সব কিছু
facebook lakshmipur24.com
লক্ষ্মীপুর শনিবার , ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ঘুরে দেখুন লক্ষ্মীপুরের নয়নাভিরাম দৃশ্য

ঘুরে দেখুন লক্ষ্মীপুরের নয়নাভিরাম দৃশ্য

ঘুরে দেখুন লক্ষ্মীপুরের নয়নাভিরাম দৃশ্য

সানা উল্লাহ সানু: উপকূলীয় জনপদ লক্ষ্মীপুরে হাতছানি দিচ্ছে পর্যটন শিল্পের অপার সম্ভাবনা। এতদিন ভাবাহত লক্ষ্মীপুর পর্যটন শিল্প অনগ্রসর । কিন্তু এখন সে রকম ভাবনার কোন বিষয় নেই। কারণ আপনি চোখ খুলেই দেখতে পারেন লক্ষ্মীপুরেও আছে নয়নাভিরাম সব দৃশ্য। এই জেলার নামের সাথে নারিকেল,সুপারী আর ধানের কথা বলা হলেও মূলত জেলাবাসী মেঘনা নদীর কথা পরিচিতির সাথে জুড়ে দিতে পছন্দ করে। ইলিশ এখন এ জেলাবাসীর একমাত্র গর্বের ঐতিহ্য। আর কমলনগর ও রামগতির মহিষের দধি তো দেশ বিখ্যাত। সব কিছু মিলেই লক্ষ্মীপুর পর্যটনের এক সম্ভাবনাময় জেলা। তাই এবার ঈদের ছুটিতে জেলার পর্যটনময় লোকেশন গুলো নিয়ে লক্ষ্মীপুর টুয়েন্টিফোর ডটকমের বিশেষ প্রতিবেদন লিখেছেন সানা উল্লাহ সানু।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

মতিরহাট ও মেঘনার বুকে ভাসমান চর
জেলার সবচেয়ে আকর্ষণীয় স্থান কমলনগরের মতিরহাট মাছ ঘাট। প্রতিদিন এখানে কোটি টাকার ও বেশি মূল্যে ইলিশ মাছ বিক্রি হয়। বরফ ছাড়া তরতাজা এবং ১০০% ফরমালিন মুক্ত ইলিশ কিংবা সামুদ্রিক মাছ অথবা খাটিঁ মহিষের দুধ ও দই কিনতে হলে লক্ষ্মীপুরের এমন দ্বিতীয়টি আর নেই। এখানে প্রতিদিন জেলেরা নদী থেকে নানা প্রজাতির তাজা মাছ ধরে এই ঘাটে এনে উন্মুক্ত ভাবে বিক্রি করে। মৎস্য অধিদপ্তরের সাম্প্রতিক তথ্য মতে মতিরহাট মাছ ঘাট এখন দেশের ২য় বৃহত্তম নদীর মাছের অবতরণ ঘাট। এখানে আছে মতিরহাট বাজার রক্ষা ব্লক বাধঁ যা আপনাকে কক্সবাজারের স্বাদ দিতে বাধ্য। আর বিশাল বেলাভুমিতে আপনি হারিয়ে যেতে পারেন অজানা কোন স্থানে। ছোট ডিঙ্গি নৌকা ভাড়া করে ছুটে যেতে পারেন মেঘনার বুকে ভাসমান বিশাল চরে। দেখতে পাবেন এখানে এখন হাজারো তরুন-তরনী ভীড় করছে। নিজ চোখে দেখতে পারেন হাজার হাজার মহিষ আর ভেড়ার পাল। দেখতে পারেন টাকটা দুধ ধোহার দৃশ্য কিংবা নতুন তাজা মহিষের দধি। নিজ হাতেই চরের বুকে ছোট ছোট কুটুরি থেকে ধরতে পারেন চিড়িং মাছ। চরের বুকে টং ঘরে বসে রচনা করতে পারেন রবীন্দ্রনাথের মতো কোন বিশাল কাব্যনামা। চরের বুক কে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম মনে খেলতে পারেন ক্রিকেট কিংবা ফুটবল আর বিচবল। আর সব কিছুতেই মেঘনার বিদ্রোহী টেড তো সব সময়ই আপনাকে অভিভাবদন জানাবে। মতিরহাট ঘেষেইঁ চলে যাচ্ছে ভোলা-লক্ষ্মীপুরগামী ফেরি গুলো। মহাজনী পংখীরাজ নৌকাগুলো দেখে নিশ্চিত ভাবে আরব্য রজনীর সিন্দাবাদের কথা আপনাকে মনে করিয়ে দিবে। এত কিছু দেখার জন্য আপনাকে অবশ্যই সাথে করে ডিজিটাল ভিডিও কিংবা স্টিল ক্যামরা আনতে হবে। তাই শত ব্যস্ততার মাঝেও ছুটির দিন কিংবা বিশেষ দিনে তরুণ-তরুণী, নবদম্পত্তি ও বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষদের পদচারণে মুখরিত হয়ে উঠে এ স্থানটি।
এবার আসুন কিভাবে যাবেন: দেশের যে কোন স্থান থেকে লক্ষ্মীপুরের ঝুমুর নেমে সরাসরি সিএনজি যোগে কিংবা পিকআপ যোগে মতিরহাট অথবা সকল প্রকার যানে কমলনগরের তোরাবগঞ্জ বাজারে নেমে সিএনজি যোগে মতিরহাট যেতে পারেন।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

