সব কিছু
facebook lakshmipur24.com
লক্ষ্মীপুর শুক্রবার , ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
ভাসান চরের নদী শাসনের মডেল দেশের নদী ভাঙ্গন কবলিত এলাকায় প্রয়োগ করা হোক

ভাসান চরের নদী শাসনের মডেল দেশের নদী ভাঙ্গন কবলিত এলাকায় প্রয়োগ করা হোক

471
Share

ভাসান চরের নদী শাসনের মডেল দেশের নদী ভাঙ্গন কবলিত এলাকায় প্রয়োগ করা হোক

এ মুহুর্তে দেশের বহু এলাকায় নদী ভাঙ্গছে। যার মধ্যে লক্ষ্মীপুরের কমলনগর, রামগতি এবং রায়পুর উপজেলাও রয়েছে। বর্ষাকাল আসলে নদী ভাঙ্গনের গতি বাড়ে। তখন স্থানীয়দের আর্তনাদ, আন্দোলন আর নেটিজনদের ফেসবুক বার্তা চোখে পড়ে। কিন্ত যুগযুগ ধরে এমন চলতে থাকলেও ভাঙ্গন কবলিত মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন চোখে পড়ে না।

নদী ভাঙ্গনরোধ বিষয়ের যত পদক্ষেপ দেশে ছিল তার মধ্যে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠির জন্য প্রস্তুতকৃত ভাসান চরের নদী শাসনের বিষয়টি আলোচিত। ভাসান চরের ঢেউ গতিরোধক বাঁধটি নদী শাসনের অত্যন্ত কার্যকর বলেই মনে হচ্ছে।

সে কারণে উক্ত বাঁধের মডেলে দেশের অন্যান্য অঞ্চলের নদী ভাঙ্গন এলাকায়ও কিছু পদক্ষেপ নেয়া যেতে পারে বলে আমরা মনে করি।

ভাসান চরের ঢেউ গতিরোধক বাঁধ কি এবং এর কাজ কি ?

ভাসান চরের অবকাঠামো গুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে চরের ঢেউ গতিরোধক বাঁধ । যে বাধেঁর কারণে ভাসান চর সমুদ্রের প্রবল ঢেউয়ের আঘাত থেকে রক্ষা পাবে। ধীরগতির ভাঙন প্রতিরোধে চরের মূল ভূখন্ড থেকে ৪০০-৫০০ মিটার দূরে ওয়েভ স্ক্রিন পাইলিং, গ্র্যাভেল স্থাপন ও জিও ব্যাগ সংবলিত তিন স্তরের প্রতিরোধ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তিন কিলোমিটার এলাকা জুড়ে তৈরি করা হয়েছে এ ঢেউ গতিরোধক বাঁধ। এ বাঁধ তৈরিতে নদীর বুকে পাইপের পিলার বসানো হয়েছে। যেটাকে বলা হয়েছে পাইলিং। ২৪ মিটার পাইলিং পাইপের ১৪ মিটার মাটির নিচে এবং ১০ মিটার উপরে রাখা হয়েছে।

প্রতি ২ পাইলিং পাইপের মাঝখানে কিছু বুম বসানো হয়েছে। বুমগুলো জোয়ারের সময় পানিতে ভেসে উপরে উঠে। আবার ভাটার সময় নিচে নেমে যায়। সমুদ্রের বড় বড় ঢেউ এই বুমে এসে আছড়ে পড়ে তার গতি কমে যায়। এতে করে বুমের অন্য অংশ বা চরের কাছের পানি শান্ত থাকছে। অর্থাৎ ভাসানচরকে ভাঙনের হাত থেকে রক্ষা করছে এ বাঁধ।

তিন কিলোমিটার ঢেউ গতিরোধক বাঁধে মোট ১২৯টি পাইল এবং ১২৭টি বুম ব্যবহার করা হয়েছে। প্রতিটি পাইপের ঘনত্ব ১৬ মিলিমিটার।

পতেঙ্গা পয়েন্ট থেকে ৫১.৮ কিমি, হাতিয়া থেকে ২৪.৫ কিমি ও সন্দ্বীপ থেকে ৮.৩ কিমি দূরের ভাসানচরে প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এজন্য বঙ্গোপসাগরে গত ১৭২ বছরে হওয়া সব ধরনের ঝড়ের ডাটা বিশ্লেষণ করা হয়েছে।

পাশাপাশি ১০ হাজার বছর ধরে এ অঞ্চলের প্রাকৃতিক দুর্যোগের গতি-প্রকৃতি বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ৯ ফুট উচ্চতার ১২.১ কিমি বাঁধের নির্মাণ শেষ হয়েছে। এ বাঁধকে আট স্তরে কমপেকশন করা হয়েছে। বাঁধে রয়েছে ১৮টি স্লুইস গেট।

প্রায় ১৩ হাজার একর আয়তনের ভাসানচর সংলগ্ন সমুদ্রতীর ও বাঁধসংক্রান্ত বিষয়ে পরামর্শক হিসেবে কাজ করেছিলেন ব্রিটিশ কোম্পানি এইচআর ওয়ালিংফোর্ড। বাংলাদেশ নেভির এ প্রকল্পে নির্মাণ সহযোগী হিসেবে ছিলেন চায়না রেলওয়ে কনস্ট্রাকশন করপোরেশন (সিআরসিসি)। সিআরসিসি’র কোয়ালিটি কন্ট্রোলার (কিউসি) হিসেবে ছিলেন বাংলাদেশী ইঞ্জিনিয়ার ইসমাঈল আকন্দ।

আমরা জানি ভাসান চরের এ চোখ ধাঁধানো অবকাঠামো নির্মাণে আর্ন্তজাতিক কমিউনিটির আর্থিক সহযোগীতা আছে। কিন্ত ভাসান চরে নদী শাসনের যে পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে এবং তাতে যে অভিজ্ঞতা হয়েছে তা কি দেশের নদী ভাঙ্গন কবলিত অঞ্চলে প্রয়োগ করা যায় না ?

তথ্য সূত্র: বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রকাশিত প্রতিবেদন

মতামত | সাক্ষাৎকার আরও সংবাদ

কৃত্রিম ভুলুয়া এখন রামগতি ও সুবর্ণচরের দানব

শতবর্ষী টুমচর ইসলামিয়া কামিল মাদরাসা

রিপোজটরি সাইট গিটহাবে বাংলাদেশী ডেভেলোপার আরমান হাকিম সাগরের কান্ট্রিবিউশন

নিবন্ধনের জন্য প্রথমদিকে আবেদিত নিউজ পোর্টালগুলোর নিবন্ধন পেতে আর কত বছর?

স্বামীকে গলাকেটে হত্যা | ঘটনার এপিঠ-ওপিঠ

ওয়েব ডেভেলপার হিসেবে বাংলাদেশেও জেন্ড সার্টিফাইড ইঞ্জিনিয়ারদের চাহিদা বাড়ছে

লক্ষ্মীপুরটোয়েন্টিফোর বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রনালয়ে অনলাইন নিউজপোর্টাল প্রকাশনার নিবন্ধনের জন্য আবেদনকৃত, তারিখ: 9/12/2015  
 All Rights Reserved : Lakshmipur24 ©2012- 2024
Chief Mentor: Rafiqul Islam Montu, Editor & Publisher: Sana Ullah Sanu.
Muktijudda Market (3rd Floor), ChakBazar, Lakshmipur, Bangladesh.
Ph:+8801794 822222, WhatsApp , email: news@lakshmipur24.com