রায়পুর প্রতিনিধি: রায়পুর পৌর শহরে চার মার্কেটে মঙ্গলবার (২৭অক্টোবর) রাত এগারটায় দশটি ব্যবসা-প্রতিষ্ঠানে দুঃসাহসিক চুরি হয়েছে। এতে চরের দল ওই ব্যবসা- প্রতিষ্ঠানগুলোর সার্টারের তালা ভেঙ্গে এবং মুচড়ে একই কায়দায় চুরির ঘটনা ঘটায়। এ সময় তারা নগদ টাকা, ল্যাপটপ ও মোবাইল ফোন সেটসহ অন্তত ১০ লক্ষধিক টাকার মালামাল লুটে নেয়া হয় বলে ব্যবসায়ীদের দাবি। এ ঘটনায় মিয়াজী সুপার মার্কেটের নৈশ প্রহরী কামাল হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ। এদিকে চুরির ঘটনায় ব্যবসায়ীদের মধ্যে আতংঙ্ক বিরাজ করছে। এর আগে সোমবার (২৬ অক্টোবর) দুপুরে রায়পুর কাজী ফারুকী স্কুল এন্ড কলেজের ইংরেজী প্রভাষক আবু সায়েম চৌধুরীরর ভাড়া বাসায় তালা ভেঙ্গে চোরেরা ভিতরে ঢোকে। তার রায়পুর শহরের পানবাজারের রৌশন ভিলার বাসা থেকে ৪ ভরি স্বর্ণ, নগদ ৩১ হাজার টাকা ও ১৮ হাজার টাকার প্রাইজবন্ড নিয়ে গেছে।
থানা পুলিশ, পৌর মেয়র ও ব্যবসায়ী নেতারা বুধবার (২৮ অক্টোবর) সকালে ক্ষতিগ্রস্ত দোকানগুলো পরিদর্শন করে ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলেছেন। তবে বিকাল পর্যন্ত ব্যবসায়ীদের লুন্ঠিত মালামাল উদ্ধার ও ঘটনার সাথে জড়িত কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ। মূল হোতাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলে জানান পুলিশ।
ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, রায়পুর শহরের চারটি মার্কেটের ব্যবসায়ীরা মঙ্গলবার রাতে দোকান বন্ধ করে বাড়ি চলে যায়। বুধবার সকালে এসে চুরির ঘটনাটি দেখতে পায়। চোরেরদল মিয়াজী সুপার মার্কেটের কোহিনূর ফ্রেবিক্সের ২ লাখ ৫০ হাজার ৬১০ টাকা, নিউ আয়েশা গার্মেন্টেসের ১৫ হাজার, এশিয়ান শাড়ী এন্ড বস্ত্রালয় ৩০ হাজার, সোনিয়া ফ্যাশনের ৬৮ হাজার ৮ শ, ল্যাটেক সুজ ও ওয়ার্ড সুজের ২০ হাজার, হায়দার কমপ্লেক্সের নূরজাহান টেইলার্সের ৫৬ হাজার, প্রাইম সুজের ৬৫ হাজার , ডাচ্ বাংলা ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং’র রায়পুর অফিসের একটি ল্যাপটপ ও মোবাইল ফোন সেটসহ ছয় লাখ টাকা এবং সাব-রেজিষ্টার মার্কেটের মোবাইল ডট কমের দোকানের ৩৫ হাজার টাকা মূল্যের সার্ভিসিং মোবাইল সহ অন্যান্য মালামাল নিয়ে যায়।
রায়পুর থানার পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) বেলায়েত হোসেন বলেন, খবর পেয়ে দোকানগুলোতে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় এক ব্যবসায়ী থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। এক পাহারাদারকে আটক করে থানায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। লুন্ঠিত মালামাল উদ্ধার ও চোরদের আটক করতে পুলিশি তৎপর রয়েছে।
0Share