সব কিছু
facebook lakshmipur24.com
লক্ষ্মীপুর বৃহস্পতিবার , ২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
লক্ষ্মীপুরের রাজনীতি, প্রশাসন ও উন্নয়নে ঘটনা বহুল ২০১৭

লক্ষ্মীপুরের রাজনীতি, প্রশাসন ও উন্নয়নে ঘটনা বহুল ২০১৭

লক্ষ্মীপুরের রাজনীতি, প্রশাসন ও উন্নয়নে ঘটনা বহুল ২০১৭

নিজস্ব প্রতিনিধি: নানা ধরনের ব্যর্থতা, হতাশা, আলোচনা-সমালোচনার রেশ টানতে টানতে ২০১৭ সালকে বিদায় জানাচ্ছে লক্ষ্মীপুরবাসী। অত্যন্ত আনন্দঘণ পরিবেশের মধ্যদিয়ে লক্ষ্মীপুরে ২০১৭ সালের যাত্রা শুরু হলেও বেদনাদায়ক পরিবেশের মধ্য দিয়ে বছরটির সমাপ্তি ঘটছে। ২০১৭ সাল ছিল লক্ষ্মীপুরের রাজনীতি, প্রশাসন ও উন্নয়নের ঘটনা বহুল বছর। নানা স্বাদের সে ঘটনা গুলো কে পিছনে ফেলে নতুন আশায় কয়েক ঘন্টা পর ২০১৮ সাল কে স্বাগত জানাবে জেলাবাসি। তবে তার আগে একটু নজর দিয়ে আসি  ২০১৭ সাল লক্ষ্মীপুরবাসির কাছে কেমন ছিল?

লক্ষ্মীপুরের রাজনীতি ও উন্নয়নে ২০১৭

১। এ বছর জেলাবাসির জন্য সুখবর ছিল ২৭ বছর পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার লক্ষ্মীপুর আগমন। ১৪ মার্চ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর লক্ষ্মীপুর সফরকে কেন্দ্র করে বছরের শুরুর দিকে জেলার রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনসমূহের মধ্যে চাঙ্গাভাব বিরাজমান ছিল। লক্ষ্মীপুর ছিল উৎসবের নগরী। প্রধানমন্ত্রীর সফরকে সামনে রেখে জেলা প্রশাসন, রাজনৈতিক দল ও সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে লক্ষ্মীপুর জেলাকে অপরূপ সাজে সাজিয়েছিল। প্রধানমন্ত্রীর সফরের সময় ১০টি প্রকলেল্পর উদ্বেধন, ১৭টি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছিল। এসবের মধ্যে মজুচৌধুরীর হাট নৌ বন্দর ও লক্ষ্মীপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এ দু’টি প্রকল্প ছিল জেলাবাসীর দীর্ঘদিনের প্রাণের দাবি।

কিন্তু দীর্ঘ ৯ মাস পেরিয়ে গেলেও এসব প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য স্থানীয় প্রশাসনের দৃশ্যমান কোন উদ্যোগ পরিলক্ষিত হয়নি। এসব প্রকল্পের অগ্রগতি সম্পর্কে সাংবাদিকদের জানাতেও প্রশাসন নারাজ ছিল।

২। অতিসম্প্রতি লক্ষ্মীপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শাহজাহান কামাল লক্ষ্মীপুরের মজুচৌধুরীর হাট নৌ বন্দর থেকে সদরঘাট লঞ্চ সার্ভিস চালু করার জন্য নৌ মন্ত্রী বরাররে একটি ডিও লেটার দিয়েছেন। ফেসবুকে সে ছবি প্রকাশিত হয়েছে। নৌ বন্দর নিয়ে দৃশ্যমান অগ্রগতি এটুকুই। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার অগ্রগতি সম্পর্কে জানা যায়নি।

