নিজস্ব প্রতিবেদক: রামগঞ্জে নকলে সহযোগীতা কারী শিক্ষকদের জরিমানা করায় শিক্ষকদের প্রতিবাদ সভা করেছেন এবং কালো ব্যাচ ধারন করে ডিউটি করছেন।
স্থানীয় সূত্র জানায়, জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষায় চলাকালে রামগঞ্জ উপজেলায় রোববার বিভিন্ন কেন্দ্রে শিক্ষকরা দায়িত্ব অবহেলা ও নকলে সহযোগীতা করায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মাহবুবর আলম হল পরিদর্শন কালে
রামগঞ্জ এম ইউ সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়, রামগঞ্জ পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়,রামগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ে ভ্রাম্যমান
আদালত বসিয়ে শিক্ষিকা ইয়াছমিন আক্তার,শোভা বনিক,শিখা রানী চক্রবর্তী, উত্তম কুমার পাল, মাওঃ সিরাজুল ইসলামকে ১ হাজার টাকা ও ভাদুর উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক মোঃ রিয়াজ উদ্দিন খাঁনকে ৫ হাজার টাকা সহ ৬ শিক্ষকের ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন করেন। এ সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকা উপজেলা শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক উত্তেজিত হয়ে ওই রায়ের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানান।
সোমবার সকাল ৮টায় শিক্ষকনেতৃবৃন্দ রামগঞ্জ পৌরসভার সামনে প্রতিবাদ সভা করেন।
রামগঞ্জ উপজেলা শিক্ষক সমিতির সভাপতি ফারুক হোসেনের সভাপতিত্বে, সাধারন সম্পাদক রফিক উল্যার পরিচালনায় প্রতিবাদ সভায় উপস্থিত ছিলেন রামগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আকম রুহুল আমিন, পৌরসভা মেয়র বেলাল আহম্মেদ, পৌর আ”লীগের সভাপতি আবুল খায়ের পাটোয়ারী, যুবলীগনেতা মোঃ মিরন, ফাহিম আক্তার খাঁন, মোশারফ হোসেন প্রমূখ।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মাহবুবল আলম জানান, কে কি করলো সেটা আমার দেখার বিষয় নয়। আমার উপস্থিতিতে শিক্ষকরা দায়িত্বে অবহেলা ও নকলে সহযোগীতা করার কারনে পাবলিক পরীক্ষা ২০০৩ এর সংশোধিত আইনের ৯ ধারা মোতাবেক আইনি ব্যবস্থা নিয়েছি। তিনি জানান শুক্রবার প্রথম দিন পরীক্ষা চলাকালী সময় বিভিন্ন হলে শিক্ষকদের কাছ থেকে শতাধিত মোবাইল ফোন উদ্ধার হলেও তাদের সতর্ক করে দিয়ে সাধারন ক্ষমা করে মোবাইল ফোন দিয়ে দেওয়া হয়েছে।
উপজেলা শিক্ষক সমিতির সভাপতি মোঃ ফারুক হোসেন ও রাধারন সম্পাদক রফিক উল্যা মাষ্টার জানান, শিক্ষকরা চোর ডাকাত নয় যে ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে তাদের জরিমানা করতে হবে।
0Share