নিজস্ব প্রতিনিধি: প্রতারক প্রেমিকের-প্রেমের ফাঁদে পড়ে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায় সুলতানা(১৮)। বিয়ের প্রলোভনে বাড়ি থেকে প্রেমিকের কাছে গিয়ে ৪০ দিন ধর্ষণের শিকার হয়। বিয়ে জন্য চাপ দিলে টাকা চায় প্রেমিক। টাকা দিলে বিয়ে করবে এমন আশ্বাসে সুলতানাকে টাকার জন্য বাড়ি পাঠিয়ে দেয় প্রেমিক রুপের সেই প্রতারক। বাড়ি ফিরে দরিদ্র বাবার কাছে টাকা চেয়েও পায়নি। উল্টো বকনি প্রতিবেশীদের আড় চোখে দেখা । এসব যহ্য করতে না পেরে অবশেষে আতœহত্যা করতে বাধ্য হয় সুলতানা। ঘটনাটি ঘটেছে লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলার চর লরেন্স গ্রামে।
শনিবার (১৬ জানুয়ারি) দুপুরে পুলিশ সুলতানা মৃতদেহ উদ্ধার করে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। এর আগে শুক্রবার (১৫ জানুয়ারি) রাতে সুলতানা গলায় ফাঁস দিয়ে আতœহত্যা করে। মৃত্যুর পূর্বে সুলতানা বসত ঘরের মাটির পিঁড়িতে একটি মোবাইল নম্বর (০১৮৭৯ ৩৯১১৯০) লিখে যায়।
নিহত সুলতানা কমলনগর উপজেলার চর লরেন্স ইউয়িননের বাসিন্দা জেবল হক খন্দকারের মেয়ে। তবে প্রতারক প্রেমিকের নাম পরিচায় কেউ জানেনা। তবে সে ফেনীর দাগনভূঁইয়া উপজেলার একটি ইটের ভাটায় কাজ করে বলে জানা গেছে।
সুলতানার মা খদেজা বেগম বলেন, সবার অজান্তে তার মেয়ের সঙ্গে অপরিচিত কারো সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এক পর্যায়ে বিয়ের প্রলোভনে পড়ে সুলতানা বাড়ি ছেড়ে ফেনীর দাগনভূঁইয়া পালিয়ে যায়। ১ মাস ১০ দিন পর জানুয়ারি মাসের ৬ তারিখে সুলতানা কে বাড়ি পাঠিয়ে দেয় টাকা নেয়ার জন্য। মেয়ে বাড়ি এসে টাকা চাইলে দরিদ্র বাবার পক্ষে সম্ভব হয়নি। এদিকে প্রতিবেশিরা অপমান করতে থাকে। এমন পরিস্থিতিতে লজ্জা, অপমান ও ক্ষোভে তার মেয়ে ঘরের আড়ার সাথে ফাঁস দিয়ে আতœহত্যা করে।
স্থানীয়দের ধারনা, ভন্ড প্রেমিক ১ মাস ১০ দিন ধরে সুলতানা কে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করে। এতে সুলতানা অন্তসত্তা হয়। তবুও বিয়ে না করে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়ায় সে আতœহত্যা করতে পারে।
কমলনগর থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) মানিক রতন বড়–য়া বলেন, মৃতদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। সুলতানা অন্তসত্তা কিনা তা ময়নাতদন্তের প্রতিবেদ না পাওয়া পর্যন্ত নিশ্চিত হওয়া যাবে না। এ বিষয়ে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
0Share