লক্ষ্মীপুরের রাজনীতির বছর ২০১৭

৩। বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ছাড়া এ বছর লক্ষ্মীপুরে রাজনৈতিক অঙ্গণেও শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান বিরাজমান ছিল। এ বছর সবচেয়ে বড় চমক ছিল জেলা যুবলীগের কমিটি গঠন। ব্যাপক আনন্দ উৎসবের মধ্য দিয়ে ১৩ বছর পর এ কে এম সালাহ উদ্দিন টিপু জেলা যুবলীগের সভাপতি ও আবদুল্যাহ আল নোমান সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। এ ছাড়াও মিয়া মোহাম্মদ গোলাম ফারুক পিংকু ও এড. নুর উদ্দিন চৌধুরীর নেতৃত্বে আওয়ামীলীগ ও চৌধুরী মাহমুদুন্নবী সোহেল ও রাকিব হোসেন লোটাসের নেতৃত্বে ছাত্রলীগ অনেক সফলতার সাথে সাংগঠনিক কর্মকান্ড চালিয়েছেন।

৪। বছরের শেষের দিকে বিএনপি’র আভ্যন্তরীন বিরোধ অনেকটা প্রকাশ্যে রূপ নেয়। ৫জানুয়ারি নির্বাচন কেন্দ্রীক নিহতদের স্মরণেও পৃথক স্মরণ সভার আয়োজন করা হয়। ছাত্রদলের পাল্টাপাল্টি কমিটি, সাবেক এমপি ও বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানির বাসভবনে হামলা ও গ্রুপিংয়ের মধ্যদিয়ে বিএনপি নেতা কর্মীরা অনেকটা বিব্রত অবস্থার মধ্যদিয়ে বছরের শেষদিনগুলো পার করেছে।

লক্ষ্মীপুর  প্রশাসনের ২০১৭ 

৫। ২০১৭ সালের একেবারেই শেষের দিকে “আমি ও আমার অফিস দুর্নীতিমুক্ত ঘোষণা দিয়ে” নিজের অফিসে সাইনবোর্ড টাঙ্গিয়ে আশাহত জেলাবাসীর মাঝে কিছুটা প্রাণ সঞ্চর করলেন পুলিশ সুপার আ স ম মাহাতাব উদ্দিন।

৬। ২০১৭ সালের শুরুতে লক্ষ্মীপুরের জেলা প্রশাসকের দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন জিল্লুর রহমান চৌধুরী।এরপর তিনি চট্টগ্রাম হয়ে শেষ পর্যন্ত স্থান করে নিলেন সচিবালয়ের গুরুত্বপূর্ণ জায়গায়।

৭। লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসনের এডিসি জেনারেল শেখ মুর্শিদুল ইসলাম লাঞ্ছিত হবার ঘটনাটি জেলাবাসীর হৃদয়ে যতটুকু দাগ কেটেছে, তার চেয়ে বেশী দাগ কেটেছে এ নিয়ে গৃহীত পরবর্তী ঘটনাসমূহে। একজন এডিসি ও সাবেক সিভিল সার্জনের মধ্যকার ঘটনাটি মিমাংসার উদ্যোগ না নেয়া বা যথাযথ আইনগত পক্রিয়ায় মোকাবেলা না করা।

বার বার জানতে চাওয়ার পরেও সাংবাদিকদের নিকট প্রকৃত ঘটনা না বলে এড়িয়ে চলা। জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে একাধিক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট থাকা স্বত্ত্বেও লক্ষ্মীপুর সদরের ইউএনওকে ডেকে নিয়ে বেআইনীভাবে ডিসি অফিসে মোবাইল কোর্ট বসানো। বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে (কাকলি শিশু অঙ্গণ) পরীক্ষা গ্রহণের জন্য ইউএনও এবং এডিসিকে তদারকি কর্মকর্তা নিয়োগ দিয়ে চিঠি তৈরী এবং সে চিঠি ফেসবুকে প্রচার করা, হাইকোর্টে ওই চিঠি নিয়ে হাস্যরসাত্মক পরিবেশের সৃষ্টি হওয়া। এসব ঘটনাবলীতে লক্ষ্মীপুর জেলা এবং জেলার অধিবাসীদের সুনাম চরমভাবে ক্ষুণ হয়েছে। এসব ঘটনায় জেলা প্রশাসকের ভূমিকা নিয়ে পর্যবেক্ষক মহলের অভিযোগ গুরুতর!

