সব কিছু
facebook lakshmipur24.com
লক্ষ্মীপুর বৃহস্পতিবার , ২৮শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১৪ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
মেঘনার ভাঙ্গন প্রতিরোধ আন্দোলনের ব্যর্থতা ও সফলতা::: পর্ব-০১

মেঘনার ভাঙ্গন প্রতিরোধ আন্দোলনের ব্যর্থতা ও সফলতা::: পর্ব-০১

মেঘনার ভাঙ্গন প্রতিরোধ আন্দোলনের ব্যর্থতা ও সফলতা::: পর্ব-০১

২০১৩ সালের আগষ্ট সেপ্টেম্বর দু মাস ব্যাপী গর্জে ওঠা রামগতি রক্ষা মঞ্চকে ধন্যবাদসহ কৃতজ্ঞতা জানাই মেঘনার ভাঙ্গন থেকে রামগতিকে বাচাতে তারা রামগতি ও কমলসগরের সর্বস্তরের জনগনকে দারুন ভাবে জাগিয়ে তুলতে সক্ষম হয়েছেন। এ সংগঠনের কল্যানেই রামগতি ও কমলনগর উপজেলার ইতিহাসে সবচেয়ে বড় গণ আন্দোলন প্রত্যক্ষ করার সুযোগ পেয়েছে দেশবাসী। পালিত হয়েছে হরতাল, অবরোধ, মানববন্ধন, মিছিল মিটিংসহ সভা সমাবেশ। স্থাপন করা হয়েছে আসম আবদুর রব সরকারি কলেজের সামনে স্থায়ী মঞ্চ। এখনো শূন্যতায় খা খা করে পড়ে আছে ঐ মঞ্চটি।

ঐ আন্দোলনের সফলতা বা বিফলতা বিচার না করে অন্তত এটুকু বলা যাবে উক্ত আন্দোলনটি আমাদের সাহস যুগিয়েছে। প্রেরনার উৎস হয়েছে। ভবিষ্যতে এ ধরনের কোন আন্দোলন হলে যে উপজেলাবাসী পাশে থাকবেন তা নিশ্চিত হওয়া গেছে। আর এ ধারনাটি এখন স্পষ্ট।

জনসাধারনের সর্বাত্মক অংশগ্রহন থাকলেও রামগতি রক্ষা মঞ্চ এর আন্দোলনটি বিভিন্ন কারনে কাংক্ষিত ফলাফল অর্জন করতে পারেনি। কি কারনে এ আন্দোলনটি চূড়ান্ত লক্ষ্যে পৌছাতে ব্যর্থ হলো এবং ভবিষ্যতে কি করলে সফলতা পাওয়া যাবে তাই আমার লেখার বিষয়:

প্রথমত: তারা আন্দোলটিকে শুধুমাত্র আলেকজান্ডার বাজার কেন্দ্রিক করে কার্যক্রম পরিচালনা করেছে। তাই অনেকে মনে করেছে এটি বোধহয় আলেকজান্ডার এর আন্দোলন। ফলশ্রুতিতে রামগতি উপজেলার উত্তরাংশের লোকজনের উপস্থিতি কম লক্ষ্য করা গেছে। একই ব্যাপারটা ঘটেছে রামগতি বাজারের ক্ষেত্রেও।

দ্বিতীয়ত: জোরালো কোন উপদেষ্টা কমিটি ছিলো না তাদের। আন্দোলনের শেষ দিকে এসে অবশ্য একটা উপদেষ্টা কমিটি হয়েছে। তাও গর্জিয়াস হয়নি। সমাজের বিভিন্ন স্তরের কিংবা বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা, শিক্ষক, সাংবাদিক, ব্যবসায়ী নেতা, শিল্পপতি ইত্যাদি পেশার লোকদের নিয়ে একটা শক্তিশালী উপদেষ্টা কমিটি গঠন করা প্রয়োজন ছিলো। শেষ দিকে এসে সে চেষ্টা করলেও সময় ক্ষেপন ছাড়া তেমন কোন কাজ হয় নি। এই উপদেষ্টা কমিটি না থাকার ফলে এ আন্দোলনকে অনেকে একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের এজেন্ডা বলে ধরে নিয়ে অন্য পক্ষ এর থেকে দুরে অবস্থান করেছে।