মজু চৌধুরীর হাট সুদৃশ্যমান সুইচগেট
লক্ষ্মীপুর জেলার ২য় মুগদ্ধকর স্থান মেঘনা তীরবর্তী মজু চৌধুরীর হাট।প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর, বিশাল জলরাশি যা সহজেই পর্যটকদের মুগ্ধ করে। জেলা শহর থেকে মাত্র ১২ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত মজু চৌধুরীর হাট। ভৌগলিক অবস্থান আর প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে ঘিরে এখানে গড়ে উঠতে পারে সম্ভাবনাময় পর্যটন কেন্দ্র। মজু চৌধুরীর ঘাট এলাকায় চারদিকে বাগান বেষ্টিত রাস্তার দুই পাশ জুড়ে রয়েছে আকাশমণি ও পাহাড়ি গাছের সমারোহ। রহমতখালী নদীর ওপর আধুনিক কারুকার্যে স্থাপিত সুদৃশ্যমান সুইচগেট। নয়াভিরাম প্রাকৃতিক নৈসর্গ, ভাসমান মাছ চাষ, মেঘনা নদীর মোহনায় নৌকা ভ্রমণে প্রতিনিয়তই জেলা ও জেলার বাইরের দর্শনার্থীদের আকৃষ্ট করে। মজু চৌধুরীর হাটে ফেরি ঘাট চালুর মাধ্যমে দেশের দক্ষিণ-পূর্ব ও পশ্চিম অঞ্চলের একুশটি জেলার সাথে এ স্থানের সহজ যোগাযোগের সেতু বন্ধন রচিত হওয়ায় বাড়ছে পর্যটকদের আনা গোনাও।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