৮। লক্ষ্মীপুর জেলার সংবাদকর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ অতীতে সবসময়ে জেলা প্রশাসনমূখী ছিল। সংবাদ কেন্দ্রিক যে কোন প্রয়োজনে সংবাদকর্মীরা ডিসি অফিস এবং এসপি অফিসে ছুটে যেতেন। সংবাদকর্মীদের জন্য এসপি অফিসের দরজা খোলা থাকলেও সাম্প্রতিক সময়ে ডিসি অফিসের দরজা অনেকটা রুদ্ধ হয়ে গেছে।

জিল্লুর রহমান চৌধুরী ১১ মে লক্ষ্মীপুর থেকে চট্টগ্রাম বদলী হয়ে যাবার পর ডিসি অফিসের সাথে স্থানীয় সংবাদকর্মীদের সম্পর্কের ভাটা পড়ে। সাধারণের কথা নাইবা বলি, সংবাদকর্মীরা সংবাদ কেন্দ্রিক মতামতের জন্য প্রশাসনের সাথে যোগাযোগ করতেও ব্যর্থ হচ্ছে। কোন কারণ ছাড়াই জেলা প্রশাসন সাংবাদিকদের এড়িয়ে মিডিয়া বিমূখ প্রথা চালু করেছেন।

৯। লক্ষ্মীপুরের জেলা প্রশাসনের সাথে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে স্থানীয়দের একটা সখ্যতা ছিল। বর্তমানে সেখানেও ভাটা পড়েছে। জেলার ফেসবুক সেলিব্রেটিদের জেলা প্রশাসনের আইডি থেকে ব্লক করে দেয়া হয়েছে। এটি নিয়েও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিস্তর হৈ চৈ হয়েছে।

১০। জেলার ৫টি উপজেলার মধ্যে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ নুরুজ্জামান ২০১৫ সালের শেষের দিকে লক্ষ্মীপুরে যোগদানের পর থেকে কাজে কর্মে, সততা, স্বচ্ছতা ও দক্ষতায় উপজেলাবাসীর মাঝে ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করেন। সাম্প্রতিক সময়ে ডিসি অফিসে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার ঘটনায় তাঁকে হাইকোর্টে তলব করা হয়। এ ঘটনার পূর্বাপর বিষয় নিয়ে সর্বসাধারণের মধ্যে চুলচেরা বিশ্লেষণ এখনো অব্যাহত রয়েছে।

এ ঘটনায়ও ইউএনও ভক্তদের অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিন্ন! এ ছাড়াও রামগঞ্জের ইউএনও মোহাম্মদ আবু ইউসুফ, রায়পুরের ইউএনও শিল্পী রানী রায় আগ থেকেই কর্মরত রয়েছেন। রামগতির ই্উএনও আজগর আলী এবং কমলনগরের ইউএনও নাসির উদ্দিন সারোয়ার ২০১৭ সালে যোগদান করেন। উপজেলা পর্যায়ে সকল নির্বাহী কমকর্তাগণ দক্ষতার পরিচয় দিয়ে যাচ্ছেন।

লক্ষ্মীপুরের হতাশর বছর ২০১৭ 

১১। এ বছর বিজয় দিবসকে সামনে রেখে ব্যবসায়ীদের নিকট থেকে মাত্রাতিরিক্ত চাঁদা আদায় নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জেলা প্রশাসনের বিস্তর সমালোচনা হয়েছে। লক্ষ্মীপুর ডায়াগনষ্টিক মালিক সমিতির সেক্রেটারী নুরুল হুদা ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন। এ বিষয়টি সকলের নিকট দৃষ্টিকটু হয়েছে।

১২। বর্তমানে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দুর্নীতি বিরোধী দৃশ্যমান কোন অভিযান নেই। যার কারণে জেলা প্রশাসনের অধিনস্ত অফিসসমূহ দুর্নীতি অনিয়মের আখড়ায় পরিণত হয়েছে। ইউনিয়ন ভূমি অফিস ও উপজেলা ভূমি অফিসে বিনামুল্যে সেবা পাওয়ার বিষয়টি কল্পনাতীত হয়ে পড়েছে। অতিমাত্রায় ঘুষ আদায় প্রসঙ্গে ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তাসহ অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নাম প্রকাশ না করার শর্তে যা বলেন, সেটি অত্যান্ত দুঃখ,হতাশা ও উদ্বেগজনক।

