রায়পুর প্রতিনিধি: লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে বিএনপি ও জামায়াতের ১১২ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে মামলা হয়েছে। গত তিন দিনে ১০ জনকে আটক করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ। শনিবার রাতে থানার এসআই মো: মোতাহের হোসেন বাদী হয়ে ৩২ জনের নাম উল্লেখ্য করে অজ্ঞাত ৭০-৮০ জনকে আসামি করে এ মামলা করেন।
আটককৃতরা হলেন-চরপাতা ইউপির ৮নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারন সম্পাদক ও ইউপি সদস্য মো: আমিন, পৌর যুবদলের সহ-সভাপতি ফিরোজ আলম, উপজেলা শ্রমিক দলের সাধারন সম্পাদক নুর আলম (সুমন), পৌর কৃষক দলের আহ্বায়ক সানা উল্লাহ, পৌরসভা ১নং ওয়ার্ডের বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মিছির হাজারী, দক্ষিন চরবংশী ইউপির স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারন সম্পাদক মো: জাকির হোসেন, কেরোয়া ইউপির ১নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারন সম্পাদক মো: মিজান, কেরোয়া ইউপির ১নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মো: বকুল, চরবংশী ইউপির ৬নং ওয়ার্ড বিএনপির সম্পাদক সাবেক ইউপি সদস্য মো: দাদন, সোনাপুর ইউপির ৪নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি নুরে আলম।
উপজেলা বিএনপির সভাপতি এ্যাড. মনিরুল ইসলাম হাওলাদার বলেন, বৃহস্পতিবার দুপুরে বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ৫ বছরের সাজা বাতিলের দাবিতে নেতা কর্মীরা শান্তিপূর্ন বিক্ষোভ করছিল। পুলিশ এসে মিছিল ছত্রভঙ্গ করে দেয়। আওয়ামীলিগের পরামর্শে থানা পুলিশ বাদী হয়ে আমাদের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছেন। এই পর্যন্ত ১০ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছেন। গ্রেপ্তার আতঙ্কে নেতাকর্মীরা পরিবার ও বাড়ি-ঘর ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। আমরা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানাই।
রায়পুর থানার ওসি (তদন্ত) সোলায়মান হোসেন বলেন, বৃহস্পতিবার বিএনপির নেতাকর্মীরা রাস্তায় মিছিল বের করে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করায় ৩২ জনের নাম উল্লেখ্যসহ অজ্ঞাত ৭০-৮০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। এই পর্যন্ত ১০ জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অন্য আসামীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
0Share