নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের একলাশপুরে এক গৃহবধূকে তার বাবার বাড়ীতে বিবস্ত্র করে নির্যাতন ও ধর্ষণের চেষ্টা চালিয়েছে স্থানীয় একদল সন্ত্রাসী যুবক। এরপর ভিডিওটি রবিবার (৪ অক্টোবর) ফেসবুক ও ইউটিউবে ছড়িয়ে পড়লে তা মূর্হুতে ভাইরাল হয়।
ফেসবুকের একটি ভিডিও থেকে দেখা যায়, মধ্য বয়সী একনারীকে পুরো বিবস্ত্র তার দেহের সর্স্পকাতর অঙ্গে লাঠি দিয়ে এবং হাত দিয়ে নির্যাতন করছে সন্ত্রাসী যুবকরা। ওই নারী নির্যাতনকারীদের ভাই ও বাবা বলে মিনতি করছে।
তবে ভিডিওটি আজ প্রকাশিত হলেও এ ঘটনা ঘটে আরো ৩২ দিন আগে। রোববার (৪ অক্টোবর) বিকালের দিকে নির্যাতনের ঐ ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রকাশ পায় এবং তা দ্রুতই ভাইরাল হয়ে গেলে টনক নড়ে স্থানীয় প্রশাসনের।
স্থানীয় ভাবে জানা যায়, ঘটনার পর থেকে গত ৩২ দিন ধরে অভিযুক্ত বখাটেরা ওই গৃহবধূর পরিবারকে অবরুদ্ধ করে রাখলে পুরো ঘটনা থেকে যায় এলাকাবাসী ও পুলিশ প্রশাসনের অগোচরে।
এদিকে, ওই ঘটনার খবর পেয়ে বেগমগঞ্জ থানা পুলিশ বিকেল ৪টার দিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আব্দুর রহীম (২৭) নামে অভিযুক্ত এক যুবককে আটক করেছে। আটককৃত আব্দুর রহীম একলাশপুর ইউনিয়নের পূর্ব একলাশপুর গ্রামের হাড়িধন বাড়ির বাসিন্দা।
স্থানীয়রা জানায়, গত মাসের ২ সেপ্টেম্বর উপজেলার একলাশপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের খালপাড় এলাকার নূর ইসলাম মিয়ার বাড়িতে ওই ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী নির্যাতিত গৃহবধূ এখন বখাটেদের ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।
বেগমগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. হারুন উর রশীদ জানান, পুলিশ বতর্মানে ঘটনাস্থলে রয়েছে। এ ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছে। ওই গৃহবধূকে তার বাবার বাড়ীতে পাওয়া যায়নি। ভিকটিমকে পাওয়া গেলে জানা যাবে এটি ধর্ষণ, নাকি নির্যাতনের ঘটনা।
নোয়াখালী পুলিশ সুপার মো. আলমগীর হোসেন জানান, অভিযুক্তদের গ্রেফতারে এবং নির্যাতিতা গৃহবধূকে উদ্ধারে জেলা পুলিশের ৫টি ইউনিট মাঠে কাজ করছে।
0Share