কাজল কায়েস:লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে সমস্যার শেষ নেই! ভাড়া করা ভবনে চলছে কার্যক্রম। ব্যবহার অনুপযোগী চেয়ার-টেবিলে বসেই কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অফিস করতে হচ্ছে। এছাড়া এক বছর ধরে বালাম বই না থাকায় গত পাঁচ বছরের সম্পাদিত দলিল বালামভুক্ত করা যাচ্ছে না। এতে জমির মালিকরা পাচ্ছেন না মূল দলিল। ফলে পোহাতে হচ্ছে নানা ভোগান্তি।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ১৯৪৬ সালে চন্দ্রগঞ্জ রেজিস্ট্রি অফিস স্থাপন করা হয়। শুরু থেকেই ভাড়া করা ভবনে কার্যক্রম চলে আসছে। নব্বই দশকে এখানে নিয়মিত একজন সাব-রেজিস্ট্রার দায়িত্ব পালন করতেন। ২০০১ সাল থেকে নিয়মিত সাব-রেজিস্ট্রারও প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। এখনো কোনো সাব-রেজিস্ট্রার নিয়োগ দেওয়া হয়নি। সদর উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রার ডেপুটেশনে সপ্তাহের দুদিন বুধ ও বৃহস্পতিবার চন্দ্রগঞ্জে অফিস করেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ২০১০-১১ অর্থবছরে চন্দ্রগঞ্জে সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের নিজস্ব ভবন নির্মাণের জন্য সরকার এক কোটি ৭৪ লাখ ২ হাজার ২০০ টাকা বরাদ্দ দেয়। কিন্তু জমি অধিগ্রহণে সংশ্লিষ্টদের সঠিক পরিকল্পনার অভাব এবং বাসিন্দাদের জমি দিতে অসহযোগিতার কারণে বরাদ্দকৃত টাকা ফেরত যায়। ২০১২-১৩ অর্থবছরে পুনরায় চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের রামকৃষ্ণপুর মৌজায় রেজিস্ট্রি অফিস ভবন নির্মাণকল্পে জমি অধিগ্রণের জন্য সরকার ৪৪ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়। পরে অজানা কারণে অর্থ মন্ত্রণালয় ওই বরাদ্দ বাতিল করে। এতে অফিস ভবন নির্মাণের পরিকল্পনা ভেস্তে যায়।
চন্দ্রগঞ্জ সাব-রেজিস্ট্রি অফিস সহকারী জামাল উদ্দিন বলেন, ‘গত এক বছর ধরে অফিসে বালাম বই নেই। ফলে ২০০৯ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত সম্পাদিত দলিল এখনো বালামভুক্ত করা সম্ভব হয়নি। এতে দলিল গ্রহীতারা তাদের মূল দলিল নিতে পারছেন না। ফলে জমির মালিকরা সীমাহীন ভোগান্তি পোহাচ্ছেন। অনেকে জরুরি প্রয়োজনে সই-মুহুরী নকল দলিল তুলে সাময়িক সমস্যা সামাল দিচ্ছেন।’
চন্দ্রগঞ্জ অফিসের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাব-রেজিস্ট্রার এস এ কে রেজাউল করিম বলেন, ‘নানা সংকটের মধ্য দিয়ে দাপ্তরিক কার্যক্রম চালাতে হচ্ছে। ভবন নির্মাণের জন্য নতুন করে অর্থ বরাদ্দ পেতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করা হয়েছে।’
0Share