তৃতীয়ত: তরুন নির্ভর এ আন্দোলনে রামগতি রক্ষা মঞ্চের শক্তিশালী কোন নেতৃত্ব ছিলো না। আহবায়ক হিসেবে যিনি দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি ছিলেন রামগতির সাবেক এক সংসদ সদস্যের আত্মীয়। এর ফলে সাধারন লোকজন এটাকে একটি বিশেষ উদ্দেশ্য বা রাজনৈতিক কৌশল বলে ধরে নিয়েছে। অপেক্ষাকৃত গ্রহনযোগ্য কাউকে এ দায়িত্বটা দিয়ে তিনি পিছনে থাকতে পারতেন। নেতৃত্বের ব্যাপারে অন্য যে কারনটি হলো সেটা খুবই স্পষ্ট। আন্দোলনের সামনের সারিতে যারা ছিলেন তারা সবাই আলেকজান্ডার কেন্দ্রিক। বাহিরের কাউকেও লাইমলাইটে আনার খুব দরকার ছিলো। আমি স্পষ্টই বুঝতে পারছিলাম এ আন্দোলনের নেতৃত্বটাকে কুক্ষিগত করে রাখা হয়েছিল। এছাড়াও বিভিন্ন এলাকায় কোন উপ কমিটি ছিলো না। তার ফলে আন্দোলন গতিহীন হয়ে পড়েছে। মোট কথা তারা কর্তৃত্ব হারাতে চাননি বা বাহিরের অন্য কাউকে নেতৃত্বে অংশীদার করতে চাননি। তারা ভেবেছেন আন্দোলনের ফলাফল পজেটিভ হলে তার সুনাম অন্যরা পাবে। মূলত এই ধারনা থেকেই অন্য কাউকে সামনে আনা হয়নি। একই ঘটনা ঘটেছে উপ কমিটি গঠন না করার বেলায়ও। সর্বপেরি বলা যায় একটি শক্তিশালী ও দক্ষ নেতৃত্বের অভাবের কারনেই আন্দোলন চূড়ান্ত লক্ষ্যে পৌছাতে ব্যর্থ হয়েছে।

চতুর্থত: প্রচারনার যথেষ্ট অভাব ছিলো। কেউ মানুক বা না মানুক এ কথা বিশ্বাস করতেই হবে যে কোন আন্দোলনের সফলতা অনেকাংশে নির্ভর করে মিড়িয়া কভারেজের উপর। রামগতি রক্ষা মঞ্চ সেই মিড়িয়া কভারেজ টা বলতে গেলে মোটেও পায় নি। কোন এক অজানা কারনে এ আন্দোলনের নিউজ কভারেজে স্থানীয় সাংবাদিক ও মিড়িয়া অনাগ্রহ প্রকাশ ঘটিয়েছে। জাতীয় মিড়িয়ার তো তেমন কোন ভূমিকায় ছিলো না। একমাত্র হরতালের দিনেই যা একটু কভারেজ ছিলো তাও আবার প্রয়োজনের তুলনায় নগন্য দেখা গেছে। হয়তো সাংবাদিকদের সেভাবে মূল্যায়ন বা জানানো হয়নি। কিংবা সাংবাদিকরদের কাছে এ আন্দোলনের কোন সংবাদ মূল্য ছিলো না।

পঞ্চমত: একটি আন্দোলনের জন্য যতোটুকু অর্থের যোগান থাকা দরকার তাদের কাছে সে ধরনের কোন আর্থিক ফান্ড ছিলো না। আন্দোলনের মূল প্রান হলো টাকা। আর এই টাকার অভাবেই রামগতি রক্ষা মঞ্চের আন্দোলন সফল হয়নি। ভালো কোন ডোনার ছিলো না। ছিলো না ব্যয় নির্বাহের মতো কোন আয়ও। অর্থ সংকটের কারনেই মূলত আন্দোলন স্থিমিত হয়ে পড়ে। আন্দোলনের দায়িত্ব পালনকারীদের ভালো কোন আর্থিক ডোনার খোজার আশু প্রয়োজন ছিলো।

এটি লেখকের ব্যাক্তিগত অভিমত এর সাথে লক্ষ্মীপুর টুয়েন্টিফোর ডটকমের সম্পাদকীয় নীতির মিল নেই।

মতামত | সাক্ষাৎকার আরও সংবাদ

কৃত্রিম ভুলুয়া এখন রামগতি ও সুবর্ণচরের দানব

শতবর্ষী টুমচর ইসলামিয়া কামিল মাদরাসা

রিপোজটরি সাইট গিটহাবে বাংলাদেশী ডেভেলোপার আরমান হাকিম সাগরের কান্ট্রিবিউশন

নিবন্ধনের জন্য প্রথমদিকে আবেদিত নিউজ পোর্টালগুলোর নিবন্ধন পেতে আর কত বছর?

স্বামীকে গলাকেটে হত্যা | ঘটনার এপিঠ-ওপিঠ

ওয়েব ডেভেলপার হিসেবে বাংলাদেশেও জেন্ড সার্টিফাইড ইঞ্জিনিয়ারদের চাহিদা বাড়ছে

লক্ষ্মীপুরটোয়েন্টিফোর বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রনালয়ে অনলাইন নিউজপোর্টাল প্রকাশনার নিবন্ধনের জন্য আবেদনকৃত, তারিখ: 9/12/2015  
 All Rights Reserved : Lakshmipur24 ©2012- 2024
Chief Mentor: Rafiqul Islam Montu, Editor & Publisher: Sana Ullah Sanu.
Muktijudda Market (3rd Floor), ChakBazar, Lakshmipur, Bangladesh.
Ph:+8801794 822222, WhatsApp , email: news@lakshmipur24.com