নিজস্ব প্রতিনিধি: লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার দত্তপাড়া ইউনিয়নের রমারখিল গ্রামে এক কিশোরী কে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দৈহিক মেলামেশার ঘটনায় ৫ মাসের অন্তস্বত্ত্বা হয়ে পড়েছে। বর্তমানে গর্ভের সন্তানের পিতৃ পরিচয় ও বিয়ের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন করে অন্তস্বত্ত্বা ভুক্তভোগী ওই কিশোরী।রোববার দুপুরে সদর উপজেলা দত্তপাড়া গ্রামের কৃষক পরিবার প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করে স্থানীয় একটি পত্রিকায় কার্যালয়ে এসে এ দাবী করেন। এ সময় লিখিত এক বক্তব্যে ভুক্তভোগী কিশোরীর বাবা ও কিশোরী জানান, পারিবারিক একটি সমস্যা থাকার কারনে সম্প্রতি তিনি ও তার স্ত্রী কুমিল্লা থাকার সুবাধে তার কিশোরী মেয়েকে রমারখিল গ্রামের বাড়িতে রেখে যায়। এ সুযোগে একই এলাকার মোঃ রফিকের পুত্র রনি হোসেন (শুকুর) বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ওই কিশোরী মেয়ে (১৮) কে একাধিকবার ধর্ষণ করে। এতে করে সে ৫ মাসের অন্তস্বত্ত্বা হয়ে যায়। পরবর্তীতে গর্ভের সন্তানের পিতৃ পরিচয় ও বিয়ের দাবীতে একাধিবার রনিকে বলা হলেও সে অস্বীকার করে যাচ্ছে।

 

 

 

 

 

 

 

 

পরে বিষয়টি নিয়ে নিয়ে স্থানীয় ইউপি মেম্বার শাহাদাত হোসেন ভুট্টুর কে অবহিত করলে তিনি রনি হোসেন কে আটক করে তার বাড়িয়ে নিয়ে যায়। পরে রহস্যজনক কারনে ছেড়ে দেয়। ঘটনার পর থেকে রণি হোসেন শুকুর পলাতক রয়েছে। এ ঘটনায় সুবিচারের জন্য প্রশাসনের নিকট জোর দাবী জানান ভুক্তভোগী পরিবার।

এ ঘটনায় অভিযুক্ত রণি হোসেন শুকুরসহ ৩ জনকে আসামী করে লক্ষ্মীপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতে কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।পরে আদালত এ ঘটনায় আসামীদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী প্ররোয়ানাও জারি করেন। তবে এখনো কেউ গ্রেফতার না হওয়ায় চিন্তিত পরিবারের সদস্যরা।

এ দিকে এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে চন্দ্রগঞ্জ থানার ওসি তদন্ত মোঃ এমদাদ জানান, গ্রেফতারি প্ররোয়ানা কপি থানায় এসেছে কিনা জানা নেই। আসলে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।