লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে মাদক ব্যবসায় বাধা দেয়ায় মোরশেদ আলী নামে এক দিনমজুরের বসতঘর ভাংচুর ও লুটপাট করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় বাধা দেওয়ায় মোরশেদ আলী,তার বৃদ্ধা মা খায়রুন নেছা ও তার সন্তান শামিম, ওমর ফারুক, মেহেদী হাসান, প্রত্যক্ষদর্শী জসিম উদ্দিনসহ ৭ জনকে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। ঘটনাটি ঘটেছে রোববার উপজেলার মধ্য বিঘা খলিফার বাড়িতে। আহতদের রামগঞ্জ ও চাঁদপুর সরকারী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, উপজেলার ১নং কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের মধ্য বিঘা গ্রামের সফিক খলিফার বাসা ভাড়া নিয়ে শাকিল মাদক ব্যবসায় চালিয়ে আসছিলো। মাদক ব্যবসা না করার জন্য স্থানীয় এলাকাবাসী ও বাড়ির লোকজন নিষেধ করলে শাকিল খলিফা একই এলাকার জাকির, মহিন, চৌধুরীকে দিয়ে দিনমজুর মোরশেদ আলী ও তার পরিবারের সদস্যদের নানান ভাবে হুমকী-ধমকী প্রদান করে।
এতে ব্যর্থ হয়ে রোববার দুপুরে রহিম খলিফার নির্দেশে চৌধুরী, জাকির, শাকিল, মহিনসহ ১০/১২ জনের একটি সন্ত্রাসী গ্রুপ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়ে মোর্শেদ আলীসহ তার পরিবারের লোকজনকে মারধর করে বসতঘর ভাংচুর করে লুটপাট ও মারধরের তান্ডব চালায়। এলাকার প্রবীন ব্যক্তি ইব্রাহিম খলিফা জানান, এলাকাবাসীর সাথে দিনমজুর মোরশেদ আলীও শাকিল খলিফাকে মাদক ব্যবসায় বাধা দেয়। অন্য কারো ক্ষতি করতে না পেরে প্রকাশ্যে দিনে দুপুরে এভাবে হামলা চালিয়ে বৃদ্ধা খায়রুন নেছার হাত ভেঙ্গে ফেলাসহ ৭ জনকে পিটিয়ে আহত এবং বসতঘরে হামলা ভাংচুর করা সত্যেই দুঃখ জনক।
অভিযুক্ত রহিম খলিফা মোবাইল ফোনে জানান, আমি কোন মাদক ব্যবসা করিনা। আমার বিরুদ্ধে মিথ্য রটনা রটাচ্ছে এলাকাবাসীসহ মোরশেদ আলী। মোরশেদ আলী এলাকার কয়েকজনকে নিয়ে আমাদের বিভিন্ন ব্যবসায়িক কর্মকান্ডের বিরোধিতা করে আসছিলো। তাই তাদের কিছু উত্তম-মধ্যম দেওয়া হয়েছে।
রামগঞ্জ থানার ওসি মোঃ আনোয়ার হোসেন বলেন, দিনমজুর মোরশেদ আলীসহ তার পরিবারের উপর হামলার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
0Share