সব কিছু
facebook lakshmipur24.com
লক্ষ্মীপুর শুক্রবার , ২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ভয়ঙ্কর প্রতারক প্রেমিক হারুন

ভয়ঙ্কর প্রতারক প্রেমিক হারুন

ভয়ঙ্কর প্রতারক প্রেমিক হারুন

আবুল কালাম আজাদ: ছদ্মনামে ফ্যাক্টরিতে চাকরি নেন তিনি। কৌশলে নানা প্রতারণার মাধ্যমে সহকর্মী তরুণীর সঙ্গে গড়ে তোলেন প্রেমের সম্পর্ক। তারপর পাতানো বিয়ের পর অর্থ সম্পদ লুটে নিয়ে কেটে পড়েন। অভিযোগ রয়েছে একাধিক খুনের সঙ্গে জড়িত থাকার। এ ভয়ঙ্কর প্রতারকের বাড়ি লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলার উত্তর চর কালকিনী গ্রামে। এমন তথ্য মিলেছে লক্ষ্মীপুরে আয়েশা আক্তার লিপি নামে এক তরুণী হত্যার সাত মাস পর লাশ শনাক্তের মধ্য দিয়ে। গত ৩ জুন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে ছবি দেখে ওই লাশ শনাক্ত করেন নিহতের স্বজনরা। এর আগে গত বছরের ৯ নভেম্বর লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার সুতার গোপটা এলাকার ধানক্ষেত থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

আয়েশা আক্তার লিপি কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার জগমোহনপুর গ্রামের আসলাম মিয়ার মেয়ে। এইচএসসি পর্যন্ত পড়ুয়া লিপি কুমিল্লা ইপিজেডের ইয়াং থাই সুয়েটার ফ্যাক্টরিতে চাকরি করতেন। প্রেমের সম্পর্কের পর বিয়ে করে পরিকল্পিতভাবে তাকে স্বামী হারুন ওরফে আবু সাঈদ সহযোগীদের নিয়ে হত্যা করে বলে অভিযোগ তার বাবা-মায়ের। আয়েশা আক্তার ছাড়াও আরো একাধিক নারীকে প্রতারণার মাধ্যমে বিয়ে ও হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে প্রতারক হারুনের বিরুদ্ধে। এলাকাবাসী বলছেন, হারুন ছোটবেলা থেকে চুরি-ডাকাতি, প্রতারণাসহ বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে সম্পৃক্ত।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