১৩। টিআর, কাবিখা, কাবিটা,অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান প্রকল্পসহ জেলা প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণে বাস্তবায়িত প্রকল্পমসূহের কাজের মান নিয়েও স্থানীয়দের অভিযোগের অন্ত নেই। অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ের মেয়াদ প্রায় শেষ হয়ে গেলেও কোথাও সাইনবোর্ড টাঙ্গানো হয়নি। কয়েকদিন যাবত জেলা প্রশাসনের ওয়েব পোর্টাল ভিজিট করেও কোন প্রকল্পের তালিকা পাওয়া যায়নি। যার কারণে এসব প্রকল্প কাগুজে প্রকল্প হিসেবে বাস্তবায়নের সম্ভবনা ক্রমেই জোরালো হয়ে উঠছে।

লক্ষ্মীপুরে আশা জাগানো ২০১৭

১৪। পূর্বের ধারাবাহিকতায় ২০১৭ সনেও পুলিশ প্রশাসন জেলাব্যাপী আইন-শৃঙ্খলার লাগাম শক্ত হাতে ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছে। যার কারণে এক সময়ের সন্ত্রাসের জনপদ লক্ষ্মীপুরে এখন কোন প্রাইভেট বাহিনীর অস্তিত্ব নেই। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর দৃঢ়তার কারণে বড় ধরণের কোন অপরাধ সংঘঠনের কোন সুযোগ নেই বললেই চলে।

১৫। মাদক নির্মূলে পুলিশী অভিযানের পাশাপাশি পুলিশ সুপার মাহাতাব উদ্দিন দাবা, ব্যাডমিন্টন, ক্লাব-পাঠাগারে বই বিতরণসহ তরুণদেরকে মাদক বিমুখ করতে নানাভাবে উদ্ভূদ্ধ করে যাচ্ছেন। এতে মাদকের ভয়াবহতা অনেক কমে এসেছে। সব মিলিয়ে জেলার সাধারণ নাগরিকগণ শান্তি-শৃঙ্খলার মধ্যদিয়ে নির্বিঘ্নে বসবাস করছেন। আইন-শৃঙ্খলার উন্নতির কারণে ব্যবসা বাণিজ্যে উন্নতি সাধিত হচ্ছে। এতে জেলার পুলিশ প্রশাসনে সুনামের ধারাবাহিকতা বজায় রয়েছে।

১৬। লক্ষ্মীপুর সদর থানার ওসি ৮ বারের শ্রেষ্ঠ ওসির পুরস্কার প্রাপ্ত হয়েছেন। তিনি স্বল্প সময়ের মধ্যে লক্ষ্মীপুর শহরকে নিরাপদ শহর হিসেবে গড়ে তোলেন। এ ছাড়াও রামগতি থানার ওসি মোঃ ইকবাল হোসেন, কমলনগর থানার ওসি আকুল চন্দ্র বিশ্বাস, রায়পুর থানার ওসি এ কে এম আজিজুর রহমান মিয়া ও রামগঞ্জ থানার ওসি তোতা মিয়া পুলিশ সুপারের কঠোর নির্দেশনা অনুযায়ী কঠোর হস্তে আইন-শৃঙ্খলার নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রেখেছেন।

২০১৭ সালেও লক্ষ্মীপুরে  যা হয়নি 

সদর উপজেলায় এসিল্যান্ড এর পদটি কয়েক মাস যাবত শূন্য রয়েছে। কমলনগর উপজেলা প্রতিষ্ঠার পর থেকে অদ্যাবদি সেখানে কোন এসিল্যান্ড পোষ্টিং দেয়া হয়নি। এছাড়া কমলনগর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা এবং ইজিপিপি প্রকল্পের এএসও পদ শূন্য, রায়পুরের পিআইও পদে একজন কর্মরত থাকলেও তার পোষ্টিং জটিলতা রয়েছে। এ ছাড়াও ৫টি উপজেলায় অনেক কর্মকর্তার পদ শূন্য রয়েছে। প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগে এটিইওদের অনেক পদ শূন্য থাকায় বিদ্যালয় মনিটরিং কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ছে।

