সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও লক্ষ্মীপুরের কমলনগরের কৃতি সন্তান এডভোকেট আবদুস সাত্তার পালোয়ানের ফেসবুক লাইভের পর প্রাণ ফিরে পাচ্ছে রাজধানী ঢাকার মুগদা থানার একটি খাল। লাইভের পর ইতিমধ্যে ঢাকা সিটি কর্পোরেশন খালটি উদ্ধারে খালপাড়ে জমে থাকা ময়লার স্তুপ সরিয়ে নিচ্ছে। পাশাপাশি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে আর যাতে খালপাড়ে কোনভাবে কেউ ময়লা ফেলতে না পারে। এরই সাথে হাউজিং কোম্পানির অবৈধ রাস্তা কেটে পেলে সেখানে ব্রীজ নির্মার্ণের প্রকল্প শুরু করা হয়।
ঢাকার মুগদা থানার মান্ডা এলাকায় গ্রীণ মডেল টাউন সংলগ্ন তিনটি খালের মিলনস্থলে একটি হাউজিং কোম্পানি খাল ভরাট করে রাস্তা করে অন্যদিকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন মান্ডা খালের ওই স্থানে ২০বছরেরও বেশি সময় ধরে শহরের ময়লা গাড়িতে করে এনে ওখানে ফেলতে ফেলতে খালের নাব্যতা সংকট ও পানি দূষণ করে। এতে পানির দুর্গন্ধে ওই এলাকার পরিবেশের ভয়াবহ বিপর্যয় ঘটে। আবার এলাকায় বর্ষায় ময়লা পানির জলাবদ্ধতায় পুরো এলাকা দীর্ঘদিন বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়ে।
গত ২১ জুলাই ও ৩০আগস্ট সুপ্রিম কোর্টের এ আইনজীবী তার ফেসবুকের ফেইজ থেকে ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের এ খালটি উদ্ধারে একটি লাইভ দেন। যা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে কর্তৃপক্ষের নজরে আসে এবং দু’সপ্তাহের মাথায় সিটি কর্পোরেশন খালটি উদ্ধারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে শুরু করেছে।
এ নিয়ে মঙ্গলবার(১৭ সেপ্টেম্বর) সকালে ফেসবুকে ফলোআপ লাইভ এসে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আবদুস সাত্তার পালোয়ান বলেন, আমি ঢাকা সিটি কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানাই লাইভের পর দ্রুত খালটি পুনরুদ্ধারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য। দীর্ঘ ৪বছর ধরে এখানে ময়লা বিশাল স্তুপ। ময়লা ফেলার ভিন্ন জোন থাকলেও এখানে ময়লা ফেলা হতো। এ নিয়ে ভয়ে কেউ মুখ খুলতে চাইতো না। অবশেষে লাইভের পর পুনরুদ্ধার করা হচ্ছে ব্রীজ, ময়লার স্তুপ সরানোর সঙ্গে সঙ্গে খাল ফিরে পাচ্ছে নাব্যতা।
এ বিষয়ে জানতে কথা হয় সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আবদুস সাত্তার পালোয়ানের সঙ্গে। তিনি বলছিলেন, ভয়ে যখন কেউ মুখ খুলছিলনা, তখন আমি ২১ জুলাই ও ৩০ আগস্ট বিষয়টি নিয়ে লাইভ দেই। লাইভে কথা বলার জন্য স্থানিয় একজন মুক্তিযোদ্ধা ও ৪ জন বাড়িওলায়াকে অনুরোধ করলেও তারা কথা বলতে অস্বীকৃতি প্রকাশ করে। তবুও বিষয়টি নিয়ে আমি লাইভ করি। এরপর বিষয়টি কর্তৃপক্ষের নজরে আসলে দ্রুত সময়ের মধ্যে খাল থেকে ময়লা সরানো শুরু হয় এবং ময়লা যাতে ফেলতে না পারে সেজন্য মজবুত বেড়া তৈরি করেন। সাথে সাথে হাউজিং কোম্পানির অবৈধ রাস্তা কেটে পেলে সেখানে ব্রীজ নির্মার্ণের পকল্প শুরু করে।
0Share