ভাস্কর্য নিয়ে সকল ষড়যন্ত্রকারীদের যুবলীগ রুখে দিবে, শনিবার সন্ধ্যায় লক্ষ্মীপুরে পৌর শহরে জেলা যুবলীগের আয়োজনে
গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এসে এমন কথা বলেন ফরিদপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মুজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন। তিনি আরো বলেন, মামুনুল হকরা ধর্মনিয়ে ব্যবসা করছে, তাই তাদের রুখে দিতে হবে। আমরাও ধর্ম পালন করি,আমার মা-বাবাও ধর্মপালন করে। কিন্তু মামুনুল হকরা ধর্মের অপব্যাখ্যা দিচেছন। কিন্তু তারা এতোদিন চট্রগ্রামে যে জিয়ার ভাস্কর্য আছে তা নিয়ে কোন প্রতিবাদ করে নাই।
নিক্সন আরো বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যে ভাস্কর্য আছে ,জাতীর জনক বঙ্গবন্ধুর জন্য আমরা স্বাধীন পতাকা পেয়েছি, দেশ পেয়েছি, পাসপোর্ট পেয়েছি তাই সারা দেশেই বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য হবে, মামুন হকদের চ্যালেন্জ পারলে ঠেকাও। এ ছাড়া হেফাজত ইসলাম কে ঈঙ্গিত করে বলেন,হেফাজত আর হেফাত নাই’তারা এখন জামায়াত হয়ে গেছে।
যুবলীগের এ নেতাকর্মীদের লক্ষ করে নিক্সন বলেন, যুবলীগের সভাপতি শেখ ফজলে শামস পরস্ এর নির্দেশনায় যুবলীগকে সংগঠিত করা হবে। টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া ও রুপসা থেকে পাটুরিয়া অর্থাৎ সারাদেশে ওয়ার্ড, উপজেলা ও জেলাসহ প্রত্যেক ক্ষেত্রে যুবলীগের কমিটি হবে দেখার মতো। বিপরীতে যারা পদের জন্য তদবির করছেন তারা তদবির বাদ দিয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশ বিনির্মাণের জন্য কাজ করার নির্দেশানাও দেন তিনি। এ ছাড়া যারা পদের জন্য মাস্তানী ও এমপি-মন্ত্রীদের নিকট সুপারিশের তকদির করছেন তাতে কোন লাভ হবে না। যুবলীগ শেখ মনির স্বপ্নের ও আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন হিসেবে অতিতের দিকে না তাকিয়ে সামনে এগিয়ে যাবে।
তিনি অতীতকে স্বরণ করে আরো বলেন,জাতীর জনক বঙ্গবন্ধুর কন্য জননেত্রী শেখ হাসিনা তার পরিবারকে হারিয়েছেন। এখন আর তাঁর হারানোর কিছু নেই। বিএনপি জামায়াত থেকে অনুপ্রবেশকারীদের যুবলীগের কোন স্থান হবেনা উল্লেখ করে তিনি বলেন, যুবলীগ হবে মুক্তিযোদ্ধের স্ব-পক্ষের শক্তি। নেতাকর্মীদের কর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি আরো বলেন,বিএনপি না থাকায় যুবলীগের অভ্যন্তরীন কোন্দলের বিষয়ে সর্তক করে তিনি বলেন, ষড়যন্তকারীদের ষড়যন্ত্র এখনো অব্যাহত আছে তাদেরকে যুবলীগ সংগঠিতভাবে রুখে দিবে।
লক্ষ্মীপুর জেলা যুবলীগের সভাপতি এ কে এম সালাউদ্দিন টিপুর সভাপতিত্বে তিনি বলেন, দলে গ্রুপিং থাকবে তা সম্মানের সাথে। কারণ গ্রুপিং না থাকলে রাজনীতি জমে না। এ ছাড়া ত্যাগী নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, যারা ত্যাগের রাজনীতি করেন তারা মূল্যায়ন পাবেন। তিনি লক্ষ্মীপুরের গুছানো অনুষ্ঠানে মুগ্ধ হয়ে ফরিদপুরবাসীর পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা জানান একই সাথে লক্ষ্মীপুরে রান্না ও পিঠার প্রসংশাও করেন।
এর আগে স্থানীয় যুবলীগের আয়োজনে বাংলাদেশ আওয়ামী-যুবলীগের কমিটিতে লক্ষ্মীপুরের কৃতী সন্তানদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এ সময় সংবর্ধিত হন জেলারকৃতি সন্তান কেন্দ্রীয় যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য হাবিবুর রহমান পবন,উপ-পরিবেশ বিষয় সম্পাদক শামছুল ইসলাম পাটোয়ারী,উপ-মহিলা বিষয়ক সম্পাদক সৈয়দা শানজিদা শারমিন,সহ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদীন চৌধুরী রিগ্যান,কার্যনির্বাহী সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মুক্তার হোসেন চৌধুরী কামাল,কার্য নির্বাহী সদস্য অ্যাডভোকেট মো.শোওকত হায়াত,সদস্য এ,বি,এম শেখ ফরিদ উদ্দিন,সদস্য আশফাক আহাম্মেদ চৌধুরী,সদস্য জহিরুল আমিন জহির।
এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক সাবেক লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সাংসদ হারুনুর রশিদ। এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মঞ্জুর আলম শাহিন,প্রেসিডিয়াম সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন,তাজ উদ্দিন আহাম্মেদ, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম ফারুক পিংকু, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন,পৌর মেয়র বীবমুক্তিযোদ্ধা এম তাহের ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মো শাহজাহান এবং স্থানীয় আওয়ামী যুবলীগসহ আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
0Share