নুর আলম জিকু। টানা ১৩ বছর ইউনিয়ন যুবলীগের দায়িত্ব পালন করছেন। দুঃসময়ে দলের হাল ধরলেও সুসময়ে অবহেলিত, আক্ষেপ করে জানালেন, লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়নের বিনোদ ধর্মপুর গ্রামের নুর আলম জিকু।
সম্প্রতি তিনি জেলা কমিটিতে স্থান পেতে কেন্দ্রিয় কমিটির কাছে তার জীবনবৃত্তান্ত জমা দেন। নুর আলম জিকু বলেন, বিগত ২০০১-২০১২ সাল পর্যন্ত তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়ন যুবলীগের আহবায়ক ও পরে সম্মেলনের মাধ্যমে সভাপতি এবং জেলা কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। রাজনৈতিক কর্মকান্ডে এগিয়ে থাকলেও তাকে যুবলীগের কমিটিতে দায়িত্ব দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেন তিনি।
জেলা কমিটি সাবেক আহবায়ক পদে সাইফুল ইসলাম পলাশ ও যুগ্ন-আহবায়ক পদে সৈয়দ আহমদ পাটোয়ারী থাকাকালে জিকু জেলা কমিটির সদস্য ও ইউনিয়ন যুবলীগের দায়িত্বে ছিলেন। পরে সালাহ উদ্দিন টিপু আহবায়ক ও পরে সভাপতি পদে নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে নুর আলম জিকু আর যুবলীগে স্থান পায়নি। পরে ইউনিয়নে ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত হওয়ার পরও মৌখিকভাবে তাকে বাদ দিয়ে সভাপতি পদে ভোটে পরাজিত আহমদ আলী সুমনকে সভাপতি করা হয়। পরে রুবেল সানি এবং ইউপি চেয়ারম্যান ওমর হোসেন ভুলুর ভাই অনুপম হুছাইনকে দায়িত্ব দেন সাবেক জেলা কমিটির সভাপতি সালাহ উদ্দিন টিপু।
এব্যাপারে সাবেক ছাত্রনেতা নুর আলম জিকু বলেন, কেন্দ্রিয় ছাত্রলীগের সভাপতি লিয়াকত সিকদার ও সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম বাবুর হাত ধরে ঢাকা জগনাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের হল শাখার দায়িত্ব পালন করেন। ২০০১-২০১২ সাল পর্যন্ত ইউনিয়ন যুবলীগ ও জেলা কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সম্প্রতি বর্তমান যুবলীগের কেন্দ্রিয় কমিটির নেতৃবৃন্দের নিকট জীবনবৃত্তান্ত জমা দেন তিনি। কেন্দ্রীয় যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ ও সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিলের দিকনির্দেশনায় আগামীতে দলকে আরো সুসংগঠিত করতে জেলা পর্যায়ে দলের দায়িত্ব কাঁধে নিতে চান তিনি।
231Share