ভিশন ২০৪১ এর রুপকল্প অর্জনে এবং বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে সিএমএসএমই’স ট্রেইনিং এবং মেন্টরশীপের ভূমিকা অপরিহার্য বলে মন্তব্য করেছেন,স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী জনাব তাজুল ইসলাম এমপি । তিনি আরো বলেন চট্টগ্রাম অঞ্চলে ভবিষ্যতে উন্নতি লাভের সম্ভাবনাপূর্ণ খাত হচ্ছে মেরিন ড্রাইভ। যেসব ব্যবসায়ী প্রনোদনার প্যাকেজ নিচ্ছে তারা যদি ব্যবসায়ে এর সদ্ব্যবহার না করতে পারে তাহলে এটার আসল উদ্দেশ্য সফল হবেনা।
১৩ জানুয়ারী সন্ধ্যায় এবং ভার্চ্যুয়াল মিটিংয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন। ‘বাংলাদেশে সিএমএসএমইসঃ জার্নি, চ্যালেঞ্জেস এন্ড ফিউচার ডিরেকশন’ শীর্ষক চট্টগ্রাম বিভাগীয় ওয়েবিনার এর আয়োজন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনোভেশন, ক্রিয়েটিভিটি এন্ড এন্ট্রাপ্রেনিউরশীপ (আইসিই) সেন্টার এবং ইউএনডিপি বাংলাদেশ যৌথ উদ্যোগে।
আইসিই সেন্টারের নির্বাহী পরিচালক মোঃ রাশেদুর রহমানের সঞ্চালনায় ও সেন্টারের ভাইস-চেয়ারম্যান ড খন্দকার বজলুল হকের সভাপতিত্বে এই আয়োজনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এবং বিশিষ্ট বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ড. লিলা রশিদ।
ড.লিলা রশিদ তার বক্তব্যে দেশের অর্থনীতিতে সিএমএসএমই খাতের প্রভাব উল্লেখ করে বলেন জিডিপির প্রবৃদ্ধি এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরির ক্ষেত্রে এসএমই খাতের ভূমিকা অপরিসীম। এই খাতের উন্নয়নে সরকার নানামুখী উদ্যোগ গ্রহণ করছে। তিনি প্রণোদনা প্যাকেজ এবং ক্রেডিট গ্যারান্টি স্কিম বিষয়ে বিশদ আলোচনা করেন। তিনি তার বক্তব্যে সিএমএসএমইসদের জন্য প্রণোদনা প্যাকেজ বন্টন বিষয়ক জটিলতা হিসেবে কতিপয় ক্ষেত্রে দীর্ঘায়িত এবং জটিল প্রক্রিয়া ও বণ্টন প্রক্রিয়া সম্পর্কিত পর্যাপ্ত তথ্যের অভাবকে তুলে ধরেন।
প্রোগ্রামের সঞ্চালক জনাব মোঃ রাশেদুর রহমান তার বক্তব্যে ‘রিভাইভ’ প্রকল্পের মাধ্যমে চট্টগ্রাম অঞ্চলের ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তাদের বর্তমান করোনা মহামারীর সময়ে কি কি সমস্যা হচ্ছে তার একটি চিত্র তুলে ধরেন। বাংলাদেশের পর্যটনের জন্য সম্ভাবনাময় এই অঞ্চলে সমস্যাগুলো সমাধানের নিমিত্তে সঠিক পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়নের জন্য সরকার, ইন্ডাস্ট্রি, একাডেমিয়া, ব্যবসায়ীসহ সকল অংশীদারগণ যেনো একই ছাতার নিচে এসে কাজ করতে পারে সেজন্য আইসিই সেন্টার ভবিষ্যতেও একটি সেতু হিসেবে কাজ করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এই আয়োজনে আলোচকবৃন্দ হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন রাঙ্গামাটি চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি মনোয়ারা বেগম এবং বিসিকের জেনারেল ম্যানেজার জনাব শফিকুল আলম।
0Share