চন্দ্রগঞ্জ প্রতিনিধি: চন্দ্রগঞ্জ থানার হাজিরপাড়া ইউনিয়নের শিবপুর গ্রামে স্বামীকে গাছের সাথে বেঁধে রেখে স্ত্রীকে গণধর্ষণ করেছে একদল বখাটে। এ সময় তাদের সাথে থাকা একটি মটরসাইকেল, নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার
ছিনিয়ে নিয়ে যায় তারা। এ ঘটনায় শাকিল নামে এক ধর্ষককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ ব্যাপারে রোববার সকালে ধর্ষিতা গৃহবধূ বাদি হয়ে চন্দ্রগঞ্জ থানায় ৬ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন। ধর্ষিতা গৃহবধূকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। লোমহর্ষক এ ঘটনায় পুলিশ প্রশাসন ও এলাকায় ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি করেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে জেলার রায়পুর উপজেলার চরকাছিয়া গ্রামের আবুল কালাম (৩৫) তার স্ত্রীকে সাথে নিয়ে চিকিৎসার উদ্দেশ্যে নিজস্ব মটরসাইকেল যোগে নোয়াখালীর চৌমুহনী যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে হাজিরপাড়া বাজারের পূর্ব পাশে তিন রাস্তার মোড়ে পৌঁছলে শিবপুর গ্রামের জীবন নামে এক যুবক পূর্ব পরিচিতির সুবাদে আবুল কালামকে মটরসাইকেল থামাতে বলে।
এ সময় বখাটে যুবক জীবন তাদেরকে চা-নাস্তা খাওয়ানোর কথা বলে শিবপুর গ্রামের দিকে নিয়ে যায়। এরই মধ্যে জীবনের সাথে আরো কয়েক যুবক এসে যোগ দেয়। একপর্যায়ে শিবপুর গ্রামের নির্জন খোলা মাঠে নিয়ে জীবন ও তার সহযোগিরা গৃহবধূর স্বামী আবুল কালামকে একটি গাছের সঙ্গে বেঁধে রেখে গৃহবধূকে ৬ যুবক মিলে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এ সময় ওই গৃহবধূ ও তার স্বামীর সাথে থাকা একটি মটরসাইকেল, নগদ ৩৫ হাজার টাকা, একটি মোবাইল সেট ও স্বর্ণালংকার ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
এ দিকে ধর্ষিতা গৃহবধূ ও তার স্বামীকে বটগাছতল নামকস্থানে নিয়ে এসে একটি বাসে তুলে দেয়ার চেষ্টা করে কয়েক যুবক। এসময় গৃহবধূ ও তার স্বামী ঘটনাটি স্থানীয়দের জানানোর চেষ্টা করলে ঘটনার মূলহোতা জীবনের পিতা বাদল এসে ওই গৃহবধূ ও তার স্বামীকে বেদম মারধর করে।
খবর পেয়ে চন্দ্রগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ভিকটিম (ধর্ষিতা) ও তার স্বামীকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। এ ঘটনায় ধর্ষিতা গৃহবধূ বাদি হয়ে ঘটনার সাথে জড়িত ৬ যুবকের নাম উল্লেখ করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেছেন। আসামিরা হলো, হাজিরপাড়া ইউনিয়নের শিবপুর গ্রামের বাদলের ছেলে জীবন, মোঃ মুরাদের ছেলে শাকিল, নুরনবীর ছেলে রতন, নোমান মিয়ার ছেলে রাসেল, খোরশেদ আলমের ছেলে মাসুম ও পার্শ্ববর্তী ইউছুপ গ্রামের আবু মিয়ার ছেলে ফরহাদ।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে চন্দ্রগঞ্জ থানার ওসি হুমায়ুন কবির জানান, চাঞ্চল্যকর এ ঘটনায় জড়িত শাকিল নামে এক ধর্ষককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ছাড়া মটরসাইকেলসহ লুণ্ঠিত মালামাল উদ্ধার এবং জড়িত অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলে জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।
0Share