রায়পুর মত্স্য প্রজণন কেন্দ্র
উন্নত জাতের মত্স্য রেণু ও মত্স্য পোনা উত্পাদন ক্ষেত্রে দেশের শীর্ষস্থানে আছে ‘রায়পুর মত্স্য প্রজণন ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র।’ রেণু ও পোনা উত্পাদনের সুনাম এবং দর্শনীয় স্থান হিসেবে বিভিন্ন দিকে ছড়িয়ে পড়ায় দেশের বিভিন্ন স্থানের লোকজনের পদাচরণায় মুখরিত থাকে প্রজণন কেন্দ্র এলাকা। উন্নতমানের রেণু ও পোনা উত্পাদন হওয়ায় দেশের বিভিন্ন স্থানের মত্স্য চাষিদের কাছে এ কেন্দ্রেটি সর্বাধিক সমাদৃত। দেশের মত্স্যচাষিদের রেণু পোনা সরবরাহের পাশাপাশি এ কেন্দ্রে উত্পাদিত পোনা মাছ এখন বহিঃবিশ্বেও সরবরাহও শুরু হয়েছে। এ বছর ২০ জুলাই শ্রীলংকার রাষ্ট্রদূত সারাত কে ওয়েরাগোডা রায়পুর মত্স্য প্রজণন কেন্দ্র পরিদর্শন করে নিজ দেশে এ দেশের পোনা মাছ নেয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেন। সরকারিভাবে প্রতিষ্ঠিত ২২ হেক্টর আয়তনের প্রজণন কেন্দ্রটিতে উত্পাদন শুরু হয় ১৯৮২ সনে। এটি এখন দেশের মত্স্য উত্পাদন বৃদ্ধিতে বিশেষ অবদান রাখছে। শত ব্যস্ততার মাঝেও ছুটির দিন কিংবা বিশেষ দিনে এ স্থানটি ঘুরে যেতে পারেন।
খোয়া সাগর দিঘী
লক্ষ্মীপুর কিংবা রায়পুর বাস ষ্টেন্ড থেকে সি এন জি যোগে যাওয়া যায়। প্রায় ২৫ একর এলাকা জুড়ে দালাল বাজার সংলগ্ন খোয়া সাগর দিঘী। কুয়াশাকে স্থানীয় ভাষায় ‘খোয়া’ বলা হয়। বলা হয়ে থাকে দিঘীর বিরাট দৈর্ঘ্য-প্রস্থের ফলে এক প্রান্ত দাঁড়িয়ে অন্য প্রান্তে কুয়াশাময় মনে হত বলে এ দিঘীর নাম খোয়া সাগর দিঘী। আনুমানিক ১৭৫৫ সালে জমিদার ব্রজ বল¬ভ রায় মানুষের পানীয় জল সংরক্ষণে এ দিঘীটি খনন করেন। এ দিঘী নিয়ে বহু উপ কথা ছড়িয়ে আছে। এটি এখন সাধারণ মানুষের আগ্রহের বস্তু।
রায়পুর জ্বীনের মসজিদ
লক্ষ্মীপুর কিংবা রায়পুর বাস ষ্টেন্ড থেকে সি এন জি যোগে এখানে যেতে পারবেন। দিল্লীর শাহী জামে মসজিদের মতো করে প্রায় ৪০০ বছর পূর্বে রায়পুরের ঐতিহাসিক জ্বীনের মসজিদ স্থাপিত হয়। অতি স্বল্প সময়ে বিশেষ ডিজাইনের এ মসজিদটি নির্মাণ এবং মসজিদটির সামনে দিঘী ও পাশে দিঘী কাটা, ইট তৈরী সাধ্যের অতীত ছিল এ কারণে স্থানীয় লোকজন একে জ্বীনের মসজিদ নামেই জানে। তিন গম্বুজ বিশিষ্ট সু-উচ্চ প্রাচীর নির্মিত মসজিদটি নীচে দক্ষিনাংশে অন্ধকার বিরাট প্রকোষ্ট রয়েছে। যাতে সারা বছর কালো পানি থাকে। দিল্লীর শাহী জামে মসজিদের নমুনায় নির্মিত জ্বীনের মসজিদটি আপনি ইচ্ছা করলে দেখে আসতে পারেন।
দালাল বাজার জমিদার বাড়ী
লক্ষ্মীপুর কিংবা রায়পুর চাদঁপুর বাস ষ্টেন্ড থেকে সি এন জি যোগে এখানে যেতে পারবেন। লক্ষ্মী নারায়ন বৈষ্ণব প্রায় ৪ শত বছর পূর্বে কলকাতা থেকে কাপড়ের ব্যবসা করতে দালাল বাজার আসেন। তার উত্তর পুরুষরা ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর বাণিজ্যিক এজেন্সী এবং পরে জমিদারী লাভ করেন। বাণিজ্যিক এজেন্ট হওয়ায় স্থানীয়রা তাদেরকে মনে প্রাণে গ্রহণ করেনি। তাদের ‘দালাল’ বলে আখ্যায়িত করেন। ১৯৪৬ এর সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় জমিদারগণ পালিয়ে গেলে তাদের পরিত্যাক্ত জমিদার বাড়ীটি রয়ে যায়। এটি আজ সংস্কার ও সংরক্ষণের অভাবে ধ্বংসের মুখে। প্রায় ৫ একরের এ জমিদার বাড়ীর সম্মুখের রাজগেট, রাজ প্রাসাদ, জমিদার প্রাসাদ, অন্দর মহল প্রাসাদ, বাড়ীর প্রাচীর, শান বাঁধানো ঘাট, নাট মন্দির, পুজা মন্ডপ, বিরাটাকারের লোহার সিন্দুক, কয়েক টন ওজনের লোহার ভীম প্রভৃতি দেখার জন্য দূর-দুরান্ত থেকে মানুষেএখানে ছুটে আসে। আপনাকে ও আমরা নিমন্ত্রন জানালাম।
কামানখোলা জমিদার বাড়ী
লক্ষ্মীপুর কিংবা রায়পুর চাদঁপুর বাস ষ্টেন্ড থেকে সি এন জি যোগে এখানে যেতে পারবেন। দালাল বাজারের কাছেই কামান খোলা জমিদার বাড়ী। জমিদার রাজেন্দ্র নাথ দাস পুত্র ক্ষেত্রনাথ দাস ও পৌত্র যদুনাথ দাস এবং যদুনাথ দাসের পৌষ্যপুত্র হরেন্দ্র নারায়ন দাস চৌধুরী পর্যায়ক্রমে জমিদারী করেন। রায়পুর উপজেলায় তাদের জমিদারী ছিল। দালাল বাজারের জমিদারদের সাথে শখ্যতা থাকায় এ জমিদারের বাড়ীর নিকটবর্তী কামান খোলায় ভূ-সম্পত্তি ক্রয় করে জমিদারী আবাস গড়ে তোলেন। বাড়ীর সদর দরজায় খালের পাড়ের জল টংগী, লাঠিয়াল ও রক্ষী বাহিনীর আবাস, সামনে দ্বিতল লম্বা বিরাটাকারের পুজা মন্ডপ। সুরক্ষিত প্রবেশদ্বার পেরিয়ে ভেতর বাড়ীতে অপূর্ব সৌন্দর্যের রাজ প্রাসাদ। বাড়ীর অভ্যন্তরে ভূগর্ভস্থ নৃত্য ও সালিশী কক্ষ তথা ‘আঁধার মানিক’ নামে খ্যাতে কক্ষ নিয়ে নানা মুখরোচক কাহিনী রয়েছে। হাতিমারা গেছে কিন্তু সে হাতির হাড় আছে। আছে লক্ষ্মী নারায়ন দেব বিগ্রহ। আসুন তবে এখানে।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

