এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষকদের বেতনের টাকা সরাসরি তাদের কাছেপৌঁছানোর পরিকল্পনা নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। পরিকল্পনা অনুযায়ী মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে এই অর্থ দেবে বাংলাদেশ ব্যাংক। এমন সংবাদ প্রকাশের পর তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ শুরু করেছে শিক্ষক সমাজ। শিক্ষকরা সবাই মোবাইল ব্যাংকিং পদ্ধতির বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন।
উল্টো তারা দাবি করেছে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের যে প্রক্রিয়ায় সরাসরি টাকা দেওয়া হয় সেই প্রক্রিয়ায় তারাও বেতন-ভাতা চেয়েছেন। তারা মোবাইল ব্যাংকিংয়ে নয়, সরাসরি নিজ নিজ ব্যাংক হিসাবে বেতন-ভাতা দিতে হবে বলে দাবি করছেন।
এ বিষয়ে সোমবার (৩১ আগস্ট) মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব এবং মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের মহাপরিচালক বরাবর লিখিত আবেদন করেছেন শিক্ষকরা।
শিক্ষকদের পক্ষে লিখিত আবেদন করেন বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ লিয়াঁজো ফোরামের মুখপাত্র নজরুল ইসলাম রনি এবং বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির মহাসচিব মো. মেজবাউল ইসলাম প্রিন্স।
লিখিত আবেদনে বলা হয়, এমপিওভুক্ত শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা দীর্ঘদিন থেকে সরকারি বেতনের অংশ সরাসরি তাদের ব্যাংকের হিসাবে দেওয়ার জন্য দাবি করা হচ্ছে। অথচ তা কার্যকর না করে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে টাকা দেওয়ার চিন্তা-ভাবনা চলছে।
এই সংবাদে শিক্ষক সমাজের জন্য তীব্র ক্ষোভ ও অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন দেওয়া হলে শিক্ষকদের কে শ্রমজীবি নানা শ্রেনীপেশার মানুষের সাথে মিশে দেয়া হবে। কিন্ত শিক্ষকতা একটা মহান পেশা। তাছাড়া বেসরকারি ও সরকারি শিক্ষকদের মধ্যে একটা বড় বৈষম্য তৈরি হবে। শিক্ষকদের প্রতিমাসে অতিরিক্ত ব্যয় করতে হবে। তাদের ব্যাংকিং লোন, কর কর্তন, পেনশন ইত্যাদিসহ নানা সমস্যা তৈরি হবে।
এটি চালু হলে সরকার ও শিক্ষকদের অনেক টাকা অপচয় হবে। এই অপচয়ের টাকা দিয়ে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের জাতীয়করণ করা সম্ভব হবে।
এই অবস্থায় এমপিওভুক্ত শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে না দিয়ে সরাসরি স্ব স্ব ব্যাংক হিসাবে সরাসরি দেওয়ার ব্যবস্থা নিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানানো হচ্ছে।
0Share