এদিকে লক্ষ্মীপুরের সাবেক জেলা প্রশাসক জিল্লুর রহমান চৌধুরী সময়ে চালু করা মানসম্মত শিক্ষা, স্বাস্থ্যসহ অনেকগুলো জনকল্যাণমূখী কর্মসূচীর কার্যক্রম বর্তমান সময়ে বন্ধ রয়েছে।

লক্ষ্মীপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এবং আদর্শ সামাদ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য। ডাবল শিফটের এ দুটি বিদ্যালয়ে সহকারি শিক্ষকদের মোট পদের প্রায় অর্ধেক শূন্য। যার কারণে পাঠদানে সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। জেলা প্রশাসক উভয় বিদ্যালয়ের সভাপতি হওয়া স্বত্বেও শিক্ষকদের শূন্যপদ পূরণে তেমন কোন জোরালো পদক্ষেপ নেয়া হয়না। যার কারণে অভিভাবকদের মধ্যে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে।

এদিকে বর্তমান সরকারের সময়ে গ্রামীণ জনপদের উন্নয়নে অতীতের সকল রেকর্ড ভঙ্গ করে কোটি কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হলেও এসব নিয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে দৃশ্যমান কোন প্রচার-প্রচারণা নেই। যার কারণে সর্বসাধারণের মাঝে সরকারের ভাবমূর্তি উজ্বল হচ্ছেনা।

লক্ষ্মীপুরের সাংবাদিকতাঃ

বছরের শেষের দিকে জেলা সদরে কর্মরত সংবাদকর্মীদের মধ্যে ঐক্যের সুর বেজে উঠেছে। আশা করি নতুন বছরের শুরুতে লক্ষ্মীপুরে ঐক্যবদ্ধ প্রেসক্লাব যাত্রা শুরু করবে। পাশাপাশি যাত্রা শুরু করবে লক্ষ্মীপুর জেলা সম্পাদক প্রকাশক পরিষদ। উভয় সংগঠনের নির্বাচন পক্রিয়া বহুদূর এগিয়ে গেছে।

পূর্বের ধারাবাহিকতায় ২০১৭ সালেও লক্ষ্মীপুর জেলা তথ্য অফিসার আবদুল্যাহ আল-মামুন সংবাদকর্মীদের প্রিয়জন হয়ে পাশে ছিলেন। বর্তমান সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ড প্রচার প্রচারনায় তিনি সদা সচেষ্ট থাকেন। স্থানীয় সংবাদপত্র ও সংবাদকর্মীদের পেশাগত মানোন্নয়নে তার পরামর্শ স্মরণ রাখার মতো।

নতুন বছর লক্ষ্মীপুরের সর্বক্ষেত্রে নিয়ে আসুক শান্তির বার্তা। শুভ নভবর্ষ-২০১৮।

 

 

লক্ষ্মীপুর নিউজ আরও সংবাদ

রামগতিতে দিনব্যাপী প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত

সাংবাদিক জিয়া চৌধুরীর বাবা মাহাবুবের রহমান আর বেঁচে নেই

রামগতিতে আদালতের স্থিতাবস্থা মানছেন না অবৈধ ইটভাটার মালিকপক্ষ

গরমের শুরুতে রামগতিতে ভয়াবহ লোডশেডিং, ভোগান্তিতে উপকূলের গ্রাহক

রামগতিতে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে ৮ পরিবারের বসতঘর পুড়ে ছাই

কমলনগরে চার্টার্ড লাইফের মৃত্যু বীমা দাবি চেক হস্তান্তর

লক্ষ্মীপুরটোয়েন্টিফোর বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রনালয়ে অনলাইন নিউজপোর্টাল প্রকাশনার নিবন্ধনের জন্য আবেদনকৃত, তারিখ: 9/12/2015  
 All Rights Reserved : Lakshmipur24 ©2012- 2024
Editor & Publisher: Sana Ullah Sanu
Ratan Plaza(3rd Floor), ChakBazar, Lakshmipur, Bangladesh.
Ph:+8801794822222, WhatsApp , email: news@lakshmipur24.com