লক্ষ্মীপুরটোয়েন্টিফোর প্রতিবেদন: ঘূর্ণিঝড় ‘রোয়ানু’র প্রভাবে উপকূলীয় জেলা লক্ষ্মীপুরে শুক্রবার বেলা ১০টা থেকে গুড়িগুড়ি বৃষ্টি শুরু হয়েছে । সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় এ প্রতিবেদন লেখার সময় জেলার রামগতি ও কমলনগর, রায়পুর,রামগঞ্জ এবং সদরের আকাশেভারী মেঘসহ থেমে থেমে গুড়িগুড়ি বৃষ্টি হচ্ছিল। ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাসের কারণে রামগতি ও কমলনগরের বেঁড়িবাধহীন নদী পাড়ের সাধারণ মানুষ আতংকে আছেন বলে মোবাইল ফোনে জানিয়েছেন, কয়েকজন বাসিন্ধা।
সন্ধ্যায় উপকূলীয় বাসিন্ধাদের কে প্রয়োজনীয় কাজ দ্রুত শেষ করে বাড়ি ফিরে যেতে দেখেছেন বলে জানিয়েছেন, মেঘনাপাড় মতিরহাটের বাসিন্ধা হুমায়ুন কবির ও হাসান । ঘূর্ণিঝড়ের কারণে উপকূলের অন্যান্য জেলার সাথে লক্ষ্মীপুরের বিশেষ করে রামগতি, কমলনগর, রায়পুর এবং সদরের চরগুলোর নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৪-৫ ফুটের বেশি উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতর।
উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর এবং এর অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোতে ৭ নম্বর বিপৎসংকেতের আওতায় থাকবে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, আজ শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে ঘূর্ণিঝড় রোয়ানু চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ৯৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণ–পশ্চিমে, কক্সবাজার উপকূল থেকে ৯৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণ–পশ্চিমে, মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৭৫ কিলোমিটার দক্ষিণ–পশ্চিমে ও পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৮১০ কিলোমিটার দক্ষিণ পশ্চিমে অবস্থান করছিল। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের সর্বোচ্চ একটানা গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় ‘রোয়ানু’ আরও ঘনীভূত হয়ে উত্তর ও উত্তর–পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে শনিবার বিকেল অথবা সন্ধ্যার দিকে চট্টগ্রাম-নোয়াখালী উপকূল অতিক্রম করতে পারে।
0Share