একাধিক নাম ব্যবহার করে লক্ষ্মীপুরের ছুটকীর সাঁকো এলাকা, কুমিল্লার লাকসাম, চৌদ্দগ্রামসহ বিভিন্ন এলাকায় প্রতারণার মাধ্যমে কমপক্ষে ৭/৮টি বিয়ে করে সে। কয়েক বছর আগে কুমিল্লার লাকসামে বিয়ে করা স্ত্রীকে হত্যারও অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। সে মেয়েদের কৌশলে প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিয়ে করে সব কিছু নিয়ে সটকে পড়ে। আয়েশার স্বজন ও পুলিশ জানায়, আয়েশা কুমিল্লা ইপিজেডের ইয়াং থাই সুয়েটার ফ্যাক্টরিতে চাকরি করতেন। একই প্রতিষ্ঠানে নিজের ও বাবার নাম গোপন রেখে সিকিউরিটি গার্ডের চাকরি নেয় লক্ষ্মীপুরের কমল নগর উপজেলার উত্তর চর কালকিনি গ্রামের ছৈয়াল বাড়ির নুর মোহাম্মদের ছেলে হারুন। পরে তরুণী আয়েশার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে গত বছরের ৯ সেপ্টেম্বর ৩ লাখ টাকা দেন মোহরে কোতোয়ালি থানার কাজী জহিরুল ইসলামের মাধ্যমে বিয়ে করে। কাবিনে হারুন ও তার সহযোগীরা প্রকৃত ঠিকানা গোপন করে। গত বছরের ৮ নভেম্বর হারুন কলকাতায় কথিত ভাইয়ের বাড়িতে বেড়ানোর কথা বলে স্ত্রী আয়েশাকে নিয়ে শ্বশুর বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফেরেনি। পরে তাদের মোবাইল ফোনে কল করে না পেয়ে থানায় জিডি করেন আয়েশার বাবা আসলাম। গত বছরের ৯ নভেম্বর লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার সুতার গোপটা এলাকায় ধানক্ষেত থেকে আয়েশার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরিচয় না পেয়ে বেওয়ারিশ হিসেবে তার লাশ লক্ষ্মীপুরে দাফন করে পুলিশ। ওই ঘটনায় লক্ষ্মীপুর থানার এসআই জাহাঙ্গীর বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন। পরে বিভিন্ন আলামতের ভিত্তিতে ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নের চরভূতা গ্রামের সিরাজ আনসারের ছেলে সোহেল (৩৩) ও লক্ষ্মীপুর পৌর সভার মধ্য বাঞ্চা নগরের আবুল কাশেমের ছেলে সোহেলকে (২৩) গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা আদালতের স্বীকারোক্তিতে জানায়, গত ৮ নভেম্বর রাতে ভবানীগঞ্জ বাজারের দক্ষিণে মেইন রোডের ওপর মেয়েটিকে (আয়েশা) দেখে পৌঁছে দেয়ার কথা বলে একটি খামারে নিয়ে যায়। পরে ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে লাশ ঘটনাস্থলে ফেলে রেখে যায়। এ মামলায় এসআই জাহাঙ্গীর ওই দুই আসামির বিরুদ্ধে ৩০২ ধারায় আদালতে চার্জসিট দেন। বর্তমানে জজ আদালতে মামলাটি বিচারাধীন রয়েছে। গত বুধবার লক্ষ্মীপুর জজ আদালত প্রাঙ্গণে আয়েশার মা নিলুফা আক্তার ও বাবা আসলাম মিয়া জানান, তার মেয়েকে কলকাতা বেড়ানোর পর জাপান নেয়ার কথা বলেই প্রতারক হারুন ওরফে আবু সাইদ তাদের বাড়ি থেকে বের করে নেয়। এ সময় পাসপোর্ট, মেয়ের জমানো দেড় লাখ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে যায়। টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার লুটের জন্যই প্রতারক হারুন তার সহযোগীদের নিয়ে তার মেয়েকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে। তারা এ হত্যার বিচার চেয়ে প্রতারক হারুনসহ আরো ৩ জনকে এ হত্যা মামলায় আসামি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানান। চরকালকীনি ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড সদস্য আবদুল খালেক জানান, হারুন একজন ভয়ঙ্কর অপরাধী। সে চুক্তিতে মানুষও খুন করে। তাকে গ্রেফতার করা গেলে অনেক খুনের রহস্য বেরিয়ে আসবে। এদিকে বিভিন্ন অপরাধে জড়িত থাকার কারণে হারুনকে কোর্ট এফিডেফিটের মাধ্যমে ২০০৬ সালে ত্যাজ্যপুত্র করা হয়েছে দাবি করে তার মা মনোয়ারা বেগম ও ভাই শাহাদাৎ হোসেন জানান, হারুন বিভিন্ন মামলায় একাধিকবার জেল খেটেছে। হারুনের সঙ্গে তাদের দীর্ঘদিন যোগাযোগ নেই বলে দাবি করে হারুনের ছবি দেখে শনাক্ত করেন। লক্ষ্মীপুরের পুলিশ সুপার আ স ম মাহাতাব উদ্দিন জানান, আদালতে মামলাটির পুনরায় তদন্তের আবেদন করা হলে সম্পূরক চার্জশিট দেয়া যাবে। আদালতের নির্দেশনা মতে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 

 

লক্ষ্মীপুর নিউজ আরও সংবাদ

রামগতিতে দিনব্যাপী প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত

সাংবাদিক জিয়া চৌধুরীর বাবা মাহাবুবের রহমান আর বেঁচে নেই

রামগতিতে আদালতের স্থিতাবস্থা মানছেন না অবৈধ ইটভাটার মালিকপক্ষ

গরমের শুরুতে রামগতিতে ভয়াবহ লোডশেডিং, ভোগান্তিতে উপকূলের গ্রাহক

রামগতিতে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে ৮ পরিবারের বসতঘর পুড়ে ছাই

কমলনগরে চার্টার্ড লাইফের মৃত্যু বীমা দাবি চেক হস্তান্তর

লক্ষ্মীপুরটোয়েন্টিফোর বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রনালয়ে অনলাইন নিউজপোর্টাল প্রকাশনার নিবন্ধনের জন্য আবেদনকৃত, তারিখ: 9/12/2015  
 All Rights Reserved : Lakshmipur24 ©2012- 2024
Editor & Publisher: Sana Ullah Sanu
Ratan Plaza(3rd Floor), ChakBazar, Lakshmipur, Bangladesh.
Ph:+8801794822222, WhatsApp , email: news@lakshmipur24.com