লক্ষ্মীপুরে প্রবাসীর স্ত্রীর ভোগ দখলীয় জমি থেকে উচ্ছেদ করে দখলের পায়তারা করছে প্রতিপক্ষ রফিকুল ইসলাম ও তার স্ত্রী ফাতেমা আক্তার নয়ন। সোমবার টিনের বাউন্ডারি বেড়া ভাঙচুর করে গুঁড়িয়ে দেয় নয়ন ও তার লোকজন। একই সাথে সিমেন্টের প্রতিটি পিলার ভেঙ্গে লুট করে নিয়ে যায় তারা।
এর আগে তাদের বাধা দিতে গেলে দা-চেনিসহ দেশীয় অস্ত্র-স্বস্র নিয়ে হামলা চালিয়ে প্রবাসী মনির হোসেনের স্ত্রী বেবী নাজনীকে আহত করে। পরে সদর হাসপাতাল থেকে তিনি প্রাথমিক চিকিৎসা নেন।
ঘটনাটি ঘটেছে জেলার সদর উপজেলার দক্ষিণ হামছাদী ইউনিয়নের পূর্ব নন্দনপুর গ্রামে। এ ঘটনায় হামলাকারীদের বিরুদ্ধে সদর থানায় অভিযোগ দিয়েছে জমির প্রকৃত দখলদার বেবি নাজনীন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ হামছাদী মৌজার আরএস ২২৮৬ নং খতিয়ানভূক্ত ২১২৩/৩০২৬ দাগে সাড়ে ৮ শতাংশ সরকারী খালের জমি বন্দোবস্ত নেয় মনির হোসেনের পরিবার। কিন্তু ওই জমি নিয়ে বিরোধ শুরু করে একই বাড়ির রফিকুল ইসলাম ও তার পরিবারের সদস্যরা। জমিটি জোরপূর্বক দখলে নিতে তারা বিভিন্ন সময় মনির হোসেনের পরিবারের সদস্যদের হুমকি দিয়ে আসছেন।
এ নিয়ে বিরোধ দেখা দিলে ওই জমিটি স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে জমিটি পরিমাপ করে সীমানা নির্ধারণ করে দেয়। সে মোতাবেক মনির হোসেনের স্ত্রী বেবী নাজনীন সেখানে সীমানা পিলার পুঁতে বেড়া দিয়ে সেটি ঘেরাও রাখে।
মনির হোসেনের স্ত্রী বেবী নাজনিন বলেন, আমাদের লীজকৃত সম্পত্তি স্থানীয় চেয়ারম্যান ও গণ্যমাণ্য ব্যক্তিদের সালিশি বৈঠকের সিদ্ধান্ত মোতাবেক আমরা ওই জমিতে সীমানা পিলার দিয়ে ঘেরাও করি। কিন্তু রফিকুল ইসলাম ও তার পরিবারের সদস্যরা সেটি গুড়িয়ে দিয়ে আমাদের ওপর হামলা করে।
রফিকের স্ত্রী নয়ন আমাদের লক্ষ্য করে মরিচের গুড়া মিশ্রিত পানি নিক্ষেপ করে। হামলায় আমি আহত হই। এছাড়া আমাদের জমির সীমানা পিলার ও বেড়া বিনষ্ট করায় আমাদের ৮০ হাজার টাকার মতো ক্ষতি হয়েছে। এ ঘটনায় আমি বাদি হয়ে সদর থানায় অভিযোগ দেই। অভিযুক্ত রফিকুলের স্ত্রী ফাতেমা আক্তার নয়ন বলেন, জমির মালিকানা নিয়ে আমি আদালতে মামলা করেছি। আদালত বিষয়টি দেখবে। এক পর্যায়ে উপস্থিতদের উপর ক্ষিপ্ত হন তিনি।
দক্ষিণ হামছাদী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মীর শাহ আলম বলেন, বিরোধকৃত জমি নিয়ে স্থানীয় শালিশী বৈঠকের মাধ্যমে মিমাংশ হয়েছে। এবং সবাইকে বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে। অথচ রফিকুলের স্ত্রী ফাতেমা আক্তার নয়ন পরিষদের সিদান্ত অমান্য করে জোরপূর্বক টিনের বাউন্ডারি বেড়া ভাঙচুর করে গুঁড়িয়ে দেয়। নয়ন কাউকে মানেনা, স্থানীয়রা তাকে নিয়ে হতাশ বলেও মন্তব্য করেন চেয়ারম্যান।
সদর থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক সোহেল রানা বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করা হয়েছে। নয়নের বিরুদ্ধে অভিযোগ সত্যত্যা প্রমানিত হয়েছে। দু পক্ষকে সমাধানের জন্য পরামর্শ দেয়া হয়েছে। যদি কেউ না মানে তাহলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
0Share