রামগঞ্জের লক্ষ্মীধরপাড়া দিঘী
ভোলাকোট ইউনিয়নের লক্ষীধরপাড়া গ্রামের এই দিঘীটি অনেক বড়। এর মধ্যখানে একটি হাওয়া ভবন আছে। নৌকা দিয়ে ঐ ভবনে যাওয়া যায়। এই দিঘীর চার পাশে জনবসতী আছে। অনেক বড় বড় মাছ এই দিঘীতে পাওয়া যায়। এ ছাড়া রামগঞ্জ শিশুপাক,কাটাখালী খাল, কাঞ্চনপুর দরগা শরীফ, হরিশ্চর দরগা শরীফ, শ্যামপুর দায়রা শরীফ, শ্রীরামপুর রাজবাড়ি, শ্রীরামপুর রাজবাড়ি ঘুরে আসতে পারেন।

রামগতির প্যারাবন
রামগতির চর গাজী ইউনিয়নের ভয়ারচর টাংকি বাজারের মেঘনা নদীর পাড়ের লক্ষাধিক ঝাউ বাগানের প্যারাবন এবং ত্রিমুখী খালের উপর ব্রীজ। আপনি পাখি ভালবাসলে ঘুরে আসতে পারেন রামগতি পৌরসভার সাহাপাড়া পাখি বাড়ি কিংবা চরগাজী ইউনিয়নের মীরবাড়ীর হাজারো বাদুর।

নারিকেল ও সুপারি বাগান

লক্ষ্মীপুর পুরো নারিকেল ও সুপারি চাষের জন্য বিখ্যাত। তবে বিশেষ করে রায়পুরের দালাল বাজারের পশ্চিমে চর মন্ডল, রাখালিয়া মহাদেবপুর, হায়দরগঞ্জের বিস্তীর্ণ নারিকেল ও সুপারি বাগারে ছায়া সুনিবিড় পরিবেশ পর্যটকদের আকৃষ্টনা করে পারে না। নারিকেল গাছের চিরল পাতার ফাকে বাতাসের ঝাপটা, সুউচ্চসুপারি গাছের সারি পর্যটকদের দৃষ্টি আকর্ষন করবেই। এ সংবাদটি অন্য কোন মাধ্যমে প্রকাশ করলে অবশ্যই লক্ষ্মীপুর টুয়েন্টিফোর ডটকম সূত্রটি লিখতে হবে।

ভ্রমণ | পর্যটন আরও সংবাদ

রামগতির চর আবদুল্যায় আটকে পড়া ২৬ পর্যটক উদ্ধার করলো নৌ-পুলিশ

লক্ষ্মীপুরে মেঘনাপাড়ের ঘাটগুলোতে তরুণদের ব্যাপক উচ্ছৃঙ্খলতা; সবাই চুপচাপ

লক্ষ্মীপুরের মতিরহাট মেঘনা বীচে বেলাভূমির পথে পথে

পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে লক্ষ্মীপুরের দালাল বাজার জমিদার বাড়ির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন

খোয়া সাগর দিঘি আর জমিদার বাড়ি ঘিরে লক্ষ্মীপুরের নতুন পর্যটন

লক্ষ্মীপুরে পর্যটন দিবস পালন

লক্ষ্মীপুরটোয়েন্টিফোর বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রনালয়ে অনলাইন নিউজপোর্টাল প্রকাশনার নিবন্ধনের জন্য আবেদনকৃত, তারিখ: 9/12/2015  
 All Rights Reserved : Lakshmipur24 ©2012- 2024
Chief Mentor: Rafiqul Islam Montu, Editor & Publisher: Sana Ullah Sanu.
Muktijudda Market (3rd Floor), ChakBazar, Lakshmipur, Bangladesh.
Ph:+8801794 822222, WhatsApp , email: news@lakshmipur24.com