রায়পুর প্রতিনিধি: ঢাকার টঙ্গির চেরাগআলী মার্কেটের সামনে আদিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে মোঃ ওমর ফারুক (৪০) নামে সেচ্ছাসেবকদল নেতাকে সন্ত্রাসীরা কুপিয়ে হত্যা করেছে। নিহতের ঘটনায় লক্ষ্মীপুরের রায়পুরের গ্রামের বাড়িতে স্বজনদের কান্না থামছে না। নিহত ওমর ফারুক উপজেলার কেরোয়া ইউনিয়নের সাবেক সেচ্ছাসেবকদলের আহবায়ক এবং ৬নং ওয়ার্ডের মধ্য কেরোয়া গ্রামের বিলের বাড়ির ঢাকা বিমার বন্দরের কাষ্টমস অফিসের এসআই মৃত আব্দুল হাই এর পালক ছেলে এবং টঙ্গি চেরাগ আলী এলাকার আবুল কাশেমের জামাতা। নিহত নেতার জানাযার অপেক্ষায় তার স্বজন, গ্রামবাসী ও শুভাকাঙ্খীরা।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় (১ মার্চ) ঢাকার টঙ্গির চেরাগআলী মার্কেটের সামনে (শ্বশুর এলাকা-সুখ তরঙ্গ সড়ক) ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সন্ত্রাসীদের হাতে আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থা মারা যান সেচ্ছাসেবক দলের নেতা ওমর ফারুক।
নিহত নেতার মা মাহফুজা বেগম (৬০) মোবাইল ফোনে ও কয়েকজন স্বজন জানান, ছোট বেলায় পার্শ্ববর্তী রায়পুর ইউনিয়নের সায়েস্তানগর গ্রামের মৃত আব্দুল আওয়ালের ছেলে ওমর ফারুক কে পালক পুত্র হিসেবে বাড়িতে নিয়ে আসেন। এলাকায় কিছুদিন রাজনীতি করে আ’লীগ ক্ষমতা গ্রহণের সময় সে ওমনা চলে যায়। প্রায় ১০ বছর প্রবাসে থাকার পর ঢাকা টঙ্গির চেরাগ আলী মার্কেটের সামনে শ্বশুর এলাকায় স্ত্রী কহিনুর আক্তার ও দুই ছেলে এক মেয়ে নিয়ে জীবন যাপন করেন। তার স্ত্রী ও স্ত্রীর বড় বোন স্থানীয় যুবলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন। স্থানীয় চেরাগ আলী এলাকায় বাস ষ্ট্রান্ড এর লাইনম্যানের দায়িত্ব দেওয়া হয় ওমর ফারুককে। প্রায় দু’মাস আগে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দু’গ্রুপের মাঝে সংঘর্ষ হয়। তখনও ওমর ফারুক কুপিয়ে মারাতœক আহত করা হয়। দীর্ঘ দিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পূর্বের সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে ওমর ফারুকের লোকজনের সাথে স্থানীয় সন্ত্রাসীদের সংঘর্ষ হয়। এ সময় ওমর ফারুককে মাথা সহ শরীরের বিভিন্ন অংশে এলোপাতাড়ী কুপিয়ে মারাতœক যখম করে। স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে রাতেই তার মৃত্যু হয়। নিহত ওমর ফারুকের লাশ গাজীপুর হাসপাতালে ময়না তদন্ত করে গ্রামের বাড়ীতে আনার প্রক্রিয়া চলছে। এ ঘটনায় টঙ্গি থানায় নিহত নেতার নেতার স্ত্রী মামলার প্রস্তুতি নিয়েছেন।
কেরোয়া ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ড মেম্বার আরিফুর রহমান জানান, নিহত ওমর ফারুক ২০০১-২০০৬ পর্যন্ত ইউনিয়নের সেচ্ছাসেবক দলের দায়িত্ব পালন করেছিলেন। আ’লীগ ক্ষমতায় আসার পর সে বিদেশ চলে যায়। বিদেশ থাকার পর গত কয়েক বছর টঙ্গি চেরাগ আলী (শ্বশুর) এলাকায় পরিবার নিয়ে বসবাস করেন। রাতে তার লাশ গ্রামের বাড়িত আনা হলে পারিবারিক কবরস্থানে দাপন করা হবে।
0Share