উপকূলীয় লক্ষ্মীপুরের মেঘনার কাছাকাছি উপজেলা কমলনগর। গত ২০১৯ সালের ২৪ মার্চ তারিখে নতুন এ উপজেলার তৃতীয় নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হন উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ বাপ্পি। নির্বাচনের একমাস পর ২৩ এপ্রিল তারিখে চাঁদপুর জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে চেয়ারম্যান পদে শপথ গ্রহণ করেন তিনি। তারপর আর বসে থাকেন নি।
শুরু হয়েছে দেশের সবচেয়ে কম বয়সী এ উপজেলা চেয়ারম্যানের সামনে ছুটে চলা। অবশ্য সঙ্গী হিসেবে ভাইস চেয়ারম্যান পদে সাথে পেয়েছেন একই বিদ্যালয়ের এবং একই সংগঠনের আরেক ছোট ভাই ওমর ফারুক সাগরকে। কখনো ভাইস চেয়ারম্যানকে নিয়ে আবার কখনো নিজে একাকী । উপজেলার এ প্রান্ত থেকে ওপ্রান্ত । ছোট থেকে বড় । যেকোন অনুষ্ঠানেই উপস্থিত থাকা চাই তার। মাত্র এক বছরের কম সময়ে তিনি পুরো উপজেলার সকল মানুষের কাছাকাছি পৌঁছে গেছেন।
সুখে-দুঃখে সবসময় তাকে কাছে পাওয়ায় তিনি এখন সকল শ্রেণি পেশার মানুষের প্রিয়মুখ।
জনাব মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ বাপ্পি বলেন, চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে কমলনগরের উন্নয়নের স্বপ্ন দেখতে শুরু করি। সেই স্বপ্ন ও নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে আমি অবিরাম কাজ করে যাচ্ছি।
বঙ্গবন্ধুর আর্দশ লালিত পারিবারের সন্তান বাপ্পী স্কুল জীবনেই ছাত্র লীগের রাজনীতি শুরু করেন। তার নেতৃত্বে রামগতি-কমলনগরের ছাত্র রাজনীতি আরও গতিশীল ও চাঙ্গা হয়ে উঠে। তিনি নেতৃত্ব দিয়েছেন লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজ সংসদেও; কথা বলেছেন শিক্ষার্থীদের কল্যাণে।
ছাত্রলীগে সফল হয়ে নেতার হাল ধরেছেন যুবলীগেও। উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক হয়ে দলের ভীত আরও মজবুত করেছেন। তার নেতৃত্বে যুবলীগ এখন একটি শক্তিশালী সংগঠনে রুপ নিয়েছে।
গত উপজেলা নির্বাচনে যুবলীগ নেতা বাপ্পি স্বতন্ত্র প্রাথী হয়ে বিপুল ভোটে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। তিনি নির্বাচিত হওয়ার পর পাল্টে যায় কমলনগরের চিত্র।
যুবলীগ কর্মী মোঃ ইউছুফ জানান, কর্মী গড়ার কারিগর বাপ্পি ।ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকান্ডের অংশিদার তিনি। মানবতার কল্যাণে সবার পাশে দাঁড়ান। জনপ্রতিনিধি হিসাবে তিনি দলমত না ভেবে সবাইকে সমান চোখে দেখেন। কাউকে হয়রানি করেছেন এমন কোনো নজির নেই।
তোরাবগঞ্জ ইউনিয়নের সাবেক মেম্বার দুলাল বলেন, উপজেলার ৯টি উইনিয়নের উন্নয়ন কর্মকান্ডের তদারকি, জনগণের কল্যাণে সরকারি সকল সুবিধা ও সেবা পৌঁছাতে কাজ করে যাচ্ছেন বাপ্পী। জনবান্ধব এ জনপ্রতিনিধি প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত উপজেলা পরিষদে অবস্থান করেন।
নিজ কার্যালয়ে বসে মানুষের সঙ্গে মতবিনিময় করেন, অভাব-অভিযোগের কথা শুনেন, সমাধানের চেষ্টা করেন। অন্যদিকে, দলীয় রাজনৈতিক কর্মকান্ডেও তিনি অনন্য ভূমিকা রেখে আসছেন। পর-আপন না ভেবে সবাইকে সমান চোখে দেখছেন। অল্প দিনেই আস্থা-বিশ্বাস অর্জন করে সবার মনে জায়গা করে নিয়েছেন। প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে এলাকার উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন।
কমলনগর উপজেলার সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও উপজেলা চেয়ারম্যান মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ বাপ্পির কর্মকান্ডে সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং তার সফলতা কামনা করেন।
কমলনগর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ওমর ফারুক সাগর বলেন, মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ বাপ্পি নির্বাচিত হওয়ার পর উপজেলার সর্বত্র কাজ করে যাচ্ছেন। কৃষক জেলে শ্রমিকসহ নানান পেশার মানুষের সুখ-দুঃখে পাশে দাড়াচ্ছেন। তাঁর দ্বারা একজনও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন এমন কথা কেউ বলতে পারবে না। অনিয়ম রোধে কঠিন ভূমিকা রাখছেন। ভাইস চেয়ারম্যানদের সঙ্গে নিয়ে কমলনগরের উন্নয়নে কাজ করছেন।
কমলনগর উপজেলা চেয়ারম্যান মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ বাপ্পি বলেন, স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরেই উন্নয়ন-অগ্রগতিতে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। সেই উন্নয়নের সহযোগী হয়ে কমলনগরে কাজ করে যাচ্ছি। এই জনপদের মানুষের কাছে আমি কৃতজ্ঞ; তাদের প্রত্যাশা পুরণে পাশে থেকে সেবা দিয়ে যেতে চাই।
0Share