কিন্তু দালাল শরীফ ও তার লোকজন দক্ষিণ অফ্রিকায় না নিয়ে জাকিরকে ১৪ নভেম্বর সকালে দুবাই হয়ে উগান্ডায় নেয়।
দক্ষিণ অফ্রিকায় না নিয়ে উগান্ডায় কেনো নেয়া হল এ বিষয়ে দালাল শরীফের লোক দেলোয়ার হোসেনের কাছে জানতে গেলে তিনি বলেন, ‘পরিস্থিতি ভালো হলে পরে দক্ষিণ আফ্রিকায় নেয়া হবে।’
এভাবে কেটে যায় জাকির হোসেনের দেড় মাস। এ সময় জাকির হোসেন তার চাকরির কথা বললে শরীফ হোসেনের লোকজন তাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতো। এসব নিয়ে জাকির হোসেনের সঙ্গে দালাল শরীফ হোসেনের লোক দেলোয়ারসহ অন্যদের সঙ্গে প্রায় কথাকাটাকাটি হতো। এরই জের ধরে ৯ জানুয়ারি সকালে উগান্ডার রাজধানী কামপালার অদূরে বেদম মারধর করা হয় জাকির হোসেনকে। এতে জাকির হোসেন গুরুতর আহত হলে রাজধানীর অদূরে ফেইস নামে একটি হাসপাতালে নেয়ার পথে তিনি মারা যান। এ খবর উগান্ডা থেকে একাধিক লোক জানিয়েছেন।
১০ জানুয়ারি রাতে দেলোয়ার হোসেন ২৫৬৭৫৯৫১২৭৪২ এ নাম্বার থেকে মোবাইল ফোনে জানায়, জাকির হোসেন অসুস্থ হয়ে মারা গেছেন। বর্তমানে উগান্ডার রাজধানীর কামপালার ফেইস হাসপাতাল মর্গে লাশ পড়ে আছে। লাশ বাড়িতে নিতে ৮ লাখ টাকা তার কাছে পাঠিয়ে দেয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করে।
শামছুউদ্দিন তার ভাইয়ের লাশ ফিরে পেতে বাংলাদেশ সরকারের শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এছাড়া হত্যার ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিচারের দাবি জানান।
0Share