পুলিশ কনস্টেবল মেহেদী হাসান দোলন। বান্দরবান জেলা পুলিশ লাইনে কর্মরত। গ্রামের বাড়ি লক্ষ্মীপুরের কমলনগরের পাটোয়ারীরহাট ইউনিয়নে। তিনি ওই এলাকার হাজ্বী ফারুকের ছেলে। বেতনের বড় একটা অংশ দিয়ে নিজের ঘরের রুমগুলোকে সাজিয়েছেন স্বপ্নের মতো। কিন্তু দোলনের স্বপ্নের স্থায়িত্ব বেশি দিন টিকেনি।
পরিবারের দাবি, গত মঙ্গলবার (৪ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত দুবৃত্তরা আগুন দেয় দোলনের বসত ঘরে। পুড়ে যায় ঘরের আসবাবপত্রসহ গুরুত্বপূর্ণ মালামাল। আগুন লেগে পুড়ে যায় ঘরে রাখা ১৫ ভরি স্বর্ণালঙ্কার, জমির দলিলপত্র, মোটর সাইকেল, ল্যাপটপসহ প্রয়োজনীয় মালামাল। স্বজনদের দাবি, এতে প্রায় ২৫লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। মূল বসত ঘর ছাড়াও আরেকটি ঘরে আগুন ছড়িয়ে পড়ে।
শুক্রবার (৭ফেব্রুয়ারি) সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গেলে দোলনের পিতা হাজ্বি ফারুক হোসেন জানান, ঘটনার সময় পরিবারের কেউ বাড়িতে ছিলেন না। ঘরের তালা বন্ধ সবাই করে দোলনের নানুর বাড়িতে গিয়েছিলো অসুস্থ এক স্বজনকে দেখতে। কে বা কারা বা কোথা থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে, আমরা নিশ্চিত হতে পারিনি।
উপজেলা ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা নুর আলম জানান, রাতে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছি। আগুনের সূত্রপাত ইলেকট্রিক শর্ট সার্কিট থেকে হতে পারে।
কিন্তু দোলনের মা নিলুফার ইয়াসমিন এ বক্তব্যকে উড়িয়ে দিচ্ছেন। ঘরের পুড়ে ছাঁই হওয়া ধ্বংসস্তূপ দেখাচ্ছেন, আর বিলাপ করছেন। তার অভিযোগ, আমরা বিদ্যুতের মেইন লাইন বন্ধ করেই গেছি। যদি বিদ্যুতের সংযোগ থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটতো, তবে পুরো ঘরের বিদ্যুতের সব লাইন পুড়ে যেত। কিন্তু ঘরের পিছনের অংশের বিদ্যুতের বোর্ড এবং তার এখনো অক্ষত। যে কেউ জানালার গ্লাস ভেঙে আগুন দিয়েছে।
কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুল আবছার বলেন, আগুনে পোড়া গেছে, বিষয়টি সম্পর্কে অবগত আছি। খোঁজ খবর নিয়েছি। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার থেকে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে।
0Share