লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার দুর্গম ও ভূখন্ড থেকে বিছিন্ন পাঁচটি চরে নিরাপদ কোনো আশ্রয়স্থান নেই। এ অবস্থায় চরগজারিয়া, তেলিরচর, আবদুল্যাহরচর, ঘাসিয়ারচর ও চর মুজামে বসবাসকারী নারী ও শিশুসহ প্রায় ২০ হাজার মানুষ চরম ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন। নিরাপদ আশ্রয়ে আনার জন্য দুই দিন ধরে চেষ্টা চালাচ্ছেন প্রশাসন। ঘরবাড়ি ও গবাদি পশু ছেড়ে আসতে চাইছেন না। অথচ ৫-৬টি মাটির কিল্লা ছাড়া ওই চরগুলোতে কোনো আশ্রয়কেন্দ্র নেই, নেই কোন বেড়িবাঁধ।
মেঘনার বুকের আটটি পৃথক চর নিয়ে গঠিত ‘দ্বীপ চর আবদুল্লাহ’ ইউনিয়ন। লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার এ ইউনিয়নের ৯টি ওয়ার্ডের মধ্যে মাত্র একটি ওর্য়াড রয়েছে মূল ভুখণ্ডের সঙ্গে। বাকি আটটি ওর্য়াড রয়েছে মেঘনা নদীর মাঝখানে।
চরগজারিয়া-তেলিরচরে দায়িত্বপ্রাপ্ত ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি-সিপিপি’র চর আবদুল্লাহ ইউনিয়নের টিম লিডার জয়নাল আবদীন জানান, ওই চরগুলোতে তাঁরা মেগাফোন বাজিয়ে এলাকায় সতর্ক সংকেত প্রচার করছেন। তবে চরে নিরাপদ আশ্রয়ের তেমন কোনো ব্যবস্থা না থাকায় লোকজনকে সরিয়ে নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। তিনি বলেন, চরে ৩০টি পরিবার বসবাসের যোগ্য আধাপাকা একটি গুচ্ছগ্রাম ভবন, টিনশেড তিনটি বিদ্যালয় ভবন ও কয়েকটি মাটির কিল্লা রয়েছে। তাতে মাত্র ২-৩ হাজার মানুষ আশ্রয় নিতে পারবেন।
স্থানীয় চর আবদুল্লাহ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন মঞ্জুর জানান, লোকজনকে উপজেলা সদরে মূল ভূখন্ডে নিরাপদ আশ্রয়ে নেওয়ার জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে ট্রলার পাঠানো হলেও ঘরবাড়ি ও গবাদি পশু ছেড়ে কোনোমতেই তাঁরা যেতে চাইছেন না।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউওনও) মো. আব্দুল মোমিন জানান, দুর্যোগ ব্যবস্থাপণা বিষয়ক বিশেষ সভায় বিচ্ছিন্ন চরাঞ্চলের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে লোকজনকে নিরাপদ আশ্রয়ে আনার জন্য দুই দিন ধরে ১০টি ট্রলার করে লোকজনকে নিরাপদ আশ্রয়ে নেওয়া হচ্ছে। যাঁরা কোনোমতেই আসতে চাইছেন না। তাঁদের চরেই নিরাপদ আশ্রয়স্থানে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে।
0Share