ডেস্ক: ওয়াজ-মাহফিল থেকে উপার্জিত অর্থ ব্যক্তি করের আওতায় আনার প্রস্তাব করেছেন তরিকত ফেডারেশনের মহাসচিব ও লক্ষ্মীপুর-৩ রামগঞ্জ আসনের এমপি এম এ আউয়াল। তিনি বলেন, আমাদের দেশে ইসলাম ধর্মের দাওয়াতের নামে এক শ্রেণির আলেম অনেক টাকা ব্যক্তিখাতে উপার্জন করছেন। এই অর্থ করসীমার
অনেক উপরে। ব্যক্তি করের ঊর্ধ্বে থাকা এসব আলেমদের করের আওতায় আনার প্রস্তাব প্রত্যাশা করছি। শনিবার (২৭ জুন) বিকেলে জাতীয় সংসদে প্রস্তাবিত ২০১৫-১৬ অর্থবছরের বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এমন প্রস্তাব করেন।
এম এ আউয়াল বলেন, প্রতিবছরই বিপুল পরিমাণ অর্থ বিদেশে পাচার হয়ে যাচ্ছে। এর অন্যতম কারণ অপ্রদর্শিত অর্থের বিনিয়োগ না থাকা। আবাসন ক্ষেত্রে ও শেয়ারবাজারে অপ্রদর্শিত অর্থের বিনিয়োগের সুযোগ করে দেওয়া উচিত। এতে করে কালো টাকা পাচার ঠেকানো যাবে। দেশের অর্থনীতির জন্য সুফল ডেকে আনবে।
বাজেট প্রস্তাবনায় কাঁচা রাস্তা নতুন করে আর পাকা না করার ঘোষণার বিরোধিতা করে বলেন তিনি বলেন, অর্থমন্ত্রী নতুন করে কাঁচা রাস্তা পাকা না করার প্রস্তাব করেছেন। বিষয়টি দুঃখজনক। গ্রামীণ বাংলার অর্থনীতি এখন রাস্তার ওপর নির্ভরশীল। এখনও অনেক রাস্তা কাঁচা রয়েছে। কাঁচা রাস্তা পাকা না হলে গ্রামীণ অর্থনীতি চাঙ্গা না হওয়ার আশঙ্কা প্রবল।
বাজেটে ৬৫ বছরের ঊর্ধ্ব বয়সের মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য প্রস্তাবিত ১০ হাজার টাকায় উন্নীত করার প্রস্তাব যুক্তিসঙ্গত নয়। এ প্রস্তাবনা থেকে বের হয়ে সব মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ১০ হাজার টাকা বরাদ্দ করা প্রস্তাব দেন তিনি।
একই সঙ্গে প্রস্তাবিত বাজেটে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজ ও প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে সংকুচিত মূল্যভিত্তিতে ১০ শতাংশ মূসক নির্ধারণের প্রস্তাব করেন এম এ আউয়াল।
তিনি বলেন, বিষয়টি অত্যন্ত স্পশকাতর। আমাদের দেশে প্রতি বছর কয়েক লাখ শিক্ষার্থী উচ্চশিক্ষা গ্রহণের জন্য প্রস্তুত হয়। এর মধ্যে মাত্র ৩৯ শতাংশ শিক্ষার্থী পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তির সুযোগ পায়। বাকি অংশটি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে ভর্তি হয়। সেক্ষেত্রে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সাধারণত উচ্চহারে ফি গ্রহণ করা হয়ে থাকে। এখন প্রস্তাবিত বাজেট পাশ হলে সেটি শিক্ষার্থীদের এবং তাদের অভিভাবকদের জন্য দুশ্চিন্তা ডেকে আনবে।
বাজেটের সমালোচনাকারীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, বিগত ২০১৪-১৫ অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি অর্জনে দেশ যখন আশাতীতভাবে এগুচ্ছিল, তখন বিএনপি-জামায়াতের ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপে থমকে দাঁড়িয়েছিল অর্থনীতি। কিন্তু সংগ্রামের ভেতর দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার সকল বাধা বিপত্তি উপেক্ষা করে বাজেট বাস্তবায়ন করেছে। এরপর থেকে অদ্যাবধি প্রবৃদ্ধির প্রগতি থেমে থাকেনি। আগামীতেও প্রবৃদ্ধির এই ধারা অব্যাহত থাকবে।
বাংলানিউজের সৌজন্